২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

মিডিয়াকে ধ্বংস করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার : ফারুক

বক্তব্য রাখছেন জয়নুল আবদিন ফারুক। - ছবি : নয়া দিগন্ত

সরকার দেশের মিডিয়াকে ধ্বংস করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি বলেন, দেশের স্বার্থে যে সাংবাদিকরা লেখালেখি করছেন তাদের মুখ বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান মুছাব্বিরের নিঃশর্ত মুক্তি এবং বিএনপির পূর্বঘোষিত ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

সরকারের উদ্দেশে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘বাংলাদেশের মিডিয়াকে আজকে ধ্বংস করার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছেন এবং সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে কী বার্তা দিতে চাচ্ছেন? যে, আপনারা লেখালেখি করবেন না? সামনে আবার ক্ষমতায় যাবেন। এই কৌশল আর বিএনপির কাছে টিকবে না। বিএনপির জাতীয়তাবাদী শক্তি ও তারেক রহমানের কাছে আপনারা পরাজিত হবেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মুক্তি কার কাছে চাইবো? মুক্তি আর চাই না, মুক্তির দাবি আর করতে চাই না। এই ভোট চোর, কবর থেকে উঠে আসা মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বড় বড় কথা বলেন। যারা টাকা লুট করে কানাডায় বেগম পাড়া করেন, যারা টাকা লুট করে দুবাই, ব্যাংককে বাড়ি করে তাদের কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তি, মুছাব্বিরের মুক্তি, রিজভীর মুক্তি আমি দাবি করতে চাই না।’

আওয়ামী লীগের উদ্দেশ করে ফারুক আরো বলেন, ‘বিএনপিকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করছেন। সাথে সাথে যে সকল সাংবাদিক দেশের স্বার্থে লেখালেখি করছেন তাদের আপনারা বাধা দিচ্ছেন, তাদের মুখও বন্ধ করে দেবেন।’

তিনি বলেন, ‘জীবন দেবো, জেলে যাব, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এ দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। পুলিশের জোর দেখাচ্ছেন, কতিপয় পুলিশ দ্বারা, সব পুলিশ নয়। আমাদেরকে আটকে রাখবেন, আর পারবেন না। ১৭ জন প্রাণ দিয়েছে, ১৭ হাজার প্রাণ দিব তবুও আপনার অধীনে এদেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আপনারা (আওয়ামী লীগ) যতই কৌশল করেন নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে যতই চিঠি দেন। বিশ্বাস করেছিলাম ২০১৮ সালে, গণভবনে আন্তরিকতার সাথে আমার দল গিয়েছিল, সেদিন আপনারা আমাদের সাথে মুনাফিকি করেছেন। ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে করেছেন। ২০১৪ সালে ‘কুত্তা মার্কা’ নির্বাচন করে ক্ষমতা চালিয়েছেন, সেদিন আর নেই। এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারেক রহমান। তার কৌশলের কাছে ইনশাআল্লাহ আপনারা পরাজিত হবেন।’

ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি গাজী রেজওয়ানউল হোসেন রিয়াজের সভাপতিত্বে এ সময় ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement