২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

দুঃসময় থেকে বাংলাদেশকে বের করতে হবে : মির্জা ফখরুল

দুঃসময় থেকে বাংলাদেশকে বের করতে হবে : মির্জা ফখরুল - ছবি - সংগৃহীত

বাংলাদেশকে দুঃসময় থেকে বের করে আনার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখন অন্যায়ভাবে বন্দি রয়েছেন। আমাদের ৩৫ লক্ষ মানুষ মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে। আমাদের শত শত কর্মী, আমাদের ভাই, আমাদের সহযোগী তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে, তাদেরকে গুম করা হয়েছে। অনেক পরিবার আজকে অত্যন্ত অসহায় অবস্থায় জীবন-যাপন করছে। শুধু বিএনপির নয়, বাংলাদেশের মানুষ ভয়াবহ একটা অবস্থার মধ্যে, দুঃসময়ের মধ্যে কাটাচ্ছে। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

দেশের গণতন্ত্রহীন অবস্থার কথা তুলে ধরতে গিয়ে সোমবার রাতে ভার্চুয়াল এক আলোচনা বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা: ফরহাদ হালিম ডোনার করোনাকালে ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন সময়ের কার্যক্রম তুলে ধরেন।

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) উদ্যোগে এই ভার্চুয়াল বিজ্ঞান মেলার ‘গ’ গ্রুপের গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়। ‘ভবিষ্যৎ বিজ্ঞানীর খোঁজে’ শীর্ষক এই ভার্চুয়াল বিজ্ঞান মেলা শুরু হয় আরো দুই মাস আগে। সোমবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমের মাধ্যমে ‘গ’ গ্রুপের সমাপনী অনুষ্ঠান হয়। এতে মাসরুর চৌধুরী, রকিন হাসান প্রত্যয়, নাহিদ চৌধুরী, সাবাব তাসরিফ জামান, আবদুল মান্নান, সোহাগ সরকার ও সুরাইয়া আখতার মৌসুমী, জান্নাতুল নওরীন উর্মি প্রমুখ প্রতিযোগী তাদের প্রণীত মডেল প্রকল্পের প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। বিচারক প্যানেলের অধ্যাপক ড. মোয়াজ্জেম হোসেন মিয়া, অধ্যাপক ড. হাসানুজ্জামান, ড. ফজলুল হক ভুঁইয়া, ড. এসএম আবদুর রাজ্জাক, ড. রেজাউল করিম প্রতিযোগীদের কাছে তাদের প্রস্তাবিত প্রকল্পের বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। বিজ্ঞান মেলার ‘গ’ গ্রুপের গ্র্যান্ড ফিনালেতে প্রথম হয়েছেন-রকিন হাসান প্রত্যয়, দ্বিতীয় সাবাব তাসরিফ জামান, এব তৃতীয় হয়েছে সুমাইয়া আক্তার মৌসুমী ও সোহাগ সরদার।

জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা: ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও বিজ্ঞান মেলার সদস্য সচিব মোস্তফা আজিজ সুমনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তার সহধর্মিণী ডা: জোবায়দা রহমান, মেলার আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো: ইকবাল, ড. সৈয়দা তাজনিন ওয়ারিস প্রমুখ। আরো অংশগ্রহণ করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, প্রকাশনা সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, জেডআরএফের ডা: শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. শাকিরুল ইসলাম খান শাকিল, মো: আনোয়ার হোসেন খোকন, আব্দুল লতিফ জনি, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মোহাম্মদ শামীম, ডা: মাসুদ আখতার জীতু, ডা: পারভেজ রেজা কাকন, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ব্যারিস্টার মীর হেলাল, উমাশা উমায়ুন মনি চৌধুরী, কেএম আসাদুজ্জামান চুন্নু, অধ্যাপক ড. মো: আখতার হোসেন, প্রকৌশলী গোলাম রহমান রাজিব, মিসেস শামীমা রাহিম, আহমেদ আলী মুকিব, সিমকি ইমাম খান, আবু হানিফ ভুঁইয়া, হাফিজুর রহমান তপু, ড. সাজ্জাদ, ফিনল্যান্ড বিএনপির এমরানুল হক চাকলাদার, যুক্তরাজ্য মহিলা দলের অঞ্জনা আলম, ফ্রান্স মহিলা দলের আলো মমতাজ, এ্যামট্যাবের বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব, দবির উদ্দিন তুষার সহ বিভিন্ন বিভিন্ন দেশের বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং জেডআরএফের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

ভার্চুয়াল বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করার জন্য জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনকে এবং বিশেষ করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেশ-বিদেশের যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে মেলাকে সফল করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানান তারেক রহমান। পাশাপাশি জেডআরএফের সকল সদস্যকে অশেষ ধন্যবাদ জানান তিনি।

ডা: জোবায়দা রহমান বলেন, আজকের অন্ধকারাচ্ছন্ন বিশ্বকে আলোর পথে নিতে বিজ্ঞান ও গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। জেডআরএফের বিজ্ঞান মেলার প্রতিযোগী, বিজয়ী এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান তিনি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিজ্ঞান, রাজনীতি এবং গণতান্ত্রিক চর্চার মধ্য দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। মুক্ত করতে হবে বাংলাদেশ। সৃষ্টি করতে হবে শহীদ জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের সেই দেশ, আমাদের নেতার (তারেক রহমান) স্বপ্নের দেশ, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার যে চেতনা সেই চেতনার বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, আমি অত্যন্ত আশাবাদী। আমরা পারবো। আমি বিশ্বাস করি, আমরা এটা পারব। আমাদের অনেক বয়স হয়ে গেছে-আমরা কিছুদিন পরে এই পৃথিবীতে থাকবো না। কিন্তু তোমরা যারা আজকে প্রজেক্ট নিয়ে এসেছো তোমাদের সংখ্যা কম নয়। আমি আশান্বিত হয়েছি তোমাদের এই কম বয়সে কী চমতকার রাষ্ট্র নিয়ে কত গভীরে চিন্তা করছো। এরা আমাদের ছেলে, এরা আমাদের ভবিষ্যত। তারা আমাদেরকে একটা সুন্দর রাষ্ট্র উপহার দেবে। জেডআরএফ যা করেছে তা অভাবনীয়। আশা করি জেডআরএফ দেশ-জাতিকে পথ দেখাবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে অনেকেই চতুর্দিকে অন্ধকার দেখেন, হতাশা দেখেন। আমি তাতে বিশ্বাস করি না। আমি বিশ্বাস করি আমরা এই অন্ধকার থেকে আলোর পথে পৌঁছাতে পারবো। আমি বিশ্বাস করি জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন যেসব মহৎ কাজ করেছে, যে মহৎ কাজে হাত দিয়েছে-তারা দেশ ও জাতিকে পথ দেখাবে।

যুব সমাজকে রাজনৈতিক সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা যদি না থাকে তাহলে আমরা যতই বলি না কেনো টেকসই উন্নয়ন বা লাগসই প্রযুক্তির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন সেটা কখনোই সম্ভব হবে না। আমার যেটা মনে হয়, আজকে বাংলাদেশের বড় সমস্যা যারা তরুণ, যারা যুবক তাদের মধ্যে রাজনৈতিক যে সচেতনতা এটা আরো বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। আমি মনে করি যে, এটার একটা বেশি রকমের ক্যাম্পেইন করা।


আরো সংবাদ



premium cement