২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল, চিকিৎসক টিমের প্রধান

খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল, চিকিৎসক টিমের প্রধান - ছবি : সংগৃহীত

করোনায় আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা ‘স্থিতিশীল, উনি যথেষ্ট ভালো আছেন’ বলে জানিয়েছে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিমের প্রধান অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী।

রোববার বিকালে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’ বিএনপি চেয়ারপারসনকে দেখে আসার পর মেডিক্যাল বোর্ড তথা তার চিকিৎসক টিমের প্রধান মেডিসিন ও বক্ষ ব্যাথি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী সাংবাদিকদের একথা জানান।

অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত বলব যে, উনার(খালেদা জিয়া) অবস্থা খুবই স্থিতিশীল। আজকে পর্যন্ত উনি যথেষ্ট ভালো আছেন। উনি স্পিরিটেড আছেন। আমরা আশা করছি যে, যদি এভাবে আরো এক সপ্তাহ পার হওয়া যায় তাহলে ইনশাল্লাহ আমরা বিপদ থেকে মুক্ত হয়ে যাবো। মেডিক্যাল বোর্ডে অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা রয়েছেন বলেও জানান তিনি।’

এক প্রশ্নের জবাবে এই চিকিৎসক বলেন, ‘আমাদের সাথে বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা রয়েছেন। সবচেয়ে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ যে, ইউকেতে যে উনার ছেলে ও ছেলের ওয়াইফ আছেন… ডা. জোবাইদা রহমান সে ঢাকা মেডিকেল কলেজে আমার স্টুডেন্ট ছিলো উনিও সব সময় মোটিভেট করছেন। আমরা একটা টিম ওয়ার্ক হিসেবে আলোচনা করে উনার(খালেদা জিয়া) চিকিৎসা করছি। কোথাও কোনো গ্যাপ বা কোথাও কোনো রকমের সন্দেহের কিছু অবকাশ নেই।’

৭৫ বছর বয়েসী খালেদা জিয়ার স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কেমন জানতে চাইলে এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ এখন পর্যন্ত যে, উনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো আছে বলে মনে হচ্ছে।’

খালেদা জিয়াকে কি হাসপাতালে নেয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা এরকম প্রশ্ন করা হলে চিকিৎসক টিমের প্রধান বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, কোবিডে আনসারটেনিটি আছে। পৃথিবীর কেউ বলতে পারবে না যে, করোনা প্রথম সপ্তাহে কেমন থাকবে, সেকেন্ড উইকে কি বিহেব করবে। কারো পক্ষে বলা সম্ভব না। তবে আমাদের প্রস্তুতি আছে। আমরা যদি কখনো মনে করি, বিন্দুমাত্র আমাদের মনে হয় যে, তাকে হাসপাতালে নেয়া দরকার। আমরা সেই মুহুর্তে তাতক্ষনিক হাসপাতালে নিয়ে যাবো- সেই ধরনের প্রস্তুতি আমরা রেখেছি।’

সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময়ে চিকিৎসক টিমের সদস্য বক্ষব্যাথি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আব্দুস শাকুর খান, ইউরোলিজিস্ট অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন ও ডা. মো. আল মামুন পাশে ছিলেন। আরো ছিলেন চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের কর্মকর্তা শাইরুল কবির খান।বিকাল ৫টায় মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা ‘ফিরোজায়’ প্রবেশ করেন। বেরিয়ে আসেন সন্ধ্যা ৬টার পর।


আরো সংবাদ



premium cement