১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

করোনা টেস্টে ফি নির্ধারণের নিন্দা বিএনপির

গুম হওয়া দুই পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয় - ছবি : নয়া দিগন্ত

করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষায় ফি নির্ধারণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, পৃথিবীতে এমন কোনো দেশ নেই যেখানে মহামারির মধ্যে না খেয়ে থাকা, অসহায় কর্মহীন মানুষদের কাছ থেকে করোনা টেস্টের জন্য টাকা নেয়া হচ্ছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ আফগানিস্তানেও করোনা টেস্টে টাকা নেয়া হয় না।

বুধবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে গুম হওয়া দুই পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে উত্তরের গাজী রেজওনুল হক রিয়াজ, আজিজুর রহমান মোছাব্বির, মিজানুর রহমান মিজান প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

পরে ‘গুম’ হওয়া মিরপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলে সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সগীর হোসেনের স্ত্রী ও তেজগাঁও থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা কাউসার আহমেদের স্ত্রীর হাতে বিএনপি চেয়ারপারসরন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন রিজভী।

‘গুম’ হওয়া পরিবারের খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দের ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি।

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রিজভী বলেন, কত বড় গণবিরোধী গণশত্রু হতে পারে এই সরকার। একজন রিকশাওয়ালা, একজন ভ্যানওয়ালা, একজন মজুর, একজন কৃষি শ্রমিক সারাদিন কাজ করার পর হয়তো ১ শ’ থেকে ২ শ’ টাকা ইনকাম করতে পারে, তাও পারে না, কেউর ৬০/৭০ টাকা ইনকাম হয়। সে ২ শ’ টাকা দিয়ে করোনা টেস্ট করবে কী করে? আমরা করোনা টেস্টে ফি নির্ধারণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

রিজভী বলেন, দেশে যদি জনগণের সরকার থাকতো এটা (টেস্টের জন্য পরীক্ষার ফি নির্ধারণ) করতো না। সরকারি চিকিৎসা পৃথিবীর বহু দেশে এমনকি বৃটিশ আমলে, পাকিস্তান আমলেও সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা অনেকটা ফ্রি ছিলো। আর উন্নত দেশগুলোতে প্রশ্নই আসে না।

তিনি বলেন, যখন এই মহামারির সময়ে মানুষকে খাদ্য দেয়া দরকার, মানুষের জিনিসপত্রের দাম কমানো দরকার ঠিক এই সময়ে তারা (সরকার) সুযোগ পেয়ে গেছে। করোনার সময়ে মানুষ আর মিছিল করতে পারবে না- এই সময়ে যত পারিস বাড়াও, বিদ্যুতের দাম, তেলের দাম বাড়াও, গ্যাসের দাম বাড়াও। একটা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সুযোগ নিয়ে জনগণকে টার্গেট করেছে ওরা।

সরকারের এহেন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিরও কঠোর সমালোচনা করেন তিনি। আমরা নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা আর্থিকভাবে ভয়ংকর কষ্টের মধ্যে পড়েছি। প্রতিবাদ ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নেই এই মুহূর্তে…। এই প্রতিবাদ জানাতে গেলে পুলিশ বলে কিনা অনুমতি লাগবে। আজকে সরকারের গুণগ্রাহী হিসেবে পুলিশ যে ভূমিকা পালন করছেন এটা ঠিক নয়। পুলিশ তো একটি নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান। তারা আচরণ করবে সরকারি দলের জন্য একরম, বিরোধী দলের জন্য অন্যরকম। বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে বিএনপি শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করে প্রতিবাদ করছে সেখানেও তারা (পুলিশ) হুমকি দিচ্ছে। সরকার রক্ত চুষে নেবে প্রতিবাদ করা যাবে না।


আরো সংবাদ



premium cement