২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে রাষ্ট্রপতির নিকট জরুরি অবস্থা জারির আবেদন

বঙ্গভবন - ছবি : সংগৃহীত

করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধ ও জনগনের জীবন রক্ষায় সংবিধানের ১৪১(ক) অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাবলে জরুরি অবস্থা জারির জন্য রাষ্ট্রপতি বরাবর আবেদন করেছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এম আলী জুনু। তিনি সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ও ন্যাশনাল লইয়ার্স কাউন্সিলের চেয়ারম্যান।

আবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে ১২০দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হলে দেশ ও জাতি আসন্ন বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাবে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ই-মেইলের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবর বঙ্গভবনে এ আবেদন পাঠিয়েছেন তিনি।

আবেদনে আরো বলা হয়েছে, করোনাকে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করা হয়েছে। এটি অতিমাত্রায় সংক্রামক। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কয়েক লাখ মানুষ এবং আক্রান্তদের মধ্যে হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন। উন্নত দেশগুলোই এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। করোনার সংক্রমণ থেকে দেশ জাতিকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, স্পেন, কানাডা ও বেলজিয়াম জাতীয় এবং আঞ্চলিকপর্যায়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল এবং কার্যকর লকডাউন পালনে জরুরি অবস্থা ঘোষণা এবং জরুরি অবস্থা প্রতিপালেনর ফলে উন্নত দেশগুলোয় করলার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে অনেকাংশেই সফল হয়েছে। ফলে অনেক উন্নত দেশে এখন আর লকডাউনের প্রয়োজন হচ্ছে না। স্বাভাবিক ভাবে লোকজন ও দেশের নাগরিকরা তাদের জীবনযাত্রা অতিবাহিত করছে। বাংলাদেশ সরকার ও করোনার সংক্রমণ থেকে দেশবাসীকে রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছে দফায় দফায় লকডাউন দেয়া হচ্ছে । কিন্তু দিন দিন করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মৃত্যুর হার ও বাড়ছে। কার্যকর লকডাউন পালনে দেশের অনেক মানুষের মাঝে উদাসিনতা পরীক্ষিত হচ্ছে। ফলে করোনার ভয়াল সংক্রমণ ও মৃত্যুহার কোনোভাবেই কমানো যাচ্ছে না। এছাড়া করোনায় আক্রান্তরা অনেকেই তথ্য গোপন করে জনসম্মুখে ঘুরে বেড়াচ্ছে কোনোভাবেই কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে বাধ্য করা যাচ্ছে না। ফলে করোনাভাইরাসের এই ভয়াল সংক্রমণ থেকে দেশ ও জাতিকে কোনো ক্রমেই রক্ষা করা যাচ্ছে না। এছাড়া সরকার বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিচ্ছে। কিন্তু অনেকেই নিয়ম না মেনে জনসম্মুখে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

অন্যদিকে, করোনা নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সবমিলিয়ে দেশ ও জাতি শৃঙ্খলাহীনতা এবং সঙ্কটের দিকে ধাবিত হতে চলেছে। বিদেশি ক্রেতারা পোশাক খাতের ক্রয় আদেশ বাতিল করছে ফলে দেশের অর্থনীতির ক্ষতি হচ্ছে। তাই এমন পরিস্থিতিতে ১২০দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হলে দেশ ও জাতি আসন্ন বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাবে।


আরো সংবাদ



premium cement