১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিদ্যুতের ভর্তুকিতে পকেট ভারী হচ্ছে ব্যবসায়ীদের, গ্রাহকরা ভোগান্তিতে : আল্লামা কাসেমী

আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী - সংগৃহীত

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেছেন, দেশের বিদ্যুৎ খাতে একদিকে রাষ্ট্রীয় অর্থের বিপুল অপচয়, অনিয়ম চলছে, অন্যদিকে উচ্চমূল্য ও ভৌতিক বিলের কারণে গ্রাহক ভোগান্তিও চরমে গিয়ে ঠেকেছে। ভর্তুকির নামে জাতীয় অর্থনীতি থেকে হাজার হাজার কোটি টাকায় ব্যবসায়ীদের পকেট ভারি হচ্ছে। শুক্রবার এক বিবৃতিতে জমিয়ত মহাসচিব এ সব বলেন।

তিনি বলেন, দেশে অর্ধেকেরও বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্র অহেতুক বসিয়ে রাখার কারণে প্রতি বছর কেন্দ্রভাড়া বাবদ হাজার হাজার কোটি টাকার লোকসান দিতে হচ্ছে রাষ্ট্রীয় খাত থেকে। ৫৭ ভাগ বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের কোনো কার্যক্রমই নেই। বিগত অর্থ বছরে অলস কেন্দ্রগুলোকে ৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়েছে। ফলে বিদ্যুৎখাতের অযৌক্তিক সকল ব্যয়ভার জনগণের কাঁধেই ওঠছে।

তিনি আরো বলেন, একদিকে ৫৭ শতাংশ বিদ্যুৎকেন্দ্র অলস থাকা সত্ত্বেও নতুন নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ থেমে নেই। অন্যদিকে রাজধানী ও কয়েকটা মহানগরী বাদে মফস্বলের জেলা ও গ্রামীণ পর্যায়ে সমানে লোড শেডিং চলছে। এর সাথে পাল্লা দিয়ে খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে ভৌতিক বিদ্যুৎ বিল আশংকাজনকহারে বাড়ছে। অনেক পরিবারের অভিযোগ, ঘরে অল্প কয়েকটা লাইট-ফ্যান। কিন্তু মাস শেষে বিল আসছে দেড়, দুই হাজার বা তারও বেশি টাকা। অভিযোগ করলেও প্রত্যাশিত কোনো সমাধান মিলছে না।

আল্লামা কাসেমী বলেন, অনিয়ম বন্ধ ও সরকারি সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ না নিয়ে তড়িগড়ি বিদ্যুৎখাতে বিপুল বেসরকারি অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়াটাই ছিল জাতীয় স্বার্থ পরিপন্থী। এতে বিদ্যুৎ সঙ্কট সমাধানের দৃশ্যমান প্রয়োজনের আড়ালে কার্যত ব্যক্তি, গোষ্ঠি ও ব্যবসায়িদের স্বার্থকেই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

জমিয়ত মহাসচিব বলেন, দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে বিদ্যুৎখাতকে ব্যবসায়িক বৃত্ত থেকে বের করে আনতে হবে। অন্যথায় বিদ্যুৎ খাতের এই বিপুল ব্যয়ভার জাতীয় অর্থনীতিতেই কেবল বিরূপ প্রভাব ফেলবে না, বরং জনদূর্ভোগ ও শোষণের বিশাল কারণ হয়ে দেখা দেবে।


আরো সংবাদ



premium cement