২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাংলাদেশ ক্রিকেটে অসাধারণ নেতৃত্বের স্বাক্ষর রেখে গেছেন কোকো

আরাফাত রহমান কোকো ও তার মেয়ের সাথে খালেদা জিয়া - ফাইল ছবি

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেছেন, ব্যক্তি আরাফাত রহমান কোকোর রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম হলেও তিনি রাজনীতিক হিসেবে নয়, ব্যবসা, ক্রীড়া ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেই নিজেকে সর্বদা নিয়োজিত রেখেছিলেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে অসামান্য ভিশনারি ভূমিকা রেখে অসাধারণ নেতৃত্বের স্বাক্ষর রেখে গেছেন এই ক্ষণজন্মা মানুষটি।

তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সন্তান হয়েও আরাফাত রহমান কোকোর মধ্যে কোনো অহংকার ছিল না। একজন সাধারণ মানুষের মত তিনি জীবনযাপন করতেন। বিনয় ছিল তার চরিত্রের উজ্জ্বলতম বৈশিষ্ট। তিনি মাঝেমধ্যেই খেলনা আর চকলেট নিয়ে পথশিশুদের কাছে ‘সারপ্রাইজ’ হিসেবে হাজির হতেন। তাদের সাথে ক্রিকেট খেলতেন।

খায়রুল কবির খোকন বলেন, মালয়েশিয়াতে অবস্থানকালেও কোকো খুবই সাদাসিধে জীবনযাপন করতেন। একটি দুই বেডের ভাড়া বাসায় স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। নিজেই প্রতিদিন দুই মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যেতেন এবং নিয়ে আসতেন।

বাংলাদেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রে আরাফাত রহমান কোকোর অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান বলেন, আরাফাত রহমান কোকো ক্রিকেটপ্রেমী হিসেবে বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে ছুটে বেড়িয়েছিলেন শহর থেকে গ্রামে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি’র উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে ২০০৩ সালে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। সেই সাথে বিসিবির একজন সদস্যও ছিলেন তিনি। কোকো সাহেব বিসিবির ক্রিকেট ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য যে কর্মসূচি শুরু করেছিলেন বর্তমানে তার সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। জাতীয় পর্যায়ে ক্রিকেট খেলোয়াড় তৈরি করার জন্য ক্রিকেটকে জেলা থেকে শুরু করে উপজেলা-গ্রাম পর্যায়ে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তাছাড়া তিনি মোহামেডানের এক্সিকিউটিভ কমিটির কালচারাল সেক্রেটারি ছিলেন। সিটি ক্লাবের সাথেও ছিলেন সক্রিয়।

জেল জীবন:

১/১১-এর ফখরুদ্দীন-মইনউদ্দিন সরকার কর্তৃক মা বেগম খালেদা জিয়ার সাথে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার অবস্থায় তিনি মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই সময় থেকেই তিনি হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন। ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই জামিনে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য স্ব-পরিবারে থাইল্যান্ডে যান কোকো। সেখান থেকে তিনি মালয়েশিয়ায় চলে যান। এরপর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি স্ত্রী ও দু' কন্যাসহ মালয়েশিয়াতেই অবস্থান করছিলেন।

উল্লেখ্য, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান (বীরউত্তম) ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর জন্ম ১২ আগস্ট ১৯৬৯। ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি ৪৫ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

আরাফাত রহমান কোকো ও তার স্ত্রী শর্মিলা রহমানের ঘরে দুই সন্তান রয়েছে। জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমান।
তিনি ‘কোকো’ নামেই সারাদেশে সুপরিচিত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement