২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বাসচাপায় শিক্ষার্থী হত্যা, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ছাত্রশিবিরের

- ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর রামপুরায় দুই বাসের প্রতিযোগিতার সময় বাস থেকে ফেলে দিয়ে মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয় নামের শিক্ষার্থীকে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। এ সময় অবিলম্বে শিক্ষার্থী হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে এ দাবি জানায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালাহউদ্দিন আইউবী ও সেক্রেটারি জেনারেল রাশেদুল ইসলাম বলেন, রাজধানীর রামপুরায় বাসে ওঠার সময় ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে এসএসসি ফলপ্রার্থী একরামুন্নেছা স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয়কে নির্মমভাবে হত্যা করেছে বাসের হেলপার। এর আগে ২৪ নভেম্বর গুলিস্থানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লা বহন করা গাড়িচাপা দিয়ে হত্যা করা হয় নাঈম হাসান নামে নটর ডেম কলেজের এক মেধাবী শিক্ষার্থীকে। গাড়িটির চালক ছিল না বরং হেলপার গাড়ি চালাচ্ছিল। এভাবে একের পর এক শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হচ্ছে আর প্রশাসন নির্বিকার ও দায়সারা ভূমিকা পালন করছে।

এর আগেও ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই রাজধানী ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে বিমানবন্দর সড়কে বেপরোয়া বাসচালক দুই শিক্ষার্থীর ওপর বাস উঠিয়ে দিয়ে তাদের হত্যা করে। তৎকালিন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান সাংবাদিকদের সামনে শিক্ষার্থীদের মৃত্যু নিয়ে হাসি তামাশা করে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিকৃত মানষিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন। একই সাথে ঘোষণা দিয়ে খুনি পরিবহন শ্রমিকদের পক্ষ নিয়েছিলেন। সেই ঘটনার প্রত্যাশিত বিচার এখনো হয়নি। সরকার দলীয় লোকজন ও প্রশাসনের দায়িত্বহীন মদদেই পরিবহন শ্রমিকরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। অবলীলায় নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে। অন্যদিকে ছাত্রসমাজের লজ্জার প্রতীক ছাত্রলীগ বরাবরই শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি আদায়ের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে।

ছাত্রশিবির নেতৃবৃন্দ বলেন, রামপুরায় শিক্ষার্থীকে বাসচাপায় হত্যা নিছক কোনো দুর্ঘটনা নয় বরং দুই বাসের অসুস্থ প্রতিযোগিতা ও হিংস্বাত্বক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। যা প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমের সামনে বলেছেন। এমন ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে। এগুলো সরাসরি হত্যাকাণ্ড। এর আগে দুই বাসের প্রতিযোগিতায় মেধাবী ছাত্র রাজিবের হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে মৃত্যু হয়। একইভাবে জীবন দিতে হয়েছে রাজধানীর নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান পায়েলকে। এভাবে চালকদের বেপরোয়া আচরণে একের পর এক লোমহর্ষক ঘটনা ঘটলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে তা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। কোনো সভ্য রাষ্ট্রে এ অবস্থা চলতে পারে না।

বিবৃতিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীরা ক্লাস ছেড়ে নিজেদের জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে রাজপথে নেমেছে। যা জাতির জন্য লজ্জাজনক। অবিলম্বে শিক্ষার্থী হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার করতে হবে। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। আগামী দেশ গড়ার কারিগর শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সুবিধা নিশ্চিত করতে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় শিক্ষার্থীরা রাজপথ ছেড়ে ঘরে ফিরে যাবে না।

ছাত্রশিবির নেতৃবৃন্দ দেশের আপামর জনগণকে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি


আরো সংবাদ



premium cement