২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সুপার বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপন কাজ সময়ের মধ্যে শেষ করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

সরকারি কোম্পানিগুলোকে নিজস্ব সক্ষমতা অর্জন করতে হবে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা - ফাইল ছবি

খাল খনন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হুঁশিয়ারী উচ্চারণ উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘সাবধান! খাল খননের নামে যেসব কাণ্ড হয় এটা তিনি (প্রধানমন্ত্রী) জানেন। আমরাও সবাই মোটামুটি জানি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধীনে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থাপন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনকি সরকারি সব কোম্পানিগুলোকে নিজস্ব সক্ষমতা অর্জন করার নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষের সাথে যুক্ত হয়ে একনেক বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে প্রকল্পগুলো এবং প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, সভায় ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৯০১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সুপার বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রকল্পের বিষয়ে বলেছেন, অনেক দিন হয়ে গেছে, আপনারা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে পারছেন না। প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে। এরপর আর কোনো সময় বাড়ানো হবে না। একনেকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সরকারি সব কোম্পানিগুলোকে নিজস্ব সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। দীর্ঘদিন কোনো সরকারি কোম্পানিকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না। এ ছাড়া উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম তৈরিতে সবধরনের মানুষকে সুযোগ দিতে হবে বলে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আরো বলেছেন, সেচ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সবাইকে সাবধান হতে হব। যেসব খাল খননের মাধ্যমে পানি ধরে রাখা হবে, সেসব খালের গভীরতা যেন ঠিক থাকে। নামমাত্র খনন করে যেন প্রকল্প শেষ করা না হয়।

অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো, ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, ৯৫ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন (১ম পর্যায়), ৯১২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে সাইনবোর্ড-মোরেলগঞ্জ-রায়েন্দা-শরণখোলা-বগী সড়কের (আর-৭৭৩) ১৭তম কিলোমিটারে পানগুচি নদীর উপর পানগুচি সেতু নির্মাণ, ১ হাজার ৬৪৯ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলা পর্যায়ে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ (২য় পর্যায়), ৫২৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা খরচে গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের বহুতল ভবন নির্মাণ, ১ হাজার ৫৬১ কোটি ১৮ লাখ টাকা বর্ধিত খরচে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধীনে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থাপন (১ম সংশোধিত), ৩৩৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে রাঙ্গামাটি জেলার কারিগর পাড়া থেকে বিলাইছড়ি পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন ও ব্রিজ/কালভার্ট নির্মাণ, ১ হাজার ১৫৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ, ১ হাজার ৪৫২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে তিস্তা সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকার পুনর্বাসন ও সম্প্রসারণ, ৩ হাজার ৭৬ কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে বাপবিবো’র বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ক্ষমতাবর্ধন (খুলনা বিভাগ)।


আরো সংবাদ



premium cement