২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতির পদটি বিতর্কিত করবেন না : খন্দকার মাহবুব

খন্দকার মাহবুব হোসেন - ফাইল ছবি

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি প্রবীণ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির পদটি অত্যন্ত সম্মানজনক ও গুরুত্বপূর্ণ পদ। শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকসহ অনেক খ্যাতিমান ব্যক্তি এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তাই বর্তমান সভাপতির মৃত্যুর কারণে যে একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, সেই পরিস্থিতির কারণে আমাদের দায়িত্বশীল হতে হবে। যাতে এই পদের মর্যাদা কোন রকম ক্ষুণ্ণ না হয়।

তিনি বলেন, এই পদটিকে কোনোভাবেই বিতর্কিত করা ঠিক হবে না। বিতর্কে না গিয়ে সবাই মিলে সম্মানজনক সমাধান খুঁজতে হবে। যাতে সভাপতির পদের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ থাকে।

বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে তিনি এ অনুরোধ জানান।

খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, কোনো হীন উদ্দেশ্য সাধনের জন্য যাতে সভাপতির এই পদটির মর্যাদা ক্ষুণ্ণ না হয়, পদটির মর্যাদা যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে এ ব্যাপারে সবার কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমাদের বর্তমান নির্বাচিত সভাপতির আকস্মিক মৃত্যুর ফলে সম্মানজনক এই পদটির গুরুত্ব ও সম্মানের ব্যাপারে সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে, যাতে এই পদটির মর্যাদা অক্ষুণ্ণ থাকে।

গত ৪ মে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির শূন্য পদে নির্বাচন বিষয়ে ডাকা বিশেষ সাধারণ সভা তুমুল হট্টগোলে পণ্ড হয়। এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা।

ওইদিন সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেছিলেন, হট্টগোলের কারণে বিশেষ সাধারণ সভা মুলতবি ঘোষণা করা হয়েছে। আর আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা দাবি করেছেন, সাধারণ সভায় কণ্ঠভোটে এ এম আমিন উদ্দিন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।

এরপর গত ৫ মে বুধবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির শূন্য পদে নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত নির্বাচিত আইনজীবীরা পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে।

সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ভোটবিহীন ক্ষমতা দখলের যে চর্চা বর্তমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাসীনরা চালু করেছে, মঙ্গলবারের এ ঘটনা তারই ধারাবাহিকতা। তিনি বলেন, শূন্য পদে সভাপতি কে হবেন সেজন্য মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা শুরুর আগেই বিশেষ সাধারণ সভা স্থগিত করেছেন সম্পাদক। কোনো ধরনের আলোচনা কিংবা সেখানে সভাপতি পদে কোনো নির্বাচন হয়নি। এছাড়া বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়েছিল সভাপতি পদ পূরণে করণীয় নির্ধারণের জন্য, নির্বাচনের জন্য নয়। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় রচিত হলো। যেটি সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবী হিসেবে কখনোই আমাদের কাম্য ছিল না।

অন্যদিকে একই বিষয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীদের মধ্যে বারের কার্যনির্বাহী কমিটিতে নির্বাচিত অপর সদস্যরা পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় সমিতির সহ-সভাপতি মুহাম্মদ শফিক উল্যা বলেন, মঙ্গলবারের সাধারণ সভায় আমার সভাপতিত্ব করার সিদ্ধান্ত আগেই গৃহীত হয়েছিল এবং তার রেকর্ড আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে।

উল্লেখ্য, ২০২১-২০২২ সেশনের সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনে ১৪টি পদের মধ্যে সভাপতি পদসহ ৮টি পদে জয়ী হয় সরকার সমর্থক সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ (সাদা)। অপরদিকে, সম্পাদকসহ বাকি ৬টি পদে জয়ী হয় বিএনপি সমর্থক জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল (নীল)।

সভাপতি পদে সাদা প্যানেলের প্রার্থী আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু নির্বাচিত হন। কিন্তু করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৪ এপ্রিল আবদুল মতিন খসরু ইন্তেকাল করেন। ফলে সভাপতি পদটি শূন্য হয়ে যায়।


আরো সংবাদ



premium cement
গাজায় সাহায্য বাড়াতে ইসরাইলকে নির্দেশ আইসিজের দিল্লি হাইকোর্টে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা খারিজ বস্ত্র-পাট খাতে চীনের বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ জামালপুরে সাব রেজিস্ট্রারকে হত্যার হুমকি মামলায় আ’লীগ নেতা গ্রেফতার গাজায় অনাহার যুদ্ধাপরাধ হতে পারে : জাতিসঙ্ঘ ‘প্রত্যেককে কোরআনের অনুশাসন যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে’ মতলব উত্তরে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের শেষ ধাপের পরীক্ষা শুক্রবার লম্বা ঈদের ছুটিতে কতজন ঢাকা ছাড়তে চান, কতজন পারবেন? সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন ভুটানের রাজা বছরে পৌনে ৩ লাখ মানুষের মৃত্যু দূষণে

সকল