২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আইন সংশোধন করে হলেও নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করুন : চরমোনাই পীর

- ফাইল ছবি

আইন সংশোধন করে হলেও নির্বাচনকালীন নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম। শনিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

চরমোনাই পীর বলেন, দলীয় কোনো সরকারের অধীনে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার মতো রাজনৈতিক সংস্কৃতি এখনো দেশে গড়ে ওঠেনি। তাই অবশ্যই নির্বাচনকালীন সরকার হতে হবে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ। এখনো সময় আছে। আইন সংশোধন করে হলেও নির্বাচনকালীন নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন। অন্যথায় দেশে আবারো অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

দেশের চলমান সঙ্কটময় পরিস্থিতি তুলে ধরতে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহজ খন্দকার গোলাম মাওলা, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, আলহাজ আমনিুল ইসলাম, ইঞ্জনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আবদুল কাদের, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কে এম আতিকুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম প্রমুখ।

চরমোনাই পীর বলেন, সার্চ কমিটির বাছাই করা ইসি যে কত জঘন্য হতে পারে তার নজীর এখনো চলমান। আসলে রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকলে এসব সার্চ কমিটি আর আইন কোনোটিই ফল দেবে না। এজন্য আসন্ন ইসি গঠনে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি; সব দলের মতামতের ভিত্তিতে একটি সার্বজনীন ইসি গঠন করুন। অথবা প্রতিনিধিত্বশীল দলগুলো থেকে একজন করে নিয়ে একটি সর্বদলীয় ইসি গঠন করুন।

কুমিল্লার একটি মন্দিরে পবিত্র কুরআন পাওয়াকে কেন্দ্র করে এবং ফেসবুকে ধর্ম অবমাননাকর স্ট্যাটাসকে ইস্যু করে দেশের বিভিন্ন জেলায় যে সব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে তার তীব্র নিন্দা এবং সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দ্রুত বিচার দাবি করে তিনি বলেন, ঘটনার সূত্রপাত থেকে পরবর্তী প্রত্যেকটি ঘটনায় প্রশাসনের ব্যর্থতার ছাপ অতি স্পষ্ট। ৫০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে এ ধরণের ব্যর্থতা কল্পনাতীত। আমরা মনে করি, জনপ্রশাসনে অতিমাত্রায় রাজনীতি প্রবেশের কারণে সামগ্রিকভাবে দেশের প্রশাসন ব্যবস্থায় এক ধরণের অদক্ষতা তৈরি হয়েছে। যার খেসারত এসব ঘটনা।

এ সময় তিনি কুমিল্লার ঘটনা ও তৎপরবর্তী ঘটনা তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন, কুমিল্লায় কোরআন অবমাননা, বিভিন্ন স্থানে মন্দির ও মূর্তি ভাঙ্গা, রংপুরে আগুন দেয়া ও চাঁদপুরে বিক্ষোভে গুলি করে হত্যা করার বিষয়টি পুঙ্খানু-পুঙ্খ তদন্ত ও সেই কমিটির তদন্ত রিপোর্ট নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জনসন্মুখে প্রকাশ করে অপরাধীদের কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করার দাবি জানান।


আরো সংবাদ



premium cement