ফ্যাসিস্ট হলেও হিটলার, মুসোলিনির দেশপ্রেম ছিল : রিজভী
- অনলাইন প্রতিবেদক
- ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬:৫৩
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, হিটলার, মুসোলিনির ফ্যাসিস্ট হলেও তাদের মধ্যে দেশপ্রেম ছিল। তারা তাদের দেশকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করেছে। তারা তাদের নিজের দেশকে ছোট করতে দেয়নি। তারা চেয়েছে পৃথিবীর অন্য দেশের চেয়ে তাদের দেশ শক্তিশালী থাকুক। আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী হিটলারের,মুসোলিনির অপশিক্ষা গুলো নিয়ে কিভাবে বিরোধীদের দমন করা যায় তাই করছেন। দেশকে শক্তিশালী করার কোনো কিছু তিনি করেননি। বরং নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে অন্য দেশ যা কিছু দেয়া যায় তিনি তাই দিচ্ছেন।
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মানব সেবা সংঘের আয়োজনে ‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ও বহুদলীয় গণতন্ত্র শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।’
রিজভী বলেন, এখন যারা ক্ষমতায় আছে। তারা এক দানবীয় পন্থায় ক্ষমতায় রয়েছে। নানা হুমকি দিয়ে, নানা কালাকানুন তৈরি করে, মিডিয়াকে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছে। আবার অপরদিকে নিজেদের কিছু মিডিয়া দিয়ে অনর্গল মিথ্যা বলে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, অল্প কিছুদিনের মধ্যে এই আওয়ামী লীগ সরকার অল্প কিছুদিনের মধ্যে ফেয়ারওয়েল হয়ে যাবে জনগণের কাছ থেকে। চিরন্তন ফেয়ারওয়েল হয়ে যাবে।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনার বিকল্প কি? শেখ হাসিনার বিকল্প হচ্ছে তার মতই ফ্যাসিস্ট। বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান তো গণতন্ত্রের প্রতীক। বিএনপি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। আওয়ামী লীগ করে নাই। বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। সুতরাং শেখ হাসিনার সাথে বেগম খালেদা জিয়ার পার্থক্য তো থাকবেই। আওয়ামী লীগের সাথে বিএনপি'র পার্থক্য তো থাকবেই।
তিনি বলেন, এখন একটাই মাত্র পথ এই ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের বিকল্প নেই।
বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, তারা আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন সাহস থাকলে তারেক রহমান দেশে আসুক না। তাদেরকে বলি সাহস থাকলে নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন দেন না। আপনাদের সাহস থাকলে একটা শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন দেন দেখি। সেই সাহস আপনাদের নেই। নিজেরা পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা দেন। দেখি সাহস আছে কিনা? কাদের সাহেব সেই সাহস আপনাদের নেই। জনগণের এই অধিকার জনগণের আদায় করে নেবে।
সংগঠনের সভাপতি সঞ্জয় দে রিপন এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা আতাউর রহমান ঢালী, বিএনপির পল্লী উন্নায়ন বিষয়ক সম্পাদক এড. গৌতম চক্রবর্তী, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ সহ-সভাপতি পার্থদেব মন্ডল, ওমর ফারুক কাউসার প্রমুখ।