২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

দেশের ৯৭ শতাংশ জনগোষ্ঠী বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে : বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

- ফাইল ছবি

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন,দেশে এখন বিদ্যুৎ-সুবিধাপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠী শতকরা ৯৭ ভাগে উন্নীত হয়েছে। তিনি বলেন,‘ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ বর্তমানে ২৩ হাজার ৪শ’ ৩৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জিত হওয়ার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও, ৫৮ লাখ সোলার হোম সিষ্টেম স্থাপনের মাধ্যমে অফ-গ্রিড এলাকার মানুষের জন্য বিদ্যুৎ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে।’

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বুধবার রাতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোশ্যাল রিসার্চ গ্রুপের আয়োজনে ‘বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক লাইভ ওয়েবিনারে তরুণ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে মত-বিনিময়কালে এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি উল্লেখ করেন, জমির প্রাপ্যতা, জ্বালানি পরিবহন সুবিধা এবং লোড-সেন্টার বিবেচনায় পায়রা, মহেশখালী ও মাতারবাড়ি এলাকাকে ‘পাওয়ার হাব’ হিসেবে চিহ্নিত করে মেগাপ্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

নসরুল হামিদ বলেন,‘কয়লা-ভিত্তিক রামপাল ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল প্রজেক্ট’,‘মাতারবাড়ি ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল কোল প্রজেক্ট’ এবং ‘পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্প’ স্থাপনের কার্যক্রম পুরোদমে চলছে।

তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে প্রায় ৬২৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে এবং মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যে সৌরবিদ্যুৎ-ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বেসরকারী পর্যায়ে বিল্ডিংয়ের ছাদে সৌর-বিদ্যুৎ উৎপাদনকে জনপ্রিয় করার জন্য ‘নেট মিটারিং গাইডলাইন’ প্রণীত হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও টেকসই জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে আনার পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে।

বর্তমানে ভারত থেকে ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে উল্লেখ করে নসরুল হামিদ বলেন,নেপালের সাথে দ্বিপক্ষীয় বিদ্যুৎ বাণিজ্যের জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পাশাপাশি একটি আইপিপি হতে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির জন্য নেগোসিয়েশন চূড়ান্ত করা হয়েছে।

তিনি এসময় জানান, ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে ত্রিদেশীয় সমঝোতা স্বাক্ষর চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক গ্যাস বাণিজ্যিক জ্বালানির অধিকাংশ পূরণ করে। এ সময় তিনি জানান,দেশে বর্তমানে আবিস্কৃত গ্যাস ক্ষেত্রের সংখ্যা ২৭টি, যার মধ্যে ২০টি বর্তমানে উৎপাদনে রয়েছে। ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে গ্যাসের উৎপাদন ছিল দৈনিক ১৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট, যা বৃদ্ধি পেয়ে এখন প্রায় ২ হাজার ৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত হয়েছে। পাশাপাশি দৈনিক প্রায় ৬০০মিলিয়ন ঘনফুট আমদানিকৃত এলএনজি জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হচ্ছে।

নসরুল হামিদ বলেন, তরুণদের আগ্রহ ও সচেতনতাই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে আরও সুসংহত করবে। তিনি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার ওপরও গুরুত্ব দেন। সচেতনতাই বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করবে বলে প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক কৃষ্ণ কুমার সাহা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। বাসস


আরো সংবাদ



premium cement
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বদরের শিক্ষায় ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : সেলিম উদ্দিন ইসলামের বিজয়ই বদরের মূল চেতনা : ছাত্রশিবির পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের মৃত্যু : বিশ্বব্যাংক নোয়াখালীতে ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ‘আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল কাজ করে যাচ্ছে’ পুকুরে পাওয়া গেল ১০০ ইলিশ

সকল