২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

জাতিকে ধ্বংস করার জন্যই অটো পাস : ডা. জাফরুল্লাহ

- নয়া দিগন্ত

করোনার অজুহাতে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে অটো পাশের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, জাতিকে ধ্বংস করার জন্যই অটো পাস। পরীক্ষায় করোনার কারণটা একেবারেই অজুহাত। গার্মেন্টস চলছে, অফিস আদালত চলছে দেখে বোঝার কোনো কায়দা নেই এখানে করোনার প্রভাব আছে। তাই স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা কোনভাবেই সুযোগ নাই। এটা আমার জাতিকে ধ্বংস করে দেয়ার একটা অজুহাত। এই সরকার অটো পাশে সরকার।

শনিবার (২৪ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এডুকেশন রিফর্ম ইনিশিয়েটিভ আয়োজিত 'করোনাকালীন পরীক্ষায় অটো পাস: শিক্ষার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ' শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

জাফরুল্লাহ বলেন, আমরা একটা কল্যাণকর বাংলাদেশ চাচ্ছি, যেখানে পরীক্ষা দিয়েই সবকিছুতে উত্তীর্ণ হতে হবে। আগের দিনের রাজনৈতিক কর্মীরা পরীক্ষা দিয়েই ধাপে ধাপে উপরে আসতেন। এখন তো তা না, তাদেরকে বসিয়ে দেয়া হচ্ছে। এই পরিবর্তন না হলে কিছু হবে না। এই পরিবর্তন করা আমি মনে করি খুব কঠিন কাজ না।

তিনি আরো বলেন, আজকে যদি একটা সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক সরকার থাকতো, তাহলে মাথা উঁচু করে বলতে পারি- আগামী ১৫ দিনে ওষুধের মূল্য অর্ধেক হয়ে যাবে। স্বাস্থ্য খাতের সকল খরচ অর্ধেক হয়ে যাবে। ব্যবসায়ীদের পর্যাপ্ত লাভ দিয়ে এটা করা সম্ভব। ডাকাতি করে নয়। বর্তমানে ব্যবসায়ীরা যেটা করছেন, সেটা ডাকাতি।

গোলটেবিল বৈঠকে নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, যারা অটো পাস দিয়েছে তারা বলে ইংল্যান্ড ইউরোপের দিয়েছে, তাহলে আমরা দিলে সমস্যা কি। ডেফিনেটলি যেখানে সরকারই আটোপাশের সেখানে শিক্ষার্থীদের দিলে ক্ষতি কি।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থী সবাই মিলে যদি মনে করে অটোপ্রমোশন একটা লজ্জার বিষয়। এই সার্টিফিকেট সামনের দিনের লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তাহলে ছাত্ররা এটার বিরুদ্ধে এখনই আন্দোলন করতে পারে। এই সরকার শুধু গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে তাই কিন্তু নয়। এরা শয়তানি বুদ্ধিতে যেকোনো রাজনৈতিক দলের চাইতে, যেকোনো রাজনৈতিক নেতৃত্বের চাইতে বেশি। ওরা নিজেদের স্বার্থে নিজেদের লোককে গুলি করে দেবে এতোটুকু কার্পণ্য করবেন।

সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. এহছানুল হক মিলন বলেন, কোন অবস্থাতেই অটো পাশ দিয়ে এই জাতিকে আর ধ্বংস করা যাবে না। সরকার অটো পাশে আসতে পারে, সংসদ সদস্য অটো পাশে আসতে পারে। কিন্তু শিক্ষায় অটো পাস দেওয়া যাবে না। ৭২ এর গ্লানি মুছতে না মুছতেই আবার করোনায় সময় এসে অটো পাস হবে, সেটাও আমরা মেনে নিতে পারছি না। করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বিশ্বময়। বিশ্বের অন্যান্য দেশে কিভাবে শিক্ষা গুলো নিয়ে কাজ করেছে, সেগুলো আমরা অনুসরণ করলে পারতাম। কিন্তু আমরা তা করিনি। জাতিকে ধ্বংস করে দেয়ার অধিকার এই সরকারের নেই। এজন্যই বলব অবৈধ সরকারের অবৈধ সিদ্ধান্ত এ জাতি মানে না, মানবে না।

গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement