১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৯ শাবান ১৪৪৬
`

সব ধর্মের মানুষ এক হয়ে দেশকে গড়ে তুলতে পারে : আদিলুর রহমান

শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান - ছবি : বাসস

সব ধর্মের মানুষ এক হয়ে দেশকে গড়ে তুলতে পারে মন্তব্য করে গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, ‘বাংলাদেশের কোনো মানুষ, কোনো নাগরিক যেন আর নিজেকে বঞ্চিত মনে না করেন। তারা সমাজের মূল ধারার বাইরে আছেন সেটাও যেন তারা না ভাবেন।’

তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার সেটাই বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সকলের ও বহুমাত্রিক দেশ। সকল ধর্মের মানুষ ভাষাগত ও নৃগোষ্ঠীর মানুষ একসাথে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে পারে।’

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর উত্তরায় বৌদ্ধ মহাবিহার চত্বরে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি ঢাকা অঞ্চলের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ বৌদ্ধ সর্বজনীন মহাশ্মশানের ভিত্তি স্থাপন’ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

আদিলুর রহমান খান আরো বলেন, ‘জুলাইয়ের ৩৬ দিন সমস্ত ধর্মের তরুণ-যুবকেরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রক্ত দিয়েছেন। বাংলাদেশকে নিয়ে তারা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেটার কিছুদূর বাস্তবায়নের দায়িত্ব আমরা পেয়েছি। তা পালনের চেষ্টা করছি। এক্ষেত্রে আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন।’

এ সময় বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি ঢাকা অঞ্চলের সভাপতি দীপাল চন্দ্র বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, শ্রীলংকার হাইকমিশনার মি: ধর্মপালা ওইয়ারাকোদ্দি, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকন অ্যারাল্ড গুলব্রানসেন ও রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত মো: ছিদ্দিকুর রহমান সরকার।

অনুষ্ঠানে আরো বাংলাদেশ বৌদ্ধ মহাবিহারের অধ্যক্ষ মুদিতাপাল থেরো, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির ঢাকা অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক স্বপন বড়ুয়া চৌধুরী, দীপ্তিময় বড়ুয়া সেলু, দেবাশীষ বড়ুয়াসহ বৌদ্ধ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

শিল্প উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি যেসব কাজ বাকী আছে, দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে সেগুলো এগিয়ে নেয়ার জন্য। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা যে কাজগুলো করার চেষ্টা করেছি এবং যে কাজগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছি, তার মধ্যে সকলের মধ্যে সমতা প্রতিষ্ঠা অন্যতম।’

ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘প্রাচীনকালে বহুবছর ধরে আমাদের জনপদ বৌদ্ধদের শাসনাধীনে ছিল। নেপালের লুম্বিনীতে বাংলাদেশর অর্থায়নে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ও বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় একটি বৌদ্ধ বিহার ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনে প্রকল্প নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদিত হয়েছে।’

এ সময় ধর্ম উপদেষ্টা সকলকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য সমুন্নত রেখে পরস্পরের হাত ধরে দেশকে এগিয়ে নেয়ার অনুরোধ জানান।

এছাড়া তিনি বৌদ্ধ মহাশ্মশানের সীমানা প্রাচীর ও চুল্লি স্থাপনে ধর্ম, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের যৌথ ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাস দেন।

মেজর জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত মো: ছিদ্দিকুর রহমান সরকার বলেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মহোদয় দেড় মাস আগে নির্দেশ দিয়েছিলেন, মহাশ্মশানের জন্য জায়গা দিতে হবে। আমরা এক সপ্তাহের মধ্যে জায়গার ব্যবস্থা করেছি।

উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকার প্রথমবারের মতো বৌদ্ধদের মহাশ্মশানের জন্য জায়গা বরাদ্দ দিয়েছে। নির্দিষ্টস্থানে ঢাকাবাসী বৌদ্ধদের অন্তিম শেষকৃত্য (শবদাহ) করার জন্য রাজউক ঢাকার উত্তরায় ১৬ নম্বর সেক্টরে ২৩ কাঠার প্লট বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির অনুকূলে বরাদ্দ দিয়েছে।

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement
পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে ঢাকায় পতন, চট্টগ্রামে উত্থান রুশ-মার্কিন আলোচনার ক্ষুব্ধ জেলেনস্কি, ট্রাম্পের জবাব কুয়েট ভিসির পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবি, অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ হাসিনার সাবেক সামরিক সচিব মিয়াজী আটক উদ্বোধনী ম্যাচের আগে দর্শকের আনন্দ দেবে পাকিস্তান বিমানবাহিনী শনিবার ৬ ইসরাইলি পণবন্দীকে মুক্তি দেবে হামাস খালেদা জিয়ার নাইকো মামলার রায় আজ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর্দা উঠছে আজ, মুখোমুখি পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড হাসিনার কলরেকর্ড ট্রাইব্যুনালে প্রধান উপদেষ্টার সাথে ভুটানের রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী সাক্ষাৎ ভারতীয় পানি আগ্রাসনের প্রতিবাদে উত্তাল তিস্তা অববাহিকা

সকল