১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অন্ন-বস্ত্রের সমাধানের পর গৃহহীনদের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা : তথ্যমন্ত্রী

অন্ন-বস্ত্রের সমাধানের পর গৃহহীনদের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা : তথ্যমন্ত্রী - ছবি : বাসস

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড: হাছান মাহমুদ বলেছেন, মানুষের তিনটি মৌলিক চাহিদা, অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থান। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের অন্ন ও বস্ত্রের সমস্যার সমাধান অনেক আগেই করেছেন। এখন গৃহহীনদের মাথা গোঁজার জন্য ঠাঁই করে দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।

তিনি বলেন, ‘বাসস্থানের সমস্যা এখনো আমাদের দেশে থেকে গেছে। এই সমস্যাকে চিহ্নিত করে প্রধানমন্ত্রী মুজিববর্ষে এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সমস্ত গৃহহীন মানুষকে ঘর করে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন এবং দেশে কোনো গৃহহীন মানুষ থাকবে না, ওই ঘোষণা দিয়েছেন। ৭০ হাজারের মতো পরিবারের কাছে জমিসহ ঘরের দলিল হস্তান্তর করে ওই ঘোষণা তিনি আজকে বাস্তবায়ন করে চলেছেন।’

মুজিববর্ষ উপলক্ষে শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার আশ্রয়নের ঘর ও জমির দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক জমি ও ঘর প্রদান কর্মসূচি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা অডিটোরিয়ামে তথ্যমন্ত্রীসহ রাঙ্গুনিয়ার উপকারভোগী, সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতারা উপভোগ করেন।

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাজিব চৌধুরীর সঞ্চালনায় দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট আয়েশা আক্তার।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছিলেন, মুজিববর্ষে আমরা গৃহহীনদের ঘর করে দেবো। ওই ঘোষণা শুধু ঘোষণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। তিনি তার রাষ্ট্রযন্ত্র ও দলকে কাজে লাগিয়ে হাজার হাজার ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন। শনিবার এক দিনে ৭০ হাজারের মতো ঘর তিনি উদ্বোধন করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘সমগ্র বাংলাদেশে আজকে যারা ঘর পেয়েছে তারা কখনো ভাবেনি এই ধরণের একটি জমির মালিকানাসহ দুই রুমের একটি ঘর উপহার পাবেন। এই অভাবনীয় কাজ আজকে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা করেছেন। আমার জানা নেই পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এভাবে একই দিনে ৭০ হাজার পরিবারকে ঘর দেয়া উদ্বোধন হয়েছে কিনা।’

ড: হাছান মাহমুদ বলেন, “বাংলাদেশ আগে ছিল খাদ্য ঘাটতির দেশ, এখন খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশ, অর্থাৎ আমরা ক্ষুধাকে জয় করেছি। ভরদুপুরে কিংবা সন্ধ্যার পরে শহরের অলিগলিতে কিংবা গ্রাম গ্রামান্তরে ‘মা আমাকে একটু বাসি ভাত দেন’ ওই ডাক এখন আর শোনা যায় না। কারণ বাসি ভাতের সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে অনেক আগে। আজকে কোনো ভিক্ষুক চাল ভিক্ষা নেয় না, কারণ চালের প্রয়োজন এখন আর নেই।”

তিনি বলেন, দেশকে ভিক্ষুকমুক্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ নিয়েছেন, এরপরও কিছু কিছু ভিক্ষুক আছে। তবে শুধু ভিক্ষুক যে বাংলাদেশে আছে তা নয়, অনেক দেশে ভিক্ষাবৃত্তি নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও ভিক্ষুক আছে। বাংলাদেশে যদি কেউ ভিক্ষুককে এখন দুই টাকা দেই, ভিক্ষুক তাকে দুইটা গালি দেবে। পাঁচ টাকা দিলে আপাদমস্তক তাকিয়ে দেখবে, মানুষটা কেমন। লাল রঙের ১০ টাকার নোট দিলে মোটামুটি খুশি হবে, তবে পুরাপুরি না। এই হচ্ছে আজকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে কোনো ছেঁড়া কাপড় পড়া ও খালি পায়ে মানুষ দেখা যায় না। আগে আমাদের দেশে বিদেশ থেকে পুরনা কাপড় আসতো, ওই গুলো ধোলাই করে হকার্স মার্কেটে বিক্রি হতো। ওই গুলো কিনে আমরা পড়ে সাহেব সাজার চেষ্টা করতাম। আর এখন বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক বিদেশে রফতানি হয়, আর ওইগুলো বিদেশের বড় বড় মার্কেটে বিক্রি হয়, এবং ওইগুলো পড়ে সেখানকার সাহেবরা তাদের সাহেবগিরি ঠিক রাখে, অর্থাৎ পরিস্থিতি এখন উল্টে গেছে।’

যারা ঘর পেয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা যারা ঘর পেয়েছেন তারা কখনো চিন্তা করেননি জমিসহ এরকম একটি ঘর পাবেন, কিন্তু তারা ঘর পেয়েছেন। এটি কোন সরকার দিয়েছে তা মনে রাখতে হবে। এটি দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার, নৌকা মার্কার সরকার, এটি দেশের সবধরনের ভোটের সময়ও মনে রাখতে হবে। ভোটের সময় এলে অনেক রকমের দল আপনাদের সামনে হাজির হবে, তাদের বলতে হবে কখনো আমাদের খবর নাওনি, বদমাইশরা আবার এসেছো ধোকা দিতে, এমন করে তাদের জবাব দিতে হবে।’

তিনি বলেন, যদি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকে, এখন যে গৃহহীনরা ঘর পেয়েছে তা অন্যরা ক্ষমতায় এলে কেড়ে নেবে। নৌকা মার্কার সরকার ক্ষমতায় না থাকলে অন্য কাউকেও এ ভাবে আর কেউ ঘর করে দেবে না।

প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে তথ্যমন্ত্রী ড: হাছান মাহমুদ নিজের নির্বাচনী এলাকায় নিজের ও দলের নেতৃবৃন্দের অর্থায়নে এ ধরনের কমপক্ষে ৫০টি ঘর করে দেবেন বলেও জানান অনুষ্ঠানে।

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement
ফরিদপুরের গণপিটুনিতে নিহত ২ নির্মাণশ্রমিক জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি সদস্যপদ লাভের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান

সকল