২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

২৫ রোজাদারকে গ্রেফতারে জামায়াতের তীব্র নিন্দা

২৫ রোজাদারকে গ্রেফতারে জামায়াতের তীব্র নিন্দা - ছবি সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া পৌর এলাকায় ইফতার মাহফিল থেকে ২৫ জন রোজাদার ও সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নে মে দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠান থেকে পাঁচজন শ্রমিককে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ নিন্দা জানান।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, পুলিশ সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া পৌর এলাকার ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামের বাড়িতে অনুষ্ঠিত এক পারিবারিক ইফতার মাহফিল থেকে ২৫ জন রোজাদারকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এদের মধ্যে আটজনকে বিস্ফোরক আইনে মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়ে বাকীদের ছেড়ে দেয়া হয়। অপর দিকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়ন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন আয়োজিত মে দিবসের আলোচনা সভা থেকে পুলিশ পাঁচজন শ্রমিককে গ্রেফতার করে। এ আলোচনা সভা থেকে মটরসাইকেল পাঁচটি, অটোরিকশা দুইটি, ইজিবাইক তিনটি, ব্যাটারি চালিত রিকশা ভ্যান দুটি ও ছয়টি মোবাইল জব্দ করে নিয়ে যায় পুলিশ।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এ ঘটনায় জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা শাহিনুর আলম ও জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলামসহ ৩৭ জনকে আসামি করে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে সদর থানায় মামলা দেয়া হয়েছে। শাহজাদপুর উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা আব্দুল খালেককে তার বাসার সামনে থেকে ধরে এনে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এ সব গ্রেফতার নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা ওয়ারেন্ট ছিল না। তাদেরকে হয়রানির জন্যই গ্রেফতার করা হয়েছে।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে পুলিশ সারা দেশেই অভিযান চালিয়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করছে। সরকার মানুষের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। গোটা দেশ আজ এক বৃহৎ কারাগারে পরিণত হয়েছে। আমি পুলিশের এই অন্যায় গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, পবিত্র রমজান মাসের শেষ দশক চলছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম প্রধান এ দেশে রমজান মাসব্যাপী ধর্মীয় ভাব-গাম্ভির্যময় পরিবেশ বিরাজ করে। বহু বছর ধরে এ দেশে ইফতার মাহফিল হয়ে আসছে। বর্তমানে ইফতার মাহফিল বাংলাদেশের ধর্মীয়-সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে যা এ দেশের সংস্কৃতিরই অংশ। ইফতার মাহফিলে দল-মত নির্বিশেষে সব শ্রেণীর মানুষ অংশগ্রহণ করে আত্মশুদ্ধি লাভ করে। অথচ সরকার এমন একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে ধর্মপ্রাণ মানুষকে গ্রেফতার করে অন্যায় করেছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। সরকার সেই অপরাধীদের গ্রেফতার না করে উল্টো সিয়াম পালনকারী ধর্মপ্রাণ মানুষকে গ্রেফতার করছে। শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে এটি অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে এ ঘটনা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। আমি গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

অপর এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান পুলিশের এই অন্যায় গ্রেফতার অভিযানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি


আরো সংবাদ



premium cement

সকল