২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
পারিবারিক ঝামেলার কারণেই বারবার ডাকা হচ্ছে

২৫ দিনে তাফসির আউয়ালকে তিনবার জিজ্ঞাসাবাদ করলো দুদক

২৫ দিনে তাফসির আউয়ালকে তিনবার জিজ্ঞাসাবাদ করলো দুদক - ছবি : সংগৃহীত

পারিবারিক ঝামেলার কারণে দুর্নীতি দমন কমিশন বারবার তলব করছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুপুত্র তাফসির আউয়াল।

সাংবাদিকদের কাছে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, এতো স্বল্প সময়ে অন্য কাউকে এতোবার ডাকা হয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখার অনুরোধ করেন।

বৃহস্পতিবার দুদকে তদন্ত কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর বের হয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। গত ৩১ আগস্ট থেকে গতকাল পর্যন্ত ২৫ দিনে তাকে তিনবার ডাকা হয়েছে। কেন তাকে বারবার ডাকা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

পারিবারিক সূত্র জানায়, তাফসির আউয়াল ২০১৩ সালে মায়া বাড়োলো রিজভীকে বিয়ে করেন। তাদের একটি মেয়ে শিশু সন্তান আছে। সম্প্রতি তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। শিশু কন্যার অবস্থান কী হবে, তা নিয়ে মা-বাবা লন্ডনে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাফসির আউয়ালের স্ত্রী মায়া প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভীর মেয়ে।

তাফসির আউয়াল মনে করেন, তার জবাবে দুদকের সন্তুষ্ট না হওয়ার কিছু নেই। তারা জিজ্ঞেস করেছেন তিনি উত্তর দিয়েছি। কাগজপত্র দিয়েছেন। ডাকলে আবার আসবেন।

আপনাকে একই বিষয়ে বারবার কেন ডাকা হচ্ছে বলে মনে করেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি তো মনে করি, আমার পারিবারিক ঝামেলার জন্য বারবার ডাকা হচ্ছে। সন্তান থেকে দূরে রাখার জন্য এমনটি করা হচ্ছে। আমি আগেও বলেছি, হয়তো দুদক জানে না, আমার পারিবারিক ঝামেলা চলছে লন্ডনে। লন্ডনের আদালতও আমার ছোট মেয়েটিকে দেখাশোনার জন্য অনুমতি দিয়েছে। আমি মনে করি, আমাকে বারবার এখানে নিয়ে আসা, এখানে রেখে দেয়া ওই কারণে যাতে মেয়েকে দেখতে না পারি।’

তিনি বলেন, তার মেয়ের বয়স ২০ মাস। মেয়েকে দেখতে যেতে চান। আবার ডাকলে তো মেয়েকে দেখতে যেতে পারবেন না। না ডাকলে মেয়েকে দেখার জন্য লন্ডন যাবেন।

লন্ডন যেতে বাধা দেয়া হচ্ছে কি-না জানতে চাইলে তাফসির বলেন, ওই রকম কিছু বলেনি। আবার ডাকলে তো না এসে উপায় নেই।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লন্ডনের আদালত তার মেয়েকে দুইদিন পরপর তার কাছে রেখে দেখাশোনার অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু সেই সুযোগ থেকে তাকে সরিয়ে আনা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বারবার ডাকার বিষয়ে আমার ধারণা কী তা তো বলেছি। দুদক হয়তো এ বিষয়ে বারবার জানেন না। হয়তো তাদের দিকে করানো হচ্ছে। এটার ব্যাপারে আমি জানি না। ওনারা ভালো বলতে পারবেন। আমি আবারও আপনাদের অনুরোধ করব, আপনারা যদি পারেন জিজ্ঞেস করেন- অভিযোগটা কী? অভিযোগ কবে এসেছে এখানে। কত তাড়াতাড়ি তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ হয়েছে। যেদিন আমার অভিযোগ এসেছে সেদিন আরও যে অভিযোগ জমা হয়েছে; সেগুলোর অবস্থা কী? তদন্ত কর্মকর্তা কি নিয়োগ হয়েছে। তাদের কি তিনবার ডাকা হয়েছে। এগুলো আপনারা জিজ্ঞেস করুন।’

তাফসির আউয়াল এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে লন্ডন যান। সেখানে থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে গত ২০ আগস্ট দুদক তাফসির আউয়ালকে কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে নোটিশ দেয়। এরপর ৩১ আগস্ট প্রথম তাকে দুদক জিজ্ঞাসাবাদ করে। তারপর আরো দুইবার তাকে ডাকা হয়। এতো অল্পসময়ে কেন তাকে বারবার ডাকা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

তবে পারিবারিক ঝামেলাটা কী, সে বিষয়ে তিনি সাংবাদিকের অনেকটা খোলাসা করেছেন। জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক তাফসির পড়াশোনা করেছেন যুক্তরাজ্যে। বর্তমানে তাফসির পারিবারিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান মাল্টিমোড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।


আরো সংবাদ



premium cement