১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন খালেদা জিয়া

গত ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে ছয় মাস সাজা স্থগিত রেখে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয় সরকার - ছবি : সংগৃহীত

নির্ধারিত ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষ হলেও করোনা পরিস্থিতির উন্নতি বা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ‘হোম কোয়ারেন্টাইনেই’ থাকবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণে এখন সারা বিশ্বের যে অবস্থা এবং সারাদেশে এখন লকডাউনের মতো হয়ে গেছে-এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তো ১০০% তাকে (খালেদা জিয়া) কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। সেখানে উনি সেইফ আছেন। এখন উনি সম্পূর্ণ হোম কোয়ারেন্টাইন পরিবেশেই থাকবেন। আমরা আশা করি, এর মধ্যে (কোয়ারেন্টাইন অবস্থায়) উনি ভালো থাকবেন। যখন এই (করোনাভাইরাস সংক্রমণ) পরিস্থিতির সমস্যাটা কমবে তখনই পরবর্তী অবস্থার কথা আমরা চিন্তা করবো।

দলীয় প্রধান খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ম্যাডাম যথেষ্ট অসুস্থ। এখনো ইনফ্যাক্ট উনার অসুখের ইম্প্রুভমেন্ট খুব বেশি হয় নাই। একটা মূল বিষয় ছিলো, তাকে চিকিসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া। দূর্ভাগ্যজনকভাবে তারা বলেছেন যে, দেশের বাইরে যাওয়া যাবে না। দেশের অভ্যন্তরে চিকিৎসা সেবার যে অবস্থা, তাতে করে তো সব ডাক্তারাও সার্ভিস দিতে পারছেন না। তার ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাকে দেখেছেন, দেখছেন এবং একটা চিকিৎসা দিয়েছেন। আমরা আশা করি যে, এর মধ্যে উনি ভালো থাকবেন।


‘ডা. জোবাইদার তত্ত্বাবধায়নেই চিকিৎসা’

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিমের সদস্য বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডামের চিকিৎসার সব কিছু লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান তত্ত্বাবধায়ন করছেন। আজকে উনার ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষ হচ্ছে। এখন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পরিবারের সদস্যরা তার সাথে দেখা-সাক্ষাত করতে পারবেন।

গত ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে ছয় মাস সাজা স্থগিত রেখে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয় সরকার। সেদিন বিকাল ৫টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের থেকে মুক্তি পেয়ে অসুস্থ খালেদা জিয়া গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় আসেন।

‘ফিরোজা’র দোতলায়তে খালেদা জিয়া কোয়ারেন্টাইনে আছেন। সাথে নার্সসহ কয়েকজন আছে। এই ১৪ দিন কেউ নিচে নামেননি বলে জানান তার ব্যক্তিগত এক চিকিৎসক। ৭৫ বছর বয়সী খালেদা জিয়া রিউমাটয়েড আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখ ও দাঁতের নানা রোগে ভোগছেন।

জাহিদ বলেন, দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময়ে ধরে নির্জন কারাবাস এবং পর্যাপ্ত চিকিৎসা না হওয়া কারণে ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। হাত-পায়ে আর্থারাইটিজের প্রচণ্ড ব্যথার কারণে উনি ভীষন কষ্ট পাচ্ছেন। এই ব্যাথা উপশমের ফিজিওথেরাপি দেয়া হচ্ছে। উনার (খালেদা জিয়া) ডায়েবেটিস এখনো যথাযর্থ নিয়ন্ত্রণে আসেনি। উনাকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তুলতে দীর্ঘ এবং উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হবে।

‘ফিরোজা’য় গেটে পাহারারত নিরাপত্তা কর্মীরা জানান, ম্যাডামের বাসায় প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত করা হয়েছে। শুধুমাত্র চিকিৎসকের টিমের সদস্যবৃন্দ ও কয়েকজন নিকট আত্বীয় স্বজন আসছেন।


আরো সংবাদ



premium cement