১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শেষবারের মতো একটা লড়াই করতে হবে : দুদু

শেষবারের মতো একটা লড়াই করতে হবে : দুদু - ছবি : সংগৃহীত

গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার, বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে শেষবারের মতো বাংলাদেশে আর একটা লড়াই করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু।

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির উদ্যোগে ৩ মার্চ ১৯৭১ সালে ছাত্র সমাজ কর্তৃক স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল আমাদের নেতা (তা‌রেক রহমান) সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন। ত‌বে ওবায়দুল কাদের সাহেবকে বলতে চাই। ওবায়দুল কাদের সাহেব তাকে নিয়ে সমালোচনা করেছেন তিনি তো ‘বাঘের বাচ্চা’।

‌তি‌নি ব‌লেন, আপনারা একটা নেতা দেখানতো ৫০ বছরের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎযাপন করার জন্য উদ্বোধন করেছেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১ মার্চ উদ্বোধন করেছেন। আপনাদের তো কত বড় বড় নেতা আছে, প্রধানমন্ত্রী আছে, মন্ত্রী আছে, একটু দাঁড়িয়ে উদ্বোধন করতে পারলেন না? লাগলো তো সে তারেক রহমানকে। তাহলে তার বিরুদ্ধে কথা বলেন কেন?

ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বলেন, এই মানুষটাকে (তারেক রহমান) দেশে ঢুকতে দেন না। এই মানুষটাকে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। এই পরশু দিন একটা মামলা দিয়েছে। মামলার পর মামলা দিচ্ছেন। মামলা ছাড়া আপনারা (আওয়ামী লীগ) কিছুই দেখতে পান না। আর না হলে হুমকি ধামকি দেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি প্রশ্ন রেখে বিএনপির শীর্ষ নেতারা বলেন, মোস্তাককে কেন মেরেছে? পছন্দ হয়নি? ওই মোস্তাককে পান নাই, এই মুশতাককে মেরেছেন? লিখলে মা‌রে, বললেই মারে। কি আজব দেশ।

শেখ হাসিনার উদ্দেশে তিনি বলেন, স্বাধীনতার জন্য পতাকা উত্তোলন করেছে আমরা মেনে নিয়েছি। ইশতেহার পাঠক শাহজাহান সিরাজ আমার দলে পরে যোগদান কর‌েছেন। আপনার দল করত তো আগে। তাকে মেনে নিয়েছে। ৭ মার্চ মেনে নিয়েছি আমরা। ২৬ মার্চ সম্পর্কে কথা বলেছে, বিএনপি'র কাছে শিখেন, তারেক রহমানের কাছে শিখেন, কি করে বুকটা বড় করতে, উদার করতে হয়।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, স্বাধীনতার কথা বলবেন, ইতিহাসের কথা বলবেন, সম্মানের কথা বলবেন, শিখছেন তো একটাই, এক নেতা এক দেশ আগেও নাই পরেও নাই, ভিতরে আর কেউ নেই।

কৃষক দলের আহ্বায়ক বলেন, শেরে বাংলা ফজলুল হক, মাওলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান, সবার শেষে আমরা আমাদের নেতার কথা বলি। এই যে তারেক রহমান তার বিরুদ্ধে আপনার সমালোচনা করেন। তিনিই প্রথম বিএনপি'র পক্ষ থেকে গোপালগঞ্জ গিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত করেছেন। কত বড় হৃদয় তার। এরকম সাহস কারো আছে? আপনাদের (আওয়ামী লীগের) নিচের একজন কর্মীও যদি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করত তাহলেও বুঝতাম আপনারা একজন কর্মীকে শিক্ষিত করে ইতিহাসের কাছে দিয়েছেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, যারা সত্যকে মানে, বাংলাদেশকে মানে, দেশের ইতিহাস কে মানে, আগামী দিনটা তো তাদেরই। মিথ্যাবাদীদের না।

তিনি বলেন, তারেক রহমানের একটা কথা লেখা যাবে না। কি মানসিকতা, স্বাধীনতার ঘোষকের সন্তান, বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রীর সন্তান, বিএনপি'র অ্যাক্টিং চেয়ারপারসন তার কথা লেখা যাবে না। হায়রে আদালত, হায়রে ইতিহাস, হায়রে স্বাধীনতা, হায়রে মুক্তিযোদ্ধ। বাকস্বাধীনতা তো নাই। কি অদ্ভুত এক বাংলাদেশ আমরা বাস করছি। এটাকে ভাঙতে হবে, এটাকে সরাতে হবে। বাংলাদেশে সেই জিয়ার পতাকাকে তুলে ধরে বলতে হবে আমি জিয়া বলছি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করলাম।শেষবারের মতো বাংলাদেশ আর একটা লড়াই করতে হবে।

সংগঠনের সভাপতি ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল সালাম এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় দলটির মহাস‌চিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর,স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, বি‌শেষ সম্পাদক ডক্টর আসাদুজ্জামান রিপন, সাবেক ছাত্র নেতা ফজলুল হক মিলন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, জহির উদ্দিন স্বপন, নাজিম উদ্দিন আলম প্রমুখ বক্তব্য দেন।


আরো সংবাদ



premium cement