২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘পাকিস্তানি শাসকের কায়দায় দেশের মানুষের ওপর লাঞ্ছনা-বঞ্চনা করছে একটি রাজনৈতিক দল’

বক্তব্য দিচ্ছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর - ছবি - নয়া দিগন্ত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও শাসকেরা যেভাবে দেশের মানুষের ওপর নির্যাতন, অত্যাচার শোষণ, বঞ্চনা করেছিল। আজকে বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল, যারা জোর করে ক্ষমতায় দখল করে বসে আছে। যারা আজকে সে পাকিস্তানি শাসকের কায়দায় লাঞ্ছনা, বঞ্চনা করছে দেশের মানুষের ওপরে।

তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের মানুষ যখন দিকবিদিক হারিয়ে ফেলেছে। তখন অখ্যাত একজন মেজর জিয়াউর রহমান, শুধু চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে পুরো জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। তার ঘোষণার মধ্যে দিয়ে সেদিন সবাই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে লক্ষ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম।

আজ বৃহস্পতিবার নয়া পল্টন দলটির কেন্দ্র কার্যালয়ে যৌথ সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। মহান স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি পালন উপলক্ষে এ যৌথ সভার আয়োজন করে বিএনপি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য। যে আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। আমাদের সেই আশা আকাঙ্ক্ষাগুলো কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও পূরণ হয়নি। আমরা দেখেছি, পুরো স্বাধীনতা, স্বাধিকার আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধের আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ সবকিছুর মূলেই ছিল একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করা, নির্মাণ করা। আজকে ৫১ বছর পর, ৫২ বছর পরও আমরা দেখছি, সেই গণতন্ত্র আবার হারিয়ে ফেলেছি। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও শাসকেরা যেভাবে দেশের মানুষের ওপর নির্যাতন, অত্যাচার শোষণ, বঞ্চনা করেছিল। আজকে বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল, যারা জোর করে ক্ষমতায় দখল করে বসে আছে। যারা আজকে সে পাকিস্তানি শাসকের কায়দায় লাঞ্ছনা, বঞ্চনা করছে দেশের মানুষের ওপরে। তারা রাষ্ট্রযন্ত্রের ব্যবহার করে, দেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা, কথা বলার অধিকার, ভোট দেয়ার অধিকার, ভিন্নমত পোষণ করার অধিকার কেড়ে নিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এবারের ২৬ শে মার্চ। স্বাধীনতা দিবস। খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক। অনেক বেশি আমাদের সেই যুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তাই এই মহান দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে স্মরণ করার জন্য ও নতুন করে শপথ নেয়ার জন্য দিনটিকে আমরা পালন করব।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। আমরা তাকে আবার স্মরণ করতে চাই, স্মরণ করতে চাই মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদেরকে, যারা তাদের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। আমরা স্মরণ করতে চাই, সেই মহান নেতাদের যারা আমাদের স্বাধীনতার যুদ্ধে এগিয়ে নিয়েছিলেন।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, বিএনপি প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, মহিলা দলের সভানেত্রী মির্জা আফরোজা আব্বাস, যুবদলের সভাপতি সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement