২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

লুটেরা অর্থনীতিতে মানুষের হতাশা চরমে : মির্জা ফখরুল

লুটেরা অর্থনীতিতে মানুষের হতাশা চরমে : মির্জা ফখরুল - ছবি : সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। বর্তমান সরকার আজকে পুরোপুরিভাবে একটা লুটেরা অর্থনীতি তৈরি করেছে। পুরোপুরিভাবে একটা লুটেরা সমাজ তৈরি করছে। সরকারের এ লুটেরা অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় মানুষের হতাশা চরম পর্যায়ে। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা এতো খারাপ হয়েছে যে, গত সোমবার একজন যুবক তার মোটরসাইকেল পুঁড়িয়ে দিয়েছে।

মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটি ও বিষয় ভিত্তিক কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় কমিটির আহবায়ক খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবদুস সালামের সঞ্চালনায় সভায় নেতৃবৃন্দ স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তীর বছর ব্যাপী কর্মসূচি পুনরায় শুরুর বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের লক্ষ্য ছিল এখানে একটা বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা। মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা এবং একইসাথে এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রাখা। যেটা আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মূল কথা ছিল। সেটা আমাদের প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর দেশের এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে তারা ধবংস করে দিয়েছে। এখন বহুদলীয় গণতন্ত্র নেই, একটা মুখোশ আছে, একটা আবরণ আছে গণতন্ত্রের। সেই আবরণের মধ্যে পুরোপুরি একদলীয় ব্যবস্থা চলছে। এখানে একটা ভয়ভীতির সংস্কৃতি এমনভাবে তৈরি হয়েছে যে, এখন কথা বলতে যে কেউ ভয় পায়, সাংবাদিকরা লিখতে ভয় পায়। এগুলোর জন্য আমাদেরকে সংগ্রাম করতে হবে, লড়াই করতে হবে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মকে এই লড়াইয়ে সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে। আমাদের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের লক্ষ্য এটা হওয়া উচিত যাতে আমরা সেদিকে যেতে পারি।

আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমাদেরকে সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ৩৫ লাখের উপরে মামলা দিয়েছে। গ্রেপ্তার, পুলিশি নির্যাতনে তারা এলাকায় থাকতে পারছে না। এই দেশকে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলা যাবে না। তিনি বলেন, আজকে এদের হাতে যে দেশ নিরাপদ নয়, রাষ্ট্র নিরাপদ নয় এটা সকলকে জানাতে হবে।

সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আামান, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, ইসমাইল জবিহউল্লাহ, ফরহাদ হালিম ডোনার, বিজন সরকার, অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার, আবদুল হাই শিকদার, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শ্যামা ওবায়েদ, অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, কর্ণেল (অব.) জয়নাল আবেদীন, রিয়াজুল ইসলাম রিজু, আশরাফউদ্দিন উজ্জ্বল, আমিনুল হক, জহিরউদ্দিন স্বপন, মনীষ দেওয়ান, মার্শেল এম চিরমা, অধ্যাপক হারুন আল রশিদ, চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের এবিএম আবদুর সাত্তার, রিয়াজউদ্দিন নসু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement