২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ফেসবুক একটা সমস্যাই : প্রধানমন্ত্রী

ফেসবুক একটা সমস্যাই : প্রধানমন্ত্রী - ছবি : সংগৃহীত

শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে দেশ স্থবির করে দিয়েছিল মন্ত্রীদের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এত দুর্বল চিত্তের লোক দিয়ে কী চলে? আন্দোলন বলতে যা বোঝায় তা তো ওরা করতেই পারেনি। আন্দোলন মানে রোদে পুড়বে, বৃষ্টিতে ভিজবে। এমন তো কিছু ঘটেনি। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় ফেসবুক সমস্যা করেছে মন্ত্রীদের এমন কথায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসলেই ফেসবুক একটা সমস্যাই। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে মন্ত্রীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সোমবার মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়া সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-তে সর্বোচ্চ ৫ বছরের পরিবর্তে ৭ বছরের সাজা রাখার প্রস্তাব করেছিলেন মন্ত্রীরা। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইন মন্ত্রণালয় যখন একটা সুপারিশ করে পাঠিয়েছে তখন ৫ বছরই থাকুক। অনেক কিছু ঘেঁটেই তারা আইনটি করেছে। নতুন আইনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার কথা না থাকায় ‘মোবাইল কোর্ট’ রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মুজদারের বাসায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতে মার্শা বার্নিকাটের উপস্থিতি এবং পরে তার গাড়িতে হামলার বিষয়টি কয়েকজন মন্ত্রী তুলেছিল। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকে সড়ক পরিবহন বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম জানান, বিআরটিএ-তে রেজিস্ট্রেশনের সংখ্যা অধিক। কিন্তু লাইসেন্সের সংখ্যা কম। তখন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, এডিবির সঙ্গে আমরা একটা চুক্তি করেছি। তারা দক্ষ এক লাখ গাড়ি চালক তৈরিতে সহায়তা দেবে। বৈঠকের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কোনো কথাই বলেননি নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান। তবে সড়ক দুর্ঘটনা আগের চেয়ে কমেছে বলে বৈঠক শেষে জানিছেন।

গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশে এত রুট। কোনো রুটে ওয়েট মেশিন নেই। শুধু আমার ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে মেশিন বসানে হয়েছে। এর কারণ কী? জানতে চাইলে জবাবে সড়ক বিভাগের সচিব বলেন, দেশের আরও ৪০টি হাইওয়েতে ওয়েট মেশিন বসানোর প্রক্রিয়া চলছে। যদিও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশের কোথাও আজ ছাত্ররা রাস্তায় নামেনি। রামপুরায় নেমেছে বলে শুনেছি।

আরো পড়ুন :
বাসস
মন্ত্রিসভায় সড়ক পরিবহন আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন

বেপরোয়া গাড়ি চালনায় কেউ দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারাত্মক আহত বা নিহত হলে চালকের সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদন্ড এবং জরিমানার বিধান রেখে ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বিদ্যমান আইনে একই অপরাধে ৩ বছরের কারাদন্ডের বিধান ছিল।

আজ সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠকের পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে জানান, বেপরোয়া গাড়ি চালানোর মাধ্যমে গুরুতর আহত বা প্রাণহানি ঘটালে এখন নতুন আইনে তার জন্য ৫ বছরের কারাদন্ডের বিধান রাখা হয়েছে। অতীতে যেটি ৩ বছরের কারাদন্ডের বিধান ছিল।

রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাস চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়নের দাবিতে রাজধানী জুড়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ নতুন আইনের খসড়াটি মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে উত্থাপন করে।

‘১৯৮৩ সালের মোটরযান অধ্যাদেশ সংশোধন ও পরিমার্জন করে এই আইনটি করা হয়েছে যেখানে ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিপরীতে পয়েন্ট সিস্টেম চালুর বিধান সংযুক্ত করা হয়েছে’, বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিষয়ে নতুন আইনে বলা হয়েছে, অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রে বয়স ১৮ এবং পেশাদার চালকদের লাইসেন্স পেতে বয়স ২১ হতে হবে। চালকের অপরাধের জন্য ১২ পয়েন্ট বরাদ্দ থাকবে। তার যেকোনো অপরাধের দোষসূচক পয়েন্ট কাটা যাবে। পয়েন্ট শেষ হলে তার লাইসেন্স বাতিল হবে। এছাড়া, কোনো ব্যক্তি মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স ব্যবহার করে জনসমক্ষে কোনো গাড়ি চালাতে পারবেন না। গণপরিবহন চালানোর জন্য আলাদা অনুমতি লাগবে।

আলম বলেন, ‘বেপরোয়া গাড়ি চালানোর মধ্যমে মৃত্যু হলে তদন্তে যদি প্রমাণিত হয় এটা ইচ্ছাকৃত ছিল তবে দন্ডবিধি ৩০২ ধারা অনুযায়ী তার বিচার হবে। এটার শাস্তি হবে মৃত্যুদন্ড।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তবে খসড়া আইনে বেপরোয়া গাড়ি চালনার জন্য জরিমানার সীমা উল্লেখ করা হয়নি। এটি বিচারাধীন মামলার বিচারকের ওপর ছাড়া হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement