কেজরিওয়াল কি ঢাকায় জিততে পারতেন?
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১১:০১
ভারতের আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল আজ রোববার তৃতীয়বারের মতো দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। ২০১৩ সালে তার প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সময় থেকেই অনেকে বাংলাদেশে একজন কেজরিওয়ালের আশা করছেন।
তারা মনে করছেন, কেজরিওয়ালের মতো রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ একজন মানুষ যেভাবে কংগ্রেস, বিজেপির মতো প্রতিষ্ঠিত দলকে হারিয়ে দিল্লি জয় করেছেন, বাংলাদেশেও তেমন একজনকে প্রয়োজন। এছাড়া কেজরিওয়াল সরকার দিল্লির মানুষকে যেভাবে সেবা দিয়েছে সেটা দেখেও আরো বেশি করে একজন কেজরিওয়ালকে চাইছেন বাংলাদেশের অনেক মানুষ।
কিন্তু কেজরিওয়ালের মতো কারও কি বাংলাদেশের রাজনীতি করা সম্ভব? বাংলাদেশে কি সেই পরিস্থিতি আছে?
কাগজে কলমে বাংলাদেশে ভারতের মতোই গণতন্ত্র আছে। তবে পার্থক্যটা হচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের প্রতি আগ্রহ হারিয়েছে। তাইতো সদ্য অনুষ্ঠিত দক্ষিণ ঢাকার নির্বাচনে মাত্র ২৯ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। আর উত্তরে ভোটার উপস্থিতি ছিল মাত্র ২৫ দশমিক ৩ শতাংশ।
আর কেজরিওয়াল যে নির্বাচনে জিতেছেন সেই নির্বাচনে ভোট পড়েছে প্রায় ৫৮ শতাংশ৷
এছাড়া ঢাকা সিটি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীদের নির্বাচনি প্রচারণায় সরকার দলীয় কর্মীদের বাধা এবং বিএনপির পোলিং এজেন্টদের বিরুদ্ধে মামলার হুমকি ও গ্রেপ্তারের মতো ঘটনা দিল্লির নির্বাচনের ক্ষেত্রে দেখা যায়নি।
এই অবস্থায় প্রশ্ন তোলা যেতে পারে, কেজরিওয়াল যদি ঢাকায় নির্বাচন করতেন তাহলে কি জিততে পারতেন?
আবার অন্যভাবেও বিষয়টি দেখা যেতে পারে। আমরা কেন বাংলাদেশে একজন কেজরিওয়াল আশা করছি? তিনিতো শুধু রাজ্য নির্বাচনে জিতছেন। তার দলতো ভারত জুড়ে জিততে পারছে না। ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে ৪৩৪ জন প্রার্থী দাঁড় করিয়ে কেজরিওয়ালের দল জিতেছিল মাত্র চারটি আসনে। কেজরিওয়াল নিজেও নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে লড়ে হেরেছিলেন। এরপর ২০১৯ সালে আর এত বেশি প্রার্থীর দিকে না গিয়ে মাত্র ৪০টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল আম আদমি পার্টি জিতেছে মাত্র একটিতে।
তাই বলে কেজরিওয়ালের দিল্লি জয়কে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। বাংলাদেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক চর্চা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তার মতো ক্যারিশমার লোক প্রয়োজন। সেটা সম্ভব হলেই কেবল একের অধিক কেজরিওয়ালের সন্ধান পাওয়া সম্ভব। ডয়চে ভেলে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা