২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আবদুল মতিন খসরুর দাফন সম্পন্ন

আবদুল মতিন খসরু - ছবি : সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক আইনমন্ত্রী কুমিল্লা-৫ আসনের (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরুর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বাদ আছর তার গ্রামের বাড়ি মিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে চতুর্থ জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে কুমিল্লায় ৩টি জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে তার নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা সদরের আনন্দ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাদ যোহর তার তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম খান, সাধারণ সম্পাদক বুড়িচং উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আখলাক হায়দার, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আবু জাহের, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন স্বপন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, অধ্যক্ষ সেলিম রেজা সৌরভ, মতিন খসরুর ছোট ভাই অ্যাডভোকেট আবদুল মুমিন ফেরদৌস, ছেলে আবদুল মুমিন ওয়াছিফ, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুছ ছালাম বেগসহ আরও অনেকে।

৪র্থ জানাজার নামাজ বিকাল ৪টায় ব্রাহ্মণপাড়া ভগবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজা শেষে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

আবদুল মতিন খসরু বুধবার ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।

মতিন খসরুর বর্ণাঢ্য জীবন

আবদুল মতিন খসরু ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫০ সালে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মিরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম হাজী মো. আবদুল মালেক ও মাতা জাহানারা বেগম। তিনি চার ভাই তিন বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন। তার এক ছেলে এক মেয়ে রয়েছে। বড় মেয়ে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে কর্মরত আছেন, ছেলে আর্কিটেক্ট পেশায় নিয়োজিত।

আবদুল মতিন খসরু মাধবপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি ও স্নাতক করেন। কুমিল্লা ল‘ কলেজ থেকে এল এল বি সম্পন্ন করেন। ১৯৭৮ সালে কুমিল্লা জজকোর্টে যোগ দান করেন। ১৯৮২ সালের ১৩ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০১০ সালের ২৪ আগস্ট তিনি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে কুমিল্লা-৫ আসন (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) থেকে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। পরে ১৯৯১ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে কুমিল্লা-৫ আসন (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তারপর ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে মোট পাঁচ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

আইনমন্ত্রী থাকাকালে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করেন, যা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ খোলে। শুধু রাজনীতিতে নয়, আইন এবং সামাজিক অঙ্গনেও তিনি জনপ্রিয় ছিলেন।
সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement