মানুষের কল্যাণ কেবল আল্লাহর প্রদত্ত গাইড লাইন মেনেই করা সম্ভব : মাসুদ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. মো: শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, মানুষের কল্যাণ কেবল মহান আল্লাহর প্রদত্ত গাইড লাইন মেনেই করা সম্ভব। আমরা অবশ্যই ক্ষতির মধ্যে পড়ে রয়েছি। আমাদেরকে অবশ্যই ফিরে আসতে হবে কুরআনের দিকে। ব্যক্তি থেকে শুরু করে কুরআনের নির্দেশনার আলোকে যখন কোনো রাষ্ট্র পরিচালিত হবে কেবল তখনই সব মানুষের প্রকৃত কল্যাণ সম্ভব। খেলাফতের দায়িত্ব যারা পালন করেছেন তারাও এই নির্দেশ অনুসরণ করেছিলেন।

শনিবার ঢাকায় শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। এ সময় তিনি জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের পক্ষ থেকে স্থানীয় সকলধর্মাবলম্বী মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করেন।

এ দিন রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় ভিন্নধর্মাবলম্বী মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। এছাড়া কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য শামসুর রহমানের সভাপতিত্বে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচির এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য শেখ শরিফ উদ্দিন আহমদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মাসুদ বলেন, ঋতু পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় দেশে বর্তমানে শীতের আগমনী চলছে। আমরা মানুষ মহান আল্লাহর সেরা সৃষ্টি আশরাফুল মাকলুকাত। আল্লাহ কোনো ধর্মের মানুষের কথা বলেননি বরং সকল মানুষকেই বুঝিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এদেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে। আমরা বিশ্বাস করি আল্লাহর মনোনীত বিধান ইসলাম এবং প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সা: -এর আদর্শই একমাত্র সঠিক পথ। তাই আমরা বলতে চাই দেশে যতক্ষণ পর্যন্ত ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠিত না হচ্ছে, ততদিন দেশের মানুষের প্রকৃত কল্যাণ সম্ভব নয়। ইসলাম সকল মানুষের জন্য সার্বিক কল্যাণের কথা বলে। জামায়াতে ইসলামী সেই একই আহ্বান নিয়ে ধর্ম-বর্ণ ভুলে অব্যাহতভাবে দেশে কাজ করে যাচ্ছে। এ সময় তিনি কল্যাণের এই অগ্রযাত্রায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন খিলগাঁও পশ্চিম থানা আমির এস এম জুয়েল, সবুজবাগ থানা (দক্ষিণ) আমির মো: আব্দুল বারী, পল্টন থানা সেক্রেটারি শাহীন আহমদ খান, কামরুল হাসান রিপন ও নাসির উদ্দিনসহ জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।