২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

দেশ নিয়ে নানামুখি ষড়যন্ত্রের চেষ্টা হচ্ছে : ডা: শফিকুর রহমান

- ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, আজকে বাংলাদেশকে নিয়ে নানামুখি ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় দেশের জ্ঞানীগুণী যারা আছেন তাদেরকে সাহসীকতার পরিচয় দিয়ে এর মোকাবিলা করতে হবে। দেশবিরোধী সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবিলায় শিক্ষকদেরকে সাহসী ভূমিকা রাখতে হবে। এখানে চিন্তার বিনিয়োগ করতে হবে, গবেষণার বিনিয়োগ করতে হবে, সর্বপরি দেশ গঠনে আপ্রাণ প্রচেষ্টা অব্যহত রাখতে হবে। আমাদেরকে শিক্ষার কারিকুলাম সিলেবাস সবকিছু নিয়ে ভাবতে হবে। আজ জাতি নৈতিকতা বিবর্জিত হয়ে এমন এক অবস্থায় পরিণত হয়েছে যে মানুষ না-ধর্ম মানে, না-দুনিয়া মানে, না-অন্য মানুষকে সম্মান করে। তিনি বলেন, আল্লাহর দেয়া কোরআনের বাস্তবিক প্রয়োজন সবখানে ছড়িয়ে দিতে হবে। এই শিক্ষা যেদিন আমরা জাতির সন্তানদের হাতে তুলে দিতে পারবো সেদিন জাতি প্রকৃত পক্ষেই এক একটা সোনার মানুষ পাবে। তখনই কেবল সোনার বাংলাদেশ গড়া প্রকৃত পক্ষে সম্ভব হবে। আজ পশু ও পাশবিকতা নিয়ে যারা বেড়ে উঠছে তাদেরকে দিয়ে সোনার দেশ গঠন করা তো সম্ভবই না, বরং এই বাংলাদেশকে তারা একটা জঙ্গলে পরিণত করবে।

জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠিত ‘শিক্ষক সম্মেলনে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আমিরে জামায়াত। শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয় সম্মেলনটি ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. মু. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কোরবান আলী, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া। এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন শিক্ষক প্রতিনিধি প্রফেসর নূর নবী মানিকসহ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক নেতারা।

ডা: শফিকুর রহমান বলেন, আজ দেখা যাচ্ছে একজন শিক্ষিত ব্যক্তি মোটরসাইকেলে বসে নিজ বাবার শরীরে লাথি মারছে। আজ এই শিক্ষা আমাদেরকে তাহলে কী উপহার দিচ্ছে? মা-বাবা সন্তানকে শিক্ষিত করে তবে কী আশায়? আজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কী দেখছি আমরা, বই কলম খাতা থাকার কথা ছিল, প্রযুক্তির বিভিন্ন যন্ত্রপাতি থাকবে প্রতিষ্ঠানে। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য সেখানে আজ মাদক পাওয়া যাচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আজকে অস্ত্র পাওয়া যায়। সেই সাথে দেশে আমরা কী দেখছি, বুয়েটের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন দেশপ্রেমিক নামাজি ছাত্রকে তারই সহপাঠীরা সাপ পিটিয়ে মারার মতো করে পিটিয়ে হত্যা করে। এই তো আজকের বাংলাদেশের দৃশ্য। এভাবে সমাজ রাষ্ট্র দেশ চলতে পারে না। যেখানে মা বোনের ইজ্জতের কোনো নিরাপত্তা নেই। মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। আমার সম্পদের কোনো নিরাপত্তা নেই। বিচারের কাছে গিয়ে মানুষ আজ নিভৃতে নিরবে কাঁদে।

আমিরে জামায়াত বলেন, এই সমাজকে আমরা পাল্টাতে চাই। এই স্রোতকে আমরা সঠিক দিকে প্রবাহিত করতে চাই। এ জন্য দেশের প্রত্যেক নাগরিকদের সর্ব স্থান হতে একসাথে এগিয়ে আসতে হবে। সেখানে শিক্ষকদের ভূমিকা সবার আগে, আপনারাই জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষকদেরকেই আগামীর সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আমরা চাই চলমান ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষা ব্যবস্থায় জাতির যে কুফল বয়ে আনবে তা গোটা বাংলাদেশের নাগরিকদের অবহিত করবেন শিক্ষকেরা। আমি শিক্ষকদের আহ্বান জানাতে চাই, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সঠিক পথে পরিচালিত করার স্বার্থে আপনারা বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করুন। আমরা আমাদের নৈতিক শক্তিতে বলিয়ান হয়ে দেশ গড়তে চাই। আমরা শিক্ষকেরা পেশাদারিত্বকে আরো সমুন্নত করি। প্রফেশনালিজম প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করি। পাশাপাশি আল্লাহর জমিনে তার দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যও ভূমিকা রাখি। আপনারাই প্রকৃত অর্থে নবী রাসূলদের উত্তরসূরী জ্ঞানের ধারক বাহক। আপনাদের যোগ্যতা দিয়ে দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজকে এগিয়ে নেয়ার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।

বিজ্ঞপ্তি


আরো সংবাদ



premium cement