২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল

চারদিকে দুর্ভিক্ষের প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে : রিজভী 

চারদিকে দুর্ভিক্ষের প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে : রিজভী  - ছবি : সংগৃহীত

নিতপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে চারিদিকে এখন দুর্ভিক্ষের প্রতিধ্বণি, দেশজুড়ে হাহাকার চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, চুয়াত্তরের চেয়েও খারাপ অবস্থা বিদ্যমান।

 শুক্রবার সকালে রাজধানীতে এক বিক্ষোভ মিছিল শেষে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে এই মিছিল হয়। সকালে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারো বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মিছিল অংশগ্রহণ করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আমিনুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন, ছাত্রদল ঢাকা পশ্চিমের সভাপতি জুয়েল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক কাউসার, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রনি, পল্টন থানা যুবদল নেতা নজরুল ইসলামসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রসংগে মিছিল শেষে এক পথসভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের একেক মন্ত্রী দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ে একেক কথা বললেও বাজার নিয়ন্ত্রণে আসছে না। মন্ত্রীদের কথা এখন চরম রসিকতায় পরিণত হয়েছে। অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্যের দাম জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। সরকারের কোথাও কোন নিয়ন্ত্রণ নেই।

নিজেদের এই সীমাহীন ব্যর্থতা ঢাকতেই বিরোধী দল ও মতকে দমন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে পুরোদমে টালবাহানা চলছে। ২৯ ডিসেম্বরের রাতের ভোটের সরকার সকল অবৈধ ক্ষমতার জোরে বেগম জিয়াকে বন্দী করে রেখেছে। গুরুতর অসুস্থ নেত্রীর জামিনে বাধা দেয়া হচ্ছে। দেশজুড়ে অরাজকতা, অনাচার, দুরাচার ঢাকতেই বেগম জিয়াকে এখনও মুক্তি দেয়া হচ্ছে না। বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা সাজানো মামলায় বন্দী করার মূল কারণই ছিল মধ্যরাতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিশ্চিত করা। বেগম খালেদা জিয়াকে বাইরে রেখে ভোট ডাকাতির কলঙ্কিত নির্বাচন কখনো সম্ভব ছিল না। কারণ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের জনগণের কাছে একজন জনপ্রিয় নেত্রীর নাম।

তিনি জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তির প্রতীক, সত্য ও ন্যায়ের প্রতীক, গণতন্ত্রের প্রতীক। এইজন্যই তার ওপর চলছে নির্যাতনের বিভিষিকা। রিজভী বলেন, কোনোভাবেই জড়িত না থাকলেও সাজানো অভিযোগ ও মামলায় সুপরিকল্পিতভাবে বেগম জিয়াকে সাজা দিয়ে বন্দী করে রেখেছে সরকার। এদেশে বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর আমলে যারা সত্যবাদী ও প্রতিবাদী কন্ঠস্বর তাদের জায়গা হয় কারাগারে। আর গণতন্ত্র হত্যাকারীরা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে রাখে। যারা এখন নিজেদেরকে সরকার বলে দাবি করছে তারা অবৈধ ও ভোট সন্ত্রাসী।

গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরে পেতে দেশের জনগণের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোন বিকল্প নেই। আর জনগণের মিলিত আন্দোলনেই কেবল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারামুক্ত হবেন এবং গণতন্ত্রের বিজয় সুনিশ্চিত হবে। আমরা এই মূহুর্তে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি চাই। মিছিলে অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীরা বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেন।


আরো সংবাদ



premium cement