ডাকসু নির্বাচন : অনশনে অসুস্থ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী প্রার্থী রবিউল হাসপাতালে
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৫ মার্চ ২০১৯, ১৫:৪৮
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) পুনর্নির্বাচনের দাবিতে আমরণ অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী প্রার্থী মো: রবিউল ইসলাম। তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এ নির্বাচনে সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক পদে তিনি প্রার্থী ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এর আগে থেকেই অংশ নেয়া ডাকসু নির্বাচনের চার প্রার্থীর সাথে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
রবিউল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। এর আগে তিনি বলেছিলেন, ‘নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে এখানে এসেছি। যে নির্বাচন আমি আশা করেছিলাম সে নির্বাচন আমরা পাইনি।’
নির্বাচনের দিনের অবস্থা বর্ণনায় রবিউল জানান, নির্বাচনের দিন প্রার্থীদের ভোট কেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি থাকলে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। আমি চাই প্রশ্নবিদ্ধ এই নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেয়া হোক।
এদিকে আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে প্রশ্নবিদ্ধ ডাকসু নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করে পুনঃতফসিল ঘোষণা ও নির্বাচনের দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো অনশন পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত শিক্ষার্থী।
তবে অনশনের ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কেউ তাদের দেখতে আসেননি।
শুক্রবার রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গিয়ে দেখা যায়, অনশনে অংশ নেয়া সবাই দুর্বল হয়ে পড়েছেন। তবে মনোবল অটুট রয়েছে তাদের। অনশনকারীদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা নাজুক। শুরুতে অনশনে তাদের সাথে অনিন্দ্য মণ্ডল অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখন অনশনস্থলে রয়েছে ছয়জন। তাদের মধ্যে একজন ছাত্রী।
অনশনকারী তাহা আল মাহমুদ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কেউ আমাদের দেখতে আসেননি। হয়তো তাদের আমাদেরকে মানুষ বলে মনে হচ্ছে না। আমরা যে ভাস্কর্যের পাদদেশে বসে আছি সেটি ডাইরেক্ট অ্যাকশনের সিম্বল। আমরা যেহেতু ডাইরেক্ট অ্যাকশনে নেমেছি তাই তারা ভয়ের মধ্যে আছে।’
অপর এক অনশনকারী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন নির্লজ্জ। সেটা তারা এরই মধ্যে বিভিন্ন ভাবে প্রমাণ করেছে। আমরা আমরণ অনশনে বসেছি। আমাদের দাবি আদায় পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এখানেই বসে থাকবো। হয়তো এখানে মৃত্যু হবে!’
এর আগে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে অনশনে বসে বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী। পরে তাদের সাথে যোগ দেন আরো চারজন। একই দিন রাত ১২টার দিকে রনি নামের এক শিক্ষার্থী অনশন ছেড়ে চলে গেলে রাত ২টার দিকে অনশনে যোগ দেন তাহা আল মাহমুদ নামে এক শিক্ষার্থী।