২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

এরা বেয়াদব, এদের জবাব মুখে দেয়া যায় না : গয়েশ্বর

- ছবি - সংগৃহীত

বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘আমাদের আর কথা নয়; এখন থেকে অ্যাকশন।’

সোমবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের সমাবেশ তিনি এ কথা বলেন।

সাবেক জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর বলেন, ‘আপনারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন, এখনো আপনাদের নেতৃত্বে এলাকার মানুষ ঐক্যবদ্ধ আছে। এসব মানুষদের নিয়ে আপনারা আরো ঐক্যবদ্ধ হন। আমরা আবারো ‘৯০ এর গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে আরেকটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করব। মিডনাইট এ গভার্মেন্টকে বিদায় করব, গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব দেশবাসীকে মুক্ত করব।’

তিনি বলেন, ‘উপমহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া। মুসলিম বিশ্বের প্রথম নির্বাচিত মহিলা প্রধানমন্ত্রী, একবার নয় তিন বার। তিনি আলাদা আলাদাভাবে ২৩টি আসনে নির্বাচন করে প্রতিটি আসন থেকে বিজয়ী হয়েছেন। সেই নেত্রী সম্পর্কে (ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী-এমপি ও নেতা) যে ধরণের ঠাট্টা মশকরা করা হয়- এটা সৃষ্টাচারের সাথে তুলনা করা যায় না- এরা বেয়াদব। এদের জবাব মুখে দেয়া যায় না।’

তিনি আরো বলেন, আপনারা আপনাদের সাহসকে আরো প্রত্যয়ী করেন,নেতাকর্মীদের সাথে আরো ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলুন। এটাই হবে আমাদের আন্দোলনের সফলতার মূলমন্ত্র।

তিনি বলেন, এই সরকারের জনপ্রিয়তা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। জনবিচ্ছিন্ন এ সরকার যদি আমাদের কণ্ঠরোধ করে, আমাদের আন্দোলনকে স্তব্দ করে তাহলে আমাদের জন্মই বৃথা। আমাদের জন্ম হয়েছে সংগ্রামের জন্য। আমরা বিএনপি করি, এর যে নেতা স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশ স্বাধীন করেছেন, আমরা আপসহীন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার অনুসারী এসব কারণে আমরা ব্যর্থ হতে পারি না। আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুক্তরাজ্যে মানবেতর জীবন যাপন করছেন, সেখান থেকে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শুধুমাত্র আমাদের ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি তাহলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে সফল আন্দোলনের মধ্যদিয়ে দেশে গণতন্ত্র ফিরবে, খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন এবং উন্নত চিকিৎসায় বিদেশ যেতে পারবেন।

বিএনপির এ নেতা বলেন, আমরা জিয়াউর রহমানের সৈনিক, খালেদা জিয়ার সৈনিক ও তারেক রহমানের সৈনিক। আমাদের আলাদা পরিচয় নেই; সৈনিকদের কাজ হচ্ছে লড়াই করা। আজকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারেক রহমান,তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ মুক্ত হবে এবং মুক্ত হবে গণতন্ত্র।

গয়েশ্বর বলেন, আমাদের নেত্রী আজ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। তার সাথে সাক্ষাত করতে পারি না। চিকিৎসকদের কথা সরকার কানে নেয় না, তারা আইনের ছবক দেয়। আবার বলে, তাকে ক্ষমা চাইতে হবে। বাংলাদেশে এ সময়ে কোন লোকটা নিষ্পাপ আছে, যার কাছে খালেদা জিয়া ক্ষমা চাইবে। খালেদা জিয়া এমন কী অন্যায় করেছে, যার জন্য ক্ষমা চাইবে? টাকা তছরুপ হয়নি, বরং বেড়ে কয়েকগুণ হয়েছে। তারপরও তাকে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অথচ হাজার হাজার, লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয় তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না।

খালেদা জিয়া ইস্যুতে বিএনপিপন্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যানদের জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করার কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে স্থান পরিবর্তন করে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় সমাবেশ করা হয়। এতে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী, সাবেক জনপ্রতিনিধি ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন, শাহে আলম, আবু সাইদ চাঁন, দেওয়ান শফিকুজ্জামান, তমিজ উদ্দিন, কফিল উদ্দিন, দিলদার হোসেন, জাফর ইকবাল হিরন, আমিনুল ইসলাম বাদশা, সরকার বাদল, মোর্শেদ মিল্টন, মশিউর রহমান, নবী নেওয়াজ খান, জয়নাল আবেদিন, আতাউর রহমান আতা, আসিক চৌধুরী প্রমুখ।

এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, সাবেক চেয়ারম্যান (ঝিকরগাছা উপজেলা) সাবিরা খাতুন মুন্নি। সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নাহিদ আক্তার ও যশোর জেলা বাঘারপাড়া উপজেলার মেয়র আব্দুল হাই মনা বিশ্বাস।


আরো সংবাদ



premium cement