২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইসলামী ঐক্যজোট থেকে বাবুনগরীর পদত্যাগ

ইসলামী ঐক্যজোট থেকে বাবুনগরীর পদত্যাগ - ছবি : সংগৃহীত

হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ইসলামী ঐক্যজোট থেকে পদত্যাগ করেছেন। বুধবার রাতে তার পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করে সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছে তার পরিবার।

গতকাল পদত্যাগের একটি ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তিনি ইসলামী ঐক্যজোট থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিনি শুধু ইসলামী ঐক্যজোট নয়, হেফাজতের সিনিয়র নায়েবে আমিরের পদ থেকেও পদত্যাগ করছেন। যদিও হেফাজত থেকে পদত্যাগের ব্যাপারে পরিবার ও সংগঠনের কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

সম্প্রতি দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমান দেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা এবং ‘আওয়ামী লীগ হয়ে গেলেও আমার কোনো আপত্তি নেই’ হেফাজতের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মন্তব্যে এবং হেফাজতে আল্লামা শফীর পরিবারের একচেটিয়া দাপটের কারণে টানাপড়েন শুরু হয়। 

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগর মাদরাসার মুহতামিম মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী দীর্ঘ দিন ধরে ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র নায়েবে আমিরের পদে ছিলেন। পদত্যাগপত্রে তিনি বলেছেন, আমি আওয়ামী লীগের এজেন্টদের সাথে নেই।

আরো পড়ুন :

ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে গ্রেফতারের ঘটনা ন্যক্কারজনক জামায়াত
নিজস্ব প্রতিবেদক

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, দোয়া ও কুলখানির মতো ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে লোকদের গ্রেফতারের ঘটনা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার কয়রা চরপাড়া গ্রামের মৃত জয়নাল তালুকদারের কুলখানির অনুষ্ঠান থেকে উল্লাপাড়া উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আলাউদ্দিন আল আযাদকে গ্রেফতারের চেষ্টা এবং পরবর্তীতে মৃত জয়নাল তালুকদার ও আলাউদ্দিন আল আযাদের বাড়িতে পুলিশের ব্যাপক ভাঙচুর করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত সোমবার দুপুরে মৃত জয়নাল তালুকদারের বাড়িতে দোয়া ও কুলখানির অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে প্রায় পাঁচ থেকে সাত হাজার লোক হাজির ছিল। দোয়া শেষে খাদ্য পরিবেশনের সময় হঠাৎ করে ১০-১২ জন সাদা পোশাকধারী লোক খাবার লাইন থেকে উঠে আসে এবং উল্লাপাড়া উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আলাউদ্দিন আল আযাদকে ঘিরে ফেলে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালায়। অথচ গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়া সাদা পোশাকধারী পুলিশের কাউকে গ্রেফতার না করার ব্যাপারে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। 

বিবৃতিতে বলা হয়, মৃত জয়নাল তালুকদার আলাউদ্দিন আল আযাদের আপন ফুফা। যে কারণে তিনি ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। ইতঃপূর্বে ২০১৪ সালে এক বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে পুলিশ জামায়াত নেতা সাইদুর রহমানকে গ্রেফতার করে এবং তাকে গুলি করে হত্যা করে। ওই ধরনের কোনো ঘটনার আশঙ্কায় কুলখানিতে যোগদানকারীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং সাদা পোশাকধারী পুলিশের সাথে বাগি¦তণ্ডায় লিপ্ত হন। ওই দিন দিবাগত রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মৃত জয়নাল তালুকদারের বাড়ি এবং আলাউদ্দিন আল আযাদের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর করে এবং পাঁচজন সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার করে। 

পুলিশ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ১৫০ জনকে আসামি করে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও জাতীয় সংসদের উল্লাপাড়া আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান এবং বেলকুচি ও চৌহলী আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী আলী আলম, উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক শাহজাহান আলী ও বেলকুচি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম সোহেল এবং বেলকুচি ধুপুরিয়া-বেড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রশীদ শামীমকে আসামি করা হয়েছে। অথচ এই ঘটনায় তাদের কারো কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই। রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার হীন উদ্দেশ্যেই তাদের আসামি করা হয়েছে। ওই ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় অব্যাহতভাবে পুলিশের অভিযান চলছে। এলাকাটি এখন পুরুষশূন্য। 

দোয়া ও কুলখানির মতো ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে লোকদেরকে গ্রেফতারের ঘটনা ন্যক্কারজনক মন্তব্য করে ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত, পুলিশের অভিযান বন্ধ, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল।


আরো সংবাদ



premium cement