২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বতসোয়ানায় কয়েকশ’ হাতির রহস্যজনক মৃত্যু

- ছবি : সংগৃহীত

বতসোয়ানায় ২৭৫টি হাতির মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু হয়েছে। সেখানে প্রায়ই ঘটছে এমন ঘটনা।

দুই সপ্তাহের ব্যবধান
ঠিক দুই সপ্তাহ আগে বতসোয়ানায় ১৫৪টি হাতি মারা গিয়েছিল। মৃত্যুর কারণ অজানা। এবার ২৭৫টি হাতির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

প্রথম ঘটনা
ওকাভাঙ্গো প্যাহ্যান্ডেল অঞ্চলে কয়েক মাস আগে প্রথম হাতিদের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল। তখন থেকেই কর্তৃপক্ষ এর কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। যেহেতু মৃত হাতিগুলোর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ খোয়া যায়নি, তাই পাচারকারীরা এবার সন্দেহের বাইরে।

এলিফেন্টস উইদাউট বর্ডার্সের রিপোর্ট
এলিফেন্টস উইদাউট বর্ডার্স জানিয়েছে, তাদের জরিপ অনুযায়ী, মৃত হাতিদের মধ্যে সব বয়সি হাতি রয়েছে। মে মাসের ২৫ তারিখে ১৬৯ এবং জুন মাসের ১৪ তারিখে ১৮৭টি হাতির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।

হাতিদের আচরণে ভিন্নতা
এলিফেন্টস উইদাউট বর্ডার্সের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, তাদের এরিয়াল ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, এখনো বেঁচে থাকা অনেক হাতির শরীর বেশ দুর্বল, তাদের চলাফেরায় ছন্দ নেই, হাঁটতে অসুবিধা হচ্ছে। কারো কারো আচরণ অসংলগ্ন। আংশিক পক্ষাঘাতের শিকার কেউ কেউ।

জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন
কিছু হাতিকে চক্রাকারে ঘুরতে দেখা গেছে। আবার কেউ কেউ দল ভেঙে অন্যদিকে চলে যাচ্ছে। কোনো রোগ বা বিষক্রিয়ায় এ অবস্থা হচ্ছে কিনা তা অনুসন্ধানে অবিলম্বে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে রিপোর্টে।

বতসোয়ানার হাতির সংখ্যা
পুরো আফ্রিকাতেই চোরা শিকারী ও পাচারকারীদের কারণে হাতির সংখ্যা দিন দিন কমলেও বতসোয়ানায় বেড়েছে। ৯০-এর দশকের শেষের দিকে যেখানে হাতির সংখ্যা ছিল ৮০ হাজার, বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১ লাখ ৩০ হাজারে।

কৃষকদের ক্ষোভ
অনেক হাতি ফসলের জমিতে গিয়ে মারা গেছে। ফলে কৃষকরা বেশ ক্ষুব্ধ। কত হাতি মরলো এ নিয়ে তাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। তাদের চিন্তা ফসলের ক্ষতি নিয়ে।

শিকারে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
বতসোয়ানায় ‘বিগ গেম হান্টিং’ পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল সরকার, যা গত বছরের মে মাস থেকে তুলে নেয়া হয়েছে। তবে করোনার কারণে এপ্রিল মাস থেকে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার কারণে কেউ বতসোয়ানায় প্রবেশ করতে পারেনি। ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement

সকল