২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে জামায়াতের আমীর : হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি ভুলে ঐক্যবদ্ধ হই

স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশবাসীর উদ্দেশে আমীরে জামায়াতের বক্তৃতার ছবি - ছবি : নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, বিগত ৫০ বছরেও জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেনি। জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস ছাড়া দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা কঠিন। দুর্ভাগ্যের বিষয় জাতীয় ঐক্যের পরিবর্তে দেশে অনৈক্য বিভেদ বিভাজন ও বিশৃঙ্খলার পরিবেশ তৈরী করা হয়েছে। তিনি বলেন, এদেশে যেসব সমস্যা বিরাজমান সেগুলোর সমাধান সকলে মিলে করতে হবে। এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা আমাদের সকলের দায়িত্ব। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে আমাদের শপথ হবে ‘বিভেদ নয় ঐক্যের’ মাধ্যমে দেশকে গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং অধিকার আদায়ের সংগ্রামে জুলুম-নির্যাতনের শিকার হওয়া সত্ত্বেও শত প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে রাজপথে প্রতিবাদ মুখর থেকেছে। আগামী দিনেও সবাইকে সাথে নিয়ে জামায়াতে ইসলামী দেশ গড়ার রাজনীতি অব্যাহত রাখবে ইনশাআল্লাহ। তাই ক্ষমতাসীনসহ সকল রাজনৈতিক দল ও মহলের প্রতি আমাদের আহ্বান, আসুন স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির এ ঐতিহাসিক মুহূর্তে দেশের বৃহত্তর কল্যাণে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে সুস্থ ও গঠনমূলক রাজনীতির চর্চা করি। হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি ভুলে গিয়ে দেশের আলেম-ওলামা, শিক্ষক-সাংবাদিক, গবেষক, লেখক, বুদ্ধিজীবী, ছাত্র-যুবক, শ্রমিক-কৃষক ও সকল শ্রেণী পেশার মানুষসহ সর্বস্তরের জনগণ ঐক্যবদ্ধ হই। সুখী সমৃদ্ধশালী ইনসাফপূর্ণ বাংলাদেশ গঠনে হাতে হাত ধরে এগিয়ে যাই।

আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় অনলাইন প্ল্যাটফর্মে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, আ.ন.ম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, কেন্দ্রীয় প্রচার সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য আবদুর রব, শাহাবুদ্দিন, ইজ্জতুল্লাহ, মোবারক হোসেন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক হারুন অর রশিদ, শিক্ষাবিদ প্রফেসর কুরবান আলী, ড. খলিলুর রহমান মাদানী, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর মঞ্জুরুল ইসলাম ভূইয়া, সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর আবদুর রহমান মুসা, সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম, মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, দেলোয়ার হোসেন, আবদুল জাব্বার, মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল রাশেদুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তব্যের শুরুতে বিশ্বমানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ৫০তম বর্ষে পদার্পনের সুযোগ পেয়ে তিনি মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে লাখো শুকরিয়া আদায় করেন। সেই সাথে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির শুভ মুহূর্তে তিনি প্রিয় দেশবাসীকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০তম বর্ষে পদার্পনের এই মুহূর্তে আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের সকল শহীদ ও সম্মানিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাদের বীরত্ব, দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা প্রিয় জন্মভূমির স্বাধীনতা অর্জন করেছি। বিশেষভাবে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এবং মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গনি ওসমানীকে। তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ন্যায় বিচার, মানবাধিকার, জনগণের মৌলিক অধিকার বিশেষ করে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাসহ দেশের আর্থ-সামাজিক-সাংস্কৃতিক উন্নয়নে ও দেশ গাড়ার কাজে যারা প্রচেষ্টা চালিয়েছেন আমি তাদের সকলকে স্মরণ করছি।

২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পিলনাখায় স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের অতন্ত্রপ্রহরী আমাদের সেনাবাহিনীর যে সব অফিসার নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন, তিনি ঐসব বীর সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করছি। তাদের পরিবার আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিজেদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশের জনগণ অনেক আন্দোলন ও সংগ্রাম করেছে। অনেক আন্দোলন সংগ্রামের ফলে নিরপেক্ষ, অবাদ ও স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য সকল দলের সম্মতিতে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে সন্নিবেশিত হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার তা বাতিল করে দেয়। আজ বাংলাদেশে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। কেন্দ্র দখল, জাল ভোট প্রদান, ব্যালট বক্স ছিনতাই, আগের রাতেই ভোট প্রদানসহ ভোট ডাকাতির নানাবিধ ঘটনা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। নির্বাচনের প্রতি মানুষের আর কোনো আগ্রহ নেই, গণতন্ত্রের জন্য এটি অশনিসংকেত। ৫০ বছর পূর্তির বর্ষে স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে যা ঘটেছে তা আমাদের জন্য লজ্জাজনক।

ডা: শফিকুর রহমান বলেন, দেশ ও জাতির উন্নয়ন, অগ্রগতি ও স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের জন্য প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য। বিগত ৫০ বছরেও জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেনি। জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস ছাড়া দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা কঠিন। দুর্ভাগ্যের বিষয় জাতীয় ঐক্যের পরিবর্তে দেশে অনৈক্য বিভেদ বিভাজন ও বিশৃঙ্খলার পরিবেশ তৈরী করা হয়েছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের উন্নতি ও অগ্রতির জন্য দল-মত-নিবির্শেষে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা রাখে। কিন্তু আমাদের দেশে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আজও জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেনি। রাজনীতিতে এখনো অপরের মতকে সম্মান ও শ্রদ্ধা দেখানোর মানসিকতা গড়ে উঠেনি। প্রতিহিংসা, ঈর্ষা, পরস্পরকে দোষারোপ, নির্মূল, উৎখাত ও উচ্ছেদের রাজনীতি জাতিকে বিভক্ত করে রেখেছে। জোর করে ছলে বলে কৌশলে ক্ষমতায় থাকার মানসিকতার কারণে বিরোধী শক্তিকে নির্মূল করার মনোবৃত্তি দেশকে অস্থিতিশীল করে রেখেছে। দেশ গঠনে যার যতটুকু অবদান তার স্বীকৃতি দেয়ার পরিবর্তে শুধুমাত্র ভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী হওয়ার কারণে তার স্বীকৃতি দেয়া হয় না। জ্ঞানী-গুণীদের যথাযথ সম্মান ও মর্যাদা প্রদর্শনের পরিবর্তে তাদের প্রতি কটাক্ষ করে মত পার্থক্যের ব্যপ্তিকে আরো বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সংসদীয় সরকার পদ্ধতিতে সরকার ও বিরোধীদল একে অপরের পরিপূরক। গণতন্ত্রে শক্তিশালী বিরোধীদল অপরিহার্য। কিন্তু বাংলাদেশে বিরোধী দলীয় বিকাশ ও তৎপরতাকে সরকারের জন্য হুমকি মনে করা হয়। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বাংলাদেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা মারাত্মভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে জামায়াত আমীর বলেন, যে দেশের বীর সন্তানেরা ‘কথা বলার স্বাধীনতা’ অর্জনের জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, সে দেশে স্বাধীন মত প্রকাশ ও কণ্ঠরোধ করার জন্য বারবার অপচেষ্টা চালানো হয়। সংবাদপত্র ও মিডিয়ার উপর অযাচিত হস্তক্ষেপ করা হয়। সরকার মতপ্রকাশের অধিকার কেড়ে নেয়ার জন্য ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ জাতীয় সংসদে পাস করে। সম্পাদক পরিষদ, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, সকল বিরোধী দল ও বুদ্ধিজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এ আইন পাস না করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। সকলের মতামত অগ্রাহ্য করে আইনটি পাস করা হয়। মতপ্রকাশের কারণে জেলে আটক রাখার মানবাধিকার পরিপন্থী এই আইনের মাধ্যমে সংবাদ কর্মী ও সাধারণ নাগরিকদের নির্যাতনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করা হয়েছে।

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জামায়াতের আমীর বলেন, স্বাধীনতার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল মানুষের জীবনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা। আজ অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। অপরাধ ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করেছে।

হত্যা-খুন-গুম-অপহরণ-নারী-শিশু নির্যাতন ও বিচার-বহির্ভূত হত্যার শঙ্কায় গোটা জাতি উদ্বিগ্ন উৎকন্ঠিত। দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটেছে। রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অপরাধ দমনের পরিবর্তে রাজনৈতিক দলসমূহকে দমনের জন্য ব্যবহার হচ্ছে। পুলিশকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের কারণে পুলিশের মধ্যে পেশাদারিত্বের পরিবর্তে অপরাধ প্রবণতা ব্যাপকরূপ লাভ করেছে। অনেক পুলিশ কর্মকর্তা মাদক সেবনের সাথে জড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই গ্রেফতার বাণিজ্যের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েছে। পেশাদারিত্বের পরিবর্তে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য পুলিশকে ব্যবহার করা হচ্ছে।

অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে জামায়াত আমীর বলেন, জনগণের অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছিল। কৃষি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য সর্বত্রই একটি গতির সঞ্চার হয়েছিল। কিন্তু দুর্নীতি ও দুর্নীতিবাজদের, রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা, সুবিধাবাদী গোষ্ঠী ও স্বার্থান্বেষী চক্রের অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনা দেশের অর্থনীতিতে ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনে। সরকারের মন্ত্রী, সাংসদ, সরকার দলীয় রাজনৈতিক নেতা ও সুবিধাবাদী গোষ্ঠীর দ্বারা একটি দুর্নীতিবাজ চক্র গড়ে উঠে। যাদের কারণে শেয়ারবাজারের হাজার হাজার কোটি টাকা বাজার থেকে উধাও হয়ে যায়। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়। ব্যাংকসমূহ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা হয়। ডেসটিনি, হলমার্ক, কেসিনো কেলেঙ্কারী অর্থনীতিতে একটি কলঙ্কজনক ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। বিদেশে মানব পাচার, মুদ্রা পাচার দেশের অর্থনীতিতে যেমন বিপর্যয় ডেকে এনেছে তেমনি বহির্বিশ্বে দেশের সুনাম ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে। দেশে পণ্য আমদানির নামে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে পাচার হচ্ছে, আবার বিদেশে পণ্য রফতানির প্রচুর অর্থও দেশে আসছে না। দেশে ঋণ জালিয়াতি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ঋণ ব্যবহারে ব্যাপক দুর্নীতি রয়েছে। দেশের অর্থনীতিতে রাষ্ট্রীয় করপোরেশনগুলো দায়-দেনা ও লোকশানের পরিমাণ লাখ লাখ কোটি টাকা। এসব সংস্থা ঋণ নিয়ে আর পরিশোধ করে না। তাদের রাজস্ব দায়বদ্ধতা বাংলাদেশের বাজেটের প্রায় সমপরিমাণ। মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আমাদের সংসদ সদস্য বিদেশের আদালতে দোষী সাব্যস্থ ও দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় আমাদের দেশের ইমেজ ক্ষুণ্ন হয়েছে।

জামায়াত আমীর বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয় বাংলাদেশের মানুষের কষ্টে অর্জিত রিজার্ভ ফান্ডের টাকা চুরির ঘটনা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুর্নীতি। যা সারাবিশ্বে বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করেছে। ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারী রাতে ৮ কোটি ১০ লাখ ১ হাজার ৬২৩ মার্কিন ডলার চুরি হয়ে যায়। এ ঘটনার জন্য দায়েরকৃত মামলার তদন্তের জন্য ৪৬ বার সময় নিয়েও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়নি।

তিনি বলেন, সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় দলীয় লোকদের টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, ঘুষ-আত্মসাৎ, মদ-জুয়া, ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎ দেশের অর্থনীতির গতিকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী এবং অসাধু সরকারি কর্মকর্তারা লাগামহীন দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়ছে। যা দেশের গোটা অর্থনীতির জন্য এক অশনি সংকেত। দুর্নীতির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের সাধারণ জনগণ। দুর্নীতি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, অগ্রগতি ও দারিদ্র্য বিমোচনের প্রধান অন্তরায়। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির সময় ১৮০টি রাষ্ট্রের মধ্যে দুর্নীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম।

জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকা উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলেন, আমাদের প্রিয় জন্মভূমি অপার সম্ভাবনার একটি দেশ। জামায়াতে ইসলামী এ দেশকে ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। এ লক্ষ্যেই জামায়াতে ইসলামী কাজ করে যাচ্ছে। জামায়াত তার জন্মলগ্ন থেকেই সুশিক্ষা, আদর্শ নাগরিক তৈরী, নৈতিক চরিত্র গঠন, নাগরিকদের চিকিৎসা সেবা, বেকারত্ব দূরিকরণ ও যুব সমাজের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে নানামুখী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। জামায়াত দেশ ও জাতির স্বার্থে সম্ভাব্য সবধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। দেশের প্রতিটি ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সর্বোপরি জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় নিয়মতান্ত্রিকভাবে ভূমিকা রেখেছে।

জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনমুখী দল উল্লেখ করে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী মনে করে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের একমাত্র পথ হচ্ছে নির্বাচন। জামায়াতে ইসলামী অতীতের প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে এবং দশম সংসদ পর্যন্ত প্রতিটি সংসদে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিত্ব ছিল। জামায়াতে ইসলামী ১৯৭৯ সালে ৬টি, ১৯৮৬ সালে ১০টি, ১৯৯১ সালে ১৮টি ও ২টি মহিলা আসনসহ ২০টি আসন, ১৯৯৬ সালে ৩টি, ২০০১ সালে ১৭টি আসন ও ৩টি মহিলা আসন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে ২টি আসন লাভ করে। জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্যগণ জাতীয় সংসদে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করে অনন্য নজির স্থাপন করেন। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী শক্তিশালী নির্বাচন ব্যবস্থা ও নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কারের জন্য গঠনমূলক ভূমিকা রেখে চলছে। জামায়াতে ইসলামী মনে করে সত্যিকার গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অবাদ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন প্রয়োজন।

জামায়াত আমীর বলেন, ২০০১-২০০৬ মেয়াদে জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী প্রথম দুই বছর কৃষি ও পরবর্তী তিন বছর শিল্প মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতার ৫০ বছরের মধ্যে জামায়াতে ইসলামী আমীরের পরিচালনায় কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হয়। ‘চাষীর বাড়ি বাগান বাড়ি’ প্রকল্পটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। বিগত ৫০ বছরের মধ্যে মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী শিল্পমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে চিনি শিল্প লাভজনক খাতে পরিণত হয়। আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের নেতৃত্বাধীন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রতিবন্ধী, ইয়াতীম ও কিশোরদের বিকাশে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে। সততা-দক্ষতা-স্বচ্ছতার সাথে মন্ত্রণালয় পরিচালনা করে বাংলাদেশে তার এক অনন্য ইতিহাস সৃষ্টি করেন।

ইসলামী রাজনীতির বিকাশ প্রসঙ্গে জামায়াত আমীর বলেন, বাংলাদেশের অনিশ্চিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জামায়াতে ইসলামী আদর্শভিত্তিক রাজনীতির সূচনা করে। একসময় রাজনীতিকে হারাম মনে করা হতো। জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক তৎপরতায় দেশের আলেম ওলামা ইসলামী, ব্যক্তিবর্গ ইসলামের রাজনীতির গুরুত্ব উপলব্ধি করেন। ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে দেশ, সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন করতে হলে আদর্শিক মানসম্পন্ন নেতৃত্ব ও কর্মী বাহিনী গড়ে তুলতে হয়। এজন্য জামায়াতে ইসলামীর রয়েছে বিশাল সাহিত্য ভান্ডার। জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকায় ইসলামী রাজনীতির বিকাশ ঘটে। গঠনমূলক, নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক ভূমিকার মাধ্যমে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয় জামায়াতে ইসলামী। ইসলামকে জীবনব্যবস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকা দেশবাসীর মনে আশার সঞ্চার করে। লক্ষ্য বাস্তবায়নে জামায়াতে ইসলামী আদর্শবান ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব তৈরী করছে।
ইসলামী ও জাতীয় ঐক্যের উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী দেশের দেশপ্রেমিক ও সকল ইসলামী দলসমূগ, সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেম-ওলামা, ইসলামা চিন্তাবিদ, লেখক, গবেষক, ওয়ায়েজীন, মুফাসসির, মসজিদের ইমাম ও খতিবসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে নিয়ে ইসলামী মূল্যবোধের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের ওলামায়ে কেরামকে সম্মান ও মর্যাদার আসনে সমাসীন রেখে জামায়াতে ইসলামী জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার জন্য আন্তরিকভাবে ভূমিকা পালন করছে। জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ২০০৬ সালের ওলামা সম্মেলন ও চলমান সময়ে আলেমদেরকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রচেষ্টা দেশে ইসলামী ঐক্যের সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে।

আন্তর্জাতিক অঙ্গণে জামায়াতের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী বিশ্বের বিভিন্ন দেশ, ইসলামী সংগঠন, ইসলামী ব্যক্তিত্ব ও সরকার এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার সাথে যোগাযোগ ও সমন্বয় সাধন করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুতে বিশেষ করে মানবাধিকার বিরোধী কর্মকা-ে জামায়াতে ইসলামী প্রতিবাদ জানিয়েছে। দেশে দেশে নির্যাতনের বিরুদ্ধে রাজপথে প্রতিবাদ জানিয়েছে। কাস্মীর, ফিলিস্তিনে মুসলিম গণহত্যা, আফগানিস্তানে রুশ আগ্রাসন, বসনিয়া চেচেনিয়ায় মুসলিম নির্যাতন, আলজেরিয়ায় গণহত্যা, আসাম থেকে মুসলিম বিতাড়ন, ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস, বার্মায় মুসলিম হত্যা, চীনের উইঘুর মুসলিম নির্যাতনসহ বিশ্বের প্রতিটি ঘটনায় জামায়াতে ইসলামী তার অবস্থান থেকে ভূমিকা পালন করেছে। বার্মা থেকে বিতাড়িত মজলুম রোহিঙ্গা মুসলমানদের পাশে দাঁড়িয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

অমুসলিমদের অধিকার নিয়ে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী অমুসলিমদের ধর্মীয় ও নাগরিক অধিকার রক্ষায় সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছে। জামায়াতে ইসলামী দরিদ্র অসহায় অমুসলিমদের পুনর্বাসন, গৃহ নির্মাণ ও কর্মসংস্থানে কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে। অমুসলিমদের উপাসনালয় ও ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি-ঘর যাতে নিরাপদ থাকে সে জন্য জামায়াতে ইসলামীর কর্মীগণ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ বিশেষ সময়ে পাহারাদারের ভূমিকা পালন করেছে।

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জামায়াতের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী সূচনালগ্ন থেকেই সকল প্রকার সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ভূমিকা পালন করে আসছে। জামায়াতে ইসলামীসর্বদাই মন্দের জবাব ভালোর মাধ্যমে দেয়ার চেষ্টা করেছে। বিগত ৫০ বছরে জামায়াতে ইসলামীরনেতা ও কর্মীরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী সবক্ষেত্রেই আক্রান্ত হয়েছে। উল্টো জামায়াতে ইসলামীর উপর দোষারোপ করা হলে মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী জাতীয় সংসদে চ্যালেঞ্জ করে বলেছিলেন, যদি প্রমাণিত হয় শিবির আগে হামলাকারী তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। জামায়াতে ইসলামী বলিষ্ঠভাবে ঘোষণা করেছে কোন সন্ত্রাসী ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তে যদি জামায়াতে ইসলামীর কর্মীর সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হয় তাকে আমরা আইনের হাতে সোপর্দ করতে প্রস্তুত। জামায়াতে ইসলামীরচ্যালেঞ্জ কেউ গ্রহণ করতে পারেনি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আমাদের সকলের। এ দেশে যেসব সমস্যা বিরাজমান সেগুলোর সমাধান সকলে মিলে করতে হবে। এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা আমাদের সকলের দায়িত্ব। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে আমাদের শপথ হবে ‘বিভেদ নয় ঐক্যের’ মাধ্যমে দেশকে গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং অধিকার আদায়ের সংগ্রামে জুলুম-নির্যাতনের শিকার হওয়া সত্ত্বেও শত প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে রাজপথে প্রতিবাদ মুখর থেকেছে। আগামী দিনেও সবাইকে সাথে নিয়ে জামায়াতে ইসলামী দেশ গড়ার রাজনীতি অব্যাহত রাখবে ইনশাআল্লাহ। তাই ক্ষমতাসীনসহ সকল রাজনৈতিক দল ও মহলের প্রতি আমাদের আহ্বান, আসুন স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির এ ঐতিহাসিক মুহূর্তে দেশের বৃহত্তর কল্যাণে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে সুস্থ ও গঠনমূলক রাজনীতির চর্চা করি। হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি ভুলে গিয়ে দেশের আলেম-ওলামা, শিক্ষক-সাংবাদিক, গবেষক, লেখক, বুদ্ধিজীবী, ছাত্র-যুবক, শ্রমিক-কৃষক ও সকল শ্রেণী পেশার মানুষসহ সর্বস্তরের জনগণ ঐক্যবদ্ধ হই। সুখী সমৃদ্ধশালী ইনসাফপূর্ণ বাংলাদেশ গঠনে হাতে হাত ধরে এগিয়ে যাই। মহান আল্লাহ আমাদেরকে সহায় হোন।

কমসূচি ঘোষণা
স্বাধীনতার ৫০ বর্ষপূতি উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামীর সকল অধঃস্তন শাখারসমূহকে নিম্নোক্ত কর্মসূচি পালনের তিনি আহ্বান জানান। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, সংগঠনের সর্বস্তরে তৃর্ণমূল পর্যায়ে মিছিল/র‌্যালি, ৫০ বছরের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি এবং দেশ গঠনে জামায়াতের ভূমিকা আলোচনা ও সেমিনারের মাধ্যমে জনগণের সামনে তুলে ধরা, স্মারক ও বুকলেট প্রকাশ করা, বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে উপহার প্রদান এভং অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গৃহ সংস্কার ও নির্মাণে সহযোগিতা প্রদান, অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা, সন্তানদের শিক্ষা উপকরণ প্রদান, মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের সহায়তা, রোগীর সেবা, করোনায় মৃত্যুবরণকারীদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা, কন্যা দায়গ্রস্থদের বিয়ে ও আত্মকর্মসংস্থানে সহযোগিতা প্রদান করা, অসহায়, এতিম, পথশিশু ও দরিদ্রদের মাঝে খাবার বিতরণ, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচি পালন করা, বছরব্যাপি রচনা, ক্বেরাত, আজান, হামদ-নাত ও দেশাত্মবোধক গান ইত্যাদি বিষয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা, ছাত্র, যুবক, শ্রমিক ও সাংস্কৃতিক বিভাগের মাধ্যমে খেলাধূলা, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুস্ঠানের আয়োজন করা এবং এর মাধ্যমে সুস্থ সংস্কৃতি তুলে ধরা, দেশের স্বাধীনতার জন্য যারা নিঃস্বার্থভাবে সংগ্রাম করেছেন, জীবন দিয়েছেন, ত্যাগ স্বীদার করেছেন তাদের জন্য এবং প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হেফাজতের জন্য পরম করুনাময় আল্লাহর দরবারে দোয়া করা। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সকল স্তরের সংগঠনগুলোকে এ কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে পালন করার জন্য তিনি নির্দেশ প্রদান করেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি


আরো সংবাদ



premium cement