২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে পদত্যাগের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ডা. মুরাদ হাসান - ছবি : সংগৃহীত

তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার রাতে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মঙ্গলবারের মধ্যেই ডা. মুরাদকে পদত্যাগের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি জানান, সোমবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সাথে ডা. মুরাদের বিষয়ে তার কথা হয়। আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভা থেকে ডা. মুরাদকে পদত্যাগের নির্দেশ দিলে তিনি এই বার্তা রাত ৮টায় প্রতিমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেন।

জামালপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসান স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের পর গঠিত আওয়ামী লীগ সরকারে তাকে প্রথমে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়। পরে ২০১৯ সালের মে মাসে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে নিযুক্ত হন তিনি।

গত কয়েকদিন থেকেই বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্যের ফলে আলোচনায় ছিলেন মুরাদ হাসান। বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিভিন্ন মহল থেকেই তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করার দাবি উঠছিলো।

সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, তার ছেলে ও দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বেগম জিয়ার নাতনি ও তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন ডা. মুরাদ।

পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেত্রীদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।

এরই মধ্যে রোববার মধ্যরাতে চলচ্চিত্র অভিনেতা মামনুন হাসান ইমন ও অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির সাথে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর এক ফোনালাপের রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ফোনালাপে প্রতিমন্ত্রী আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করেন।

সংবাদমাধ্যমকে ভাইরাল হওয়া সেই অডিওর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওই ফোনালাপ দুই বছর আগের। একটি সিনেমার মহরত অনুষ্ঠানের আগের রাতে প্রতিমন্ত্রী তাকে ফোন করেছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement