কুরবানীকে নিরুৎসাহিত করে একটি মহল তামাশা করছে : ইসলামী আন্দোলন
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৫ জুলাই ২০২০, ২০:২৮
কুরবানীকে নিরুৎসাহিত করে একটি মহল ইসলামের বিধান নিয়ে তামাশা করছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। তিনি বলেন, আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে পশু ক্রয় ও কুরবানী দিতে পারে তার সুব্যবস্থার দাবী জানান।
বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, কুরবানী মুসলমানদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। প্রত্যেক সামর্থবান ব্যক্তির পক্ষ থেকে ঈদ-উল-আযহার দিনগুলোতে পশু কোরবানী দেয়া ওয়াজিব। দেশবাসী এ গুরুত্বপূর্ণ আমল যাতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে পারে তার জন্য সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু কিছু লোক করোনাভাইরাসহ বিভিন্ন অজুহাতে এবং ইসলামের বিধান না জানার কারণে পশু কুরবানীকে নিরুৎসাহিত করছে। এ ধরণের মানুষগুলোই ইসলাম বিদ্বেষী মতলবাজ। সাধারণ দান-সদকা কুরবানীর বিকল্প হতে পারে না।
ইউনুছ আহমাদ আরো বলেন, কুরবানীর পশুর হাটের সংখ্যা কমালে জটিলতা আরো বাড়বে। এক জায়গায় অধিক ক্রেতা-বিক্রেতার ভীড় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই করোনাভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সমুন্নত রেখে পর্যাপ্ত পশুর হাটের ব্যবস্থা করতে হবে। বিশেষ করে রাজধানীসহ শহরাঞ্চলে পর্যাপ্তসংখ্যক পশুরহাটের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে, কুরবানী দাতারা সহজে ও স্বল্প সময়ে কুরবানীর জন্য পশু ক্রয় করতে পারে।
ইউনুছ আহমাদ আরো বলেন, পশুর চামড়ার দাম নিয়ে যাতে গত বছরের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য সরকারকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কুরবানীর পশুর চামড়ার মূল্য ন্যূনতম ২ হাজার টাকা নির্ধারণ করে চামড়া শিল্প রক্ষা করতে হবে। কুরবানির পশুর চামড়া এতিম ও গরিবের হক। চামড়ার দাম কমানোর মাধ্যমে এতিম-গরিবের অধিকার নষ্ট করা হচ্ছে। বাংলাদেশের কওমী মাদরাসা ও এতিমখানাগুলো জনগণের দানে পরিচালিত। কুরবানির পশুর চামড়া মাদরাসার আয়ের বড় উৎস। বিজ্ঞপ্তি।