২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শিক্ষার্থীদের জন্য অনুদানের ব্যবস্থা করুন

শিক্ষার্থীদের জন্য অনুদানের ব্যবস্থা করুন - সংগৃহীত

করোনা সংকট মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ ন্যুনতম কোনো ভুমিকাই পালন করতে পারেনি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ঢাবি ছাত্রদল। শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাবি ছাত্রদলের আহবায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব সংগঠনের পক্ষ থেকে এই অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি, ঢাবির প্রায় ৪২ হাজার শিক্ষার্থীর অধিকাংশই আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের। অনেক শিক্ষার্থীই টিউশনি করে সৎ পথে জীবনযাপন করে থাকেন। বিগত প্রায় আড়াই মাস ধরে করোনা সঙ্কট চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অদ্যাবধি করোনা সংকট মোকাবিলায় কোনো ভুমিকা পালন করতে পারেনি। উপরন্তু তারা প্রধানমন্ত্রীর যে ত্রাণ ফান্ড রয়েছে সেখানে ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন। এই অনুদান দেয়া কোনোভাবেই ঠিক কাজ হয়নি। আমরা ঢাবি ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি।

এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের জন্য অনুদানের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি গত ৫ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে চালু হওয়া করোনাভাইরাস সংক্রামণের নমুনা পরীক্ষা কেন্দ্র ৩১ মে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে তা চালুর দাবি জানিয়েছেন রাকিব।

নয়া পল্টনে ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য সচিব মো. আমানউল্লাহ আমান। সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ভেতর দিয়ে মেট্রো রেলপথ ও স্টেশন স্থাপন বাতিলের দাবি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে ঢাবি ছাত্রদলের আহবায়ক রাকিব বলেন, আমরা ক্যাম্পাসের ভেতর দিয়ে মেট্রো রেলপথ ও স্টেশন নেয়ার বিষয়টি ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করি। যেভাবে এই মেট্রোরেল পথ নেয়ার জন্য ইতিমধ্যে টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত অনেক পুরনো শতবর্ষের গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এটা সাধারণ শিক্ষার্থীদের আবেগ-অনুভুতিতে আঘাত করেছে। আমরা আবারো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আহবান জানাচ্ছি বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার জন্য। আর যেন একটি গাছও কাটা না হয়।

ঢাবি কর্তৃপক্ষের অনলাইস ক্লাস চালুর পরিকল্পনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনলাইন ক্লাসের বিষয়ে ভিসি স্যারের নেতৃত্বে একটি কমিটি হয়েছে। দ্রুত তারা একটা সিদ্ধান্ত নেবেন। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে- অনলাইন ক্লাস যদি চালু করা হয় সেজন্য অবকাঠামো ঠিক করে যেন তা চালু করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য যেন অনুদানের ব্যবস্থা করা হয়। বিশেষ করে এনড্রয়েড মোবাইল সেট কেনা সেটা যেন দেখা হয়। সব শিক্ষার্থীদের তো প্রয়োজন নেই, যাদের প্রয়োজন তারা যেন এই সহযোগিতা নিয়ে অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে গত ২৯ মার্চ থেকে ৬ জুন পর্যন্ত ক্যাম্পাস ও তার আশ-পাশে ত্রাণ-বিতরণ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আর্থিক সহযোগিতার কার্যক্রম তুলে ধরে আমান বলেন, গত ২৫ শে মার্চ ক্যাম্পাস বন্ধের পর থেকে অদ্যাবধি ঢাবি ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় এক হাজার অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। তিন শতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থীদের আমরা আর্থিক সহযোগিতাও করেছি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, তিন নেতার মাজার, দোয়েল চত্বর, চানখারপুল, রমনার অস্তাচল গেট ও নীলক্ষেত এলাকায় সহস্রাধিক কর্মহীন মানুষ, ঢাবির কর্মচারীদের মাঝে ঢাবি ছাত্রদলের উদ্যোগে মাস্ক, স্যানিটাইজার, চাল, ডাল, পেঁয়াজ, আলু, ছোলা, চিনি, লাচ্ছা সেমাই, শাড়ী ও লুঙ্গিসহ ঈদ উপহারসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। ৩০ শে মে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাবি ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালিত হয়। নীলক্ষেত সিটি করপোরেশন মার্কেট, তিন নেতার মাজার এবং ঢাকা মেডিক্যালের করোনা ইউনিটের সম্মুখে সাধারণ মানুষের হাত ধোয়ার বেসিন স্থাপন কার্যক্রম পরিচালনা করেছে ঢাবি ছাত্রদল।


আরো সংবাদ



premium cement