২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

স্বাধীনতা কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয় : আলাল

অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল - ফাইল ছবি

স্বাধীনতা কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয় মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও যুবদলের সা‌বেক সভাপ‌তি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। সেই সাথে তিনি বলেছেন, আলজাজিরা সরকারের এমন জায়গায় ঘা দিয়েছে যাতে তারা (সরকার) ভয়ে আঁতকে উঠেছে। দেশের মানুষকে তারা ভয় পায় না। বিদেশী গণমাধ্যমকে ভয় পেয়েছে।

মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী যুবদলের উদ্যোগে সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আলাল বলেন, সাবেক সরকারি দল ও বর্তমান দায়িত্বশীল বিরোধী দল হিসেবে বিএনপিও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছে। কিন্তু এটার যে সার্বজনীনতা, সবার অংশগ্রহণমূলক, তা নষ্ট করে ফেলেছে সরকার।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আলজাজিরা আপনাদের কাপড়-চোপড় খুলে ফেলেছে, তার জন্য তো আমরা দায়ী না। আপনারা তো এমনিতেই বিবস্ত্র, আপনাদের ভিতরে-বাইরে কি আছে সব দেখা যাচ্ছে। তারপরেও আলজাজিরা আপনাদের এমন জায়গায় ঘা দিয়েছে, আপনারা ভয়ে আঁতকে উঠেছেন। দেশের মানুষকে ভয় পান না। বিদেশী গণমাধ্যমকে ভয় পেয়েছেন। ভয় পেয়ে আপনারা বাংলাদেশের মানুষের হৃদপিন্ডে আঘাত করেছেন। এমন একটা জায়গা- বীর উত্তম শহীদ জিয়াউর রহমান।’

আলাল আরো বলেন, ‘বীর উত্তম শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সেই নেতা, যার ছবি বাঁধাই করার জন্য কোনো আইন করা লাগেনি বিএনপির। জিয়াউর রহমান সেই নেতা, যার ছবি দেশের মানুষের হৃদয়ে বাঁধাই করা রয়েছে।’

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের প্রস্তাবটা তুলেছিলেন শাজাহান খান আর তা সমর্থন করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এই শাজাহান খান গণবাহিনীর লোক। শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকা অবস্থায় জাসদের তৈরি এই গণবাহিনী অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছে।

১৯৭২ সালে প্রথম মুক্তিযোদ্ধা হত্যা শুরু হয়েছিল মন্তব্য করে যুবদলের সাবেক সভাপতি বলেন, নোয়াখালীর চাটখিল থানা কমান্ডার মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দিনকে আগুনে পুড়িয়ে মারার মধ্য দিয়ে ’৭২ সালে মুক্তিযোদ্ধা হত্যা শুরু হয়। মুক্তিযুদ্ধের থানা কমান্ডারকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে এই শাজাহান খানের গণবাহিনীর দল। নবাবগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিদ্দিক মাস্টার, দোহার থানার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুনির্মল সিং, এরকম অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে শাজাহান খানের লোকেরা। যারা বেশিরভাগ আওয়ামী লীগের লোক ছিল।

তিনি বলেন, আবার রক্ষীবাহিনী হত্যা করেছিল শাজাহান খানের লোকদের। আর রক্ষীবাহিনীর সমস্ত অন্যায়, হত্যাকাণ্ডকে, সমস্ত অত্যাচার-নিপীড়নকে আইনসম্মত করার জন্য তিনি ইনডেমনিটি দিয়েছিলেন। যে কথাটি আওয়ামী লীগ বারবার বলে ’৭৫-এর পরে বিএনপি ইনডেমনিটি দিয়েছিল। কিন্তু না, প্রথম ইনডেমনিটি দিয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান নিজে। রক্ষীবাহিনীর হত্যাকাণ্ডকে জায়েজ করেছেন ইনডেমনিটি দিয়ে।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবদীন ফারুক, আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ূন আহমেদ তালুকদার প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement