২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

সুবর্ণ জয়ন্তীতেই মুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চান আলাল

সুবর্ণ জয়ন্তীতেই মুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চান আলাল -

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে মুক্ত বাংলাদেশ দেখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, এই মুক্ত বাংলাদেশের জন্য, যেখানে যেটা প্রয়োজন আমরা সেটাই করব। দয়া করে আপনারা আমাদের প্রতিপক্ষ হবেন না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের কাছে আমাদের অনুরোধ।

শ‌নিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লা‌বের সাম‌নে স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে আয়োজিত এক সমা‌বে‌শে তি‌নি এসব কথা ব‌লেন।

পুলিশের উদ্দেশে আলাল বলেন, আপনারা বাংলাদেশ পুলিশ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের গর্বিত সদস্য। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আপনাদের অবদান রয়েছে। নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের আপনাদের অবদান রয়েছে। আপনারা তাহলে কেন উল্টো পথে চলতে চাচ্ছেন? এটা আমাদের বড় কষ্ট লাগে। এই ৫৬ হাজার বর্গমাইলের অসংখ্য জনগণ রয়েছে। এই জনগণের মধ্যে কারো না কারো আত্মীয় বড় অফিসার রয়েছে। আবার কোনো না কোনো বড় অফিসারের আত্মীয় এই আওয়ামী লীগ সরকারকে পছন্দ করে না। তাই বলে কি সবাইকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে? তাই বলে কি সবাইকে গ্রেফতার করতে হবে? পথে পথে আটকাতে হবে? এটা আপনাদের পবিত্র দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না।

তিনি বলেন, আজ দেখলাম এই সমাবেশে আসার সময়, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ভাইয়েরা পথে পথে আমাদেরকে আটকাচ্ছেন, সমাবেশে আসতে নিষেধ করছেন। পল্টন মোড়ে আটকাচ্ছেন, সমাবেশের চারপাশে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছেন। কাউকে বাসে উঠতে দিচ্ছেন না। আর ইরফান সেলিমের বাসা থেকে ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে, র‌্যাব দিয়ে মদ, অস্ত্র উদ্ধার করলেন। ওই মামলায় তাকে মুক্তি দিয়ে দিলেন। এভাবে বিচার করলে মানুষের মনের মধ্যে যে ভক্তি ও সম্মান সেটা ধরে রাখার কষ্ট হয়ে যায়।

বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, দেশে আজ যে দুই রকমের আইন চলছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও গণতন্ত্রকে সুবর্ণ করে নাই। গণতন্ত্রকে বিবর্ণ করে দিয়েছে। এবং এই বিবর্ণ গণতন্ত্র দিয়ে দেশ চলতে পারে না। দেশের বর্তমান যে অবস্থা, এই অবস্থা দেখার জন্য দেশ স্বাধীন হয় নাই।

সাবেক এই যুবনেতা বলেন, লুটেরা রাজত্ব করবে, ভোট ডাকাতরা যা খুশি তাই করবে, ঘরের মধ্যে সাগর-রুনি নিরাপদ না। রাস্তায় সাধারণ মানুষ শাজাহান খানের গাড়ির চাপায় কারণে নিরাপতদ না। জেলখানায় মোস্তাক নিরাপদ না। এই বাংলাদেশ আমরা চাই নাই। তিনি বলেন, এখন না হয় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হয়েছে কিন্তু ইলিয়াস, চৌধুরী আলম যখন গুম হয়েছে তখন তো এই আইন ছিল না। তাহলে কেন এত মানুষ মরতে হলো?

আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে আলাল বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও তার ভাই‌য়ের মধ্যে মারামা‌রির কারণে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির পৃথিবী থেকে চলে গেলেন। কী কারনে? তার অপরাধ কী ছিল?

পুলিশের আইজির উদ্দেশে সাবেক এই আইন প্রণেতা বলেন, আইজি সাহেব বলেছেন পুলিশের কী অপরাধ পুলিশকে মারল। পুলিশকে মারার যারা পদক্ষেপ নিয়েছেন আমরা তাদেরকে সমর্থন করি না। কিন্তু আইজি সাহেব আপনাকে বুঝতে হবে, পুলিশের বেশিরভাগ সদস্য অন্যায় আদেশ পালন করতে চান না। আপনারা ওপর থেকে চাপ দিয়ে তাদেরকে অন্যায় আদেশ পালন করতে বাধ্য করান। এই অন্যায় আদেশ তারা বেশি দিন মানবে না। যাদের দেশপ্রেম আছে, গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা আছে তারা এই অন্যায় আদেশ বেশি দিন মানবে না।

সমাবেশে উপ‌স্থি‌তি ছি‌লেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম সরোয়ার, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সহ-সভাপতি ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল, সহ-দফতর সম্পাদক নাজমুল হাসান প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement