২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে কবরে পাঠানোর সময় এসেছে : জাফরুল্লাহ চৌধুরী

বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সভা ও জাতীয় কাউন্সিলে জাফরুল্লাহ চৌধুরী। - ছবি : নয়া দিগন্ত

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, সময় এসেছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে কবরে পাঠানোর। তিনি কারাগারে বন্দী অবস্থায় মারা যাওয়া লেখক মোস্তাক আহমেদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, গতকাল কাশিমপুর কারাগারে ডিজিটাল আইনে কারাবন্দী মুক্ত চিন্তার লেখক মোস্তাক মারা গেছেন। তার মৃত্যুর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে জনসমক্ষে ক্ষমা চাইতে হবে, বলতে হবে আমাদের ভুল হয়েছে। মোস্তাকের পরিবারকে এখনই ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

শুক্রবার বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সভা ও জাতীয় কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘একটা জাতি কতটা সভ্য, কতটা ন্যায়ভিত্তিক তা নির্ভর করে কৃষক ও শ্রমিকের সাথে তাদের ব্যবহারের উপর। কয়েক বছর আগে খুলনা গিয়েছিলাম, তখন জুটমিল শ্রমিকরা আন্দোলন করছিল, শীতের মধ্যে কষ্টের জীবনযাপন করছিল। তাদের জন্য বেশি কিছু করতে পারিনি, কিন্তু সেই স্মৃতি এখনো ব্যথা দেয়। আপনারা শ্রমিকরাই হলেন দেশ গড়ার কারিগর, আপনাদের সৃষ্টির উপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে বাংলাদেশ। আজকে যত বৈভব, যত বড় বড় স্বপ্ন তার প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে অবদান রয়েছে আপনাদের।’

তিনি আরো বলেন, ‘আপনাদেরকে একটা কথা বলতে চাই, আপনারা আমাদের চীফ ইলেকশন কমিশনারকে যিনি গণতন্ত্রের সিরিয়াল কিলার একটা দাওয়াত দিতে পারতেন। তিনি অন্তত দেখতে পারতেন কি করে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাজ করতে হয়। গণতন্ত্রের প্রতি আপনাদের অগাধ শ্রদ্ধা। কোনো সভ্য দেশে শ্রমিকদের সাথে এরূপ আচরণ করা হয় না।’

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আজকে আপনারা না থাকলে বাংলাদেশ নেই। এই ৯৫ ভাগ মানুষ কেউ নেই। আপনাদের ১০ দফা দাবি শুনছিলাম। কোনো সভ্য দেশে পাওনা না দিয়ে বিদায় করা হয় না। বরং ক্ষতিপূরণ দেয়া হয় এবং এই কাজগুলো করা খুব সহজ। যেমন আপনাদের কাছে থেকে মাত্র মাসিক ১০০ টাকা নিয়ে আপনাদের পুরো পরিবারের চিকিৎসার ব্যবস্থা আমরা করেছি। কোনো শ্রমিকের যদি মৃত্যু হয় তাকে ৫০ লাখ টাকার বিমা দেয়া কোনো কঠিন কাজ না।’

দেশের বাইরে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করছে তাদের দেখভাল করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে শুধুমাত্র কাতারেই হাজারের উপর শ্রমিক মারা গিয়েছে। তাদের প্রত্যককে ৫০ লাখ টাকা কিরে দেয়া রাষ্ট্রের কর্তব্য।

সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি মোখলেসুর রহমান মাষ্টারের সভাপতিত্বে, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এএএম ফয়েজ হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের উপ-পরিচালক হাফিজ আহমেদ মজুমদার, শ্রমিকনেতা জাকির হোসেন, আ: হাকিম, আম্বিয়া খাতুন, ইঞ্জিনিয়ার ওসমান গনি, গোলাম কাদের, নারী কমিটির সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস, যুব কমিটির সভাপতি এম এম আই সবুজ খান প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement