২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে ফিরলেও, সংশয় কাটেনি

কয়লা সঙ্কটের ফলে গত ১৪ই জানুয়ারি রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। - ছবি : সংগৃহীত

কয়লা সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ায় এক মাসের মাথায় আবার উৎপাদনে ফিরেছে বাংলাদেশের অন্যতম বড় রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। তবে ডলার সঙ্কট থাকায় কয়লা আমদানি অব্যাহত রাখা যাবে কিনা সেটা নিয়ে সংশয় পুরোপুরি কাটেনি।

এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির অবস্থান বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায়। গত বছরের ১৫ আগস্ট এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়। পরে ১৭ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ২৩ ডিসেম্বর থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রস্তুত বলে বিদ্যুৎ বিভাগকে সুপারিশ করে। তবে কয়লা সঙ্কটের ফলে গত ১৪ জানুয়ারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

ডলার সঙ্কট কারণে কয়লা আমদানির জন্য এলসি খুলতে না পারায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। তখন থেকেই কয়লা আমদানির চেষ্টা চালিয়ে আসছিল বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) কর্তৃপক্ষ।

স্বাভাবিক রূপে ফিরেছে কয়লা আমদানি
মূলত ডলার সঙ্কটের কারণে দীর্ঘদিন অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসবহুল পণ্য আমদানিতে এলসি খোলার ব্যাপারে কড়া অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই তালিকায় কয়লাও পড়ে যায়। একইসাথে প্রকৃতি ক্রমশ উষ্ণ হয়ে ওঠায় বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে, যা সামনের দিনগুলোয় আরো বাড়বে। এমন অবস্থায় কবে নাগাদ কয়লা আমদানি স্বাভাবিক হবে এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্বাভাবিক উৎপাদনে ফিরবে সে নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল।

এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে ১৭ জানুয়ারি কয়লা আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলার নির্দেশনা দেয়। এরপর বিদ্যুৎ বিভাগ কয়লা আমদানির তৎপরতা শুরু করে।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হওয়ার ২৬ দিনের মাথায় ইন্দোনেশিয়া থেকে ৩০ হাজার টন কয়লা নিয়ে একটি জাহাজ মোংলা বন্দরে আসে। পরে কয়লাগুলো রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইয়ার্ডে আনা হয়। এই মজুত নিয়েই ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে উৎপাদনে ফেরে বহুল আলোচিত এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। এই উৎপাদন এখনো চলমান আছে। এরই মধ্যে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরো একটি জাহাজ ১৯ ফেব্রুয়ারি মোংলা বন্দরে আসার কথা রয়েছে।

ভারত-বাংলাদেশ নৌ প্রটোকলভুক্ত ‘এপিজে কাইস’ কয়লাবাহী জাহাজটি নোঙর করবে। এরপর সেখান থেকে ছোট লাইটার জাহাজে খালাস প্রক্রিয়া শুরু হলে এই কয়লা রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র পৌঁছানো হবে।

জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিং-এর খুলনার ব্যবস্থাপক রিয়াজুল হক এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

গত অগাস্ট থেকে এই পর্যন্ত এটি হবে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সপ্তম কয়লার চালান। সামনের সপ্তাহে ৫৫ হাজার টন কয়লার অষ্টম চালানটি ইন্দোনেশিয়া থেকে মোংলা বন্দরে আসবে বলে জানা গিয়েছে।

কয়লার জোগান অব্যাহত থাকা সংশয়ে
বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ বিনিয়োগে বাগেরহাটের রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়। কেন্দ্রটিতে মোট দুটি ইউনিট রয়েছে, যার প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা ৬৬০ মেগাওয়াট করে। এ হিসেবে কেন্দ্রটির পূর্ণ সক্ষমতা হল দৈনিক এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। ইতোমধ্যে দ্বিতীয় ইউনিটের অবকাঠামোগত কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সাধারণত প্রথম ইউনিট চালু হওয়ার তিন মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট থেকেও বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এ হিসেবে জুন মাস নাগাদ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দুটি ইউনিট পূর্ণ সক্ষমতায় চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে দেশটির চলমান লোডশেডিং সঙ্কট অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব বলে আশা করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

তবে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু রাখতে যে পরিমাণ কয়লার প্রয়োজন সেটার সরবরাহ সামনের দিনগুলোতে অব্যাহত থাকবে কিনা সেটা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম। ডলার সঙ্কটের মধ্যে কয়লার আমদানি সামনের দিনগুলোয় চলমান থাকবেন কিনা সেটার কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারেননি তিনি।

তিনি বলেন,‘আমরা নিশ্চিত নয়, কতদিন আমরা উৎপাদন করতে পারব। চেষ্টা থাকবে কয়লার সরবরাহ যাতে নিরবচ্ছিন্ন থাকে। যতদিন পর্যন্ত কয়লার সরবরাহ থাকবে ততদিন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে, না হলে বন্ধ থাকবে। দেখা যাক কি হয়।’

বিআইএফপিসিএলের তথ্যমতে, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির একটি ইউনিট পূর্ণ সক্ষমতায় অর্থাৎ ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে প্রতিদিন পাঁচ হাজার টন কয়লা পোড়াতে হয়। এ অনুযায়ী ৩০ হাজার টন কয়লা দিয়ে মাত্র ছয় দিন কেন্দ্রটির একটি ইউনিট চালানো সম্ভব। পরে ৫৫ হাজার টন কয়লা এলে তা দিয়ে কেন্দ্রটি আরো ১১ দিন চালানো যাবে।

তবে একটি বিদ্যুৎ-কেন্দ্র সারাদিন পূর্ণ সক্ষমতায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে না। ঋতু ভেদে আবার একেক বেলায় চাহিদা বুঝে কম-বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়ে থাকে। এ হিসেবে বলা যায় দিনে একটি ইউনিট সচল রাখতে তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার টন কয়লার প্রয়োজন।

এ নিয়ে আজিম বলেন, ‘যেহেতু আমাদের এখন কয়লার ঘাটতি রয়েছে তাই আমরা ফুল লোডে চালাচ্ছি না। কখনো ৩০০ মেগাওয়াট কখনো ৪০০ থেকে ৪৫০ মেগাওয়াট করে চালু রাখা হচ্ছে। যেন বিদ্যমান কয়লায় বেশিদিন চালানো যায়। এ কারণে প্রথম চালানের কয়লা দিয়ে এখনো বিদ্যুৎ-কেন্দ্রটি চলছে। এভাবে সামনে আরো চার-পাঁচ দিন চলবে।’ এ হিসেবে এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রতি ১৫ দিন পর পর ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লার সরবরাহ অব্যাহত রাখতে হবে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

কয়লা আমদানিতে এলসি জটিলতা স্বাভাবিক হওয়ায় সামনের দিনগুলোতে নিয়মিত কয়লা আসবে। ফলে এখন থেকে নিয়মিত বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) প্রকল্প পরিচালক সুভাষ কুমার পাণ্ডে।

এদিকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে কয়লা মজুতের সক্ষমতা রয়েছে তিন মাসের। নিয়ম অনুযায়ী, এক মাসের কয়লা মজুত রাখার কথা থাকলেও এতদিন কেন্দ্রটিতে কয়লার কোনো মজুত ছিল না।

গ্রীষ্মের চাহিদা সামাল দেয়া বড় চ্যালেঞ্জ
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশকেও জ্বালানি সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।
জ্বালানির অভাবে অনেক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ ও বিদ্যুৎ উৎপাদন সীমিত করে আনায় গত বছরের জুলাই থেকে টানা কয়েক মাস ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং করা হয়েছে। জ্বালানি সঙ্কটে শীত মৌসুমেও দিনে অন্তত এক ঘণ্টা নিয়মিত লোডশেডিং হয়েছে।

এদিকে ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত বাংলাদেশে কৃষি-সেচ মৌসুম। মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে রমজান শুরু হতে যাচ্ছে। মার্চ থেকে প্রকৃতিতে গরম ক্রমশ বাড়তে থাকবে। সব মিলিয়ে সামনের কয়েক মাস বিদ্যুতের চাহিদা থাকবে সর্বোচ্চ। এই চাহিদা বেড়ে দৈনিক প্রায় ১৬ হাজার মেগাওয়াটে দাঁড়াবে বলে ধারণা করছেন পাওয়ার সেল বিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেইন। এই পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা বাংলাদেশের থাকলেও বিদ্যুৎ-কেন্দ্রের জ্বালানি আমদানি করতে ডলার সঙ্কটকে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)।

বাংলাদেশে কয়লা থেকে দুই হাজার ৮৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করার কথা জানিয়েছে পিডিবি। এই কয়লার প্রায় পুরোটাই আমদানি করতে হবে।

যেখানে এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে দিনে গড়ে আট টন কয়লা লাগে। ওই হিসাবে মাসে ছয় লাখ টন কয়লা আমদানি করা লাগবে। এ বাবদ যে পরিমাণ ডলার লাগবে সেটা আদৌ কতটা নিশ্চিত করা যাবে সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে আমদানি হওয়া কয়লার পাশাপাশি অত্যন্ত ব্যয়বহুল তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) এবং তেলের ওপরো নির্ভর করে। এবার গরমকালে লোডশেডিং কোথায় গিয়ে ঠেকবে সেটি নিয়ে এখন অনেকে চিন্তা করছেন।

পাওয়ার সেল বলছে, গ্রীষ্মে বিদ্যুতের বাড়তি চাহিদা পূরণের জন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো থেকে কী পরিমাণ বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে, সেজন্য কী পরিমাণ কয়লা, এলএনজি, প্রাকৃতিক গ্যাস ও তেল লাগবে তা হিসাব করে প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে।

পাওয়ার সেল বিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, ‘১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে রামপালসহ আরো যত বিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে, এর কোনটা থেকে কতোটা মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাবো, এ হিসাবে কোন প্রকল্পে কী পরিমাণ এবং কী ধরণের জ্বালানি লাগবে, সেটার ভিত্তিতে আমাদের কত অর্থায়নের দরকার হবে সেটার সার্বিক পরিকল্পনা আমরা নীতি নির্ধারকদের কাছে উপস্থাপন করেছি এবং সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে আমরা এই আশ্বাস পেয়েছি গ্রীষ্মের সর্বোচ্চ চাহিদা মোকাবিলা করা যাবে।’ এ হিসেবে হোসেইন আশ্বস্ত করছেন যে, ডলার বা রিজার্ভের সঙ্কট যাই হোক না কেন সেটি বিদ্যুৎ খাতে কোনো প্রভাব ফেলবে না। অন্য প্রতিটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন তিনি।

এজন্য কয়লা সরবরাহ অব্যাহত রেখে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সচল রাখা প্রয়োজন, না হলে একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হলে লোডশেডিং দিতে হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। হোসেইন বলেন, ‘প্রতিটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে গুরুত্ব দিয়ে পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে এটা আমরা কিভাবে পাওয়ার জেনারেট করব। এজন্য গ্যাস, কয়লা ও এলএনজি কতোটা লাগবে সেটার একটা ওয়ার্ক-আউট অলরেডি করা হয়েছে।’

হোসাইন আরো বলেন, বিকল্প জ্বালানি হিসেবে ফার্নেস অয়েল এবং গ্যাস রয়েছে। এগুলো ব্যবহার করেও বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা রয়েছে বাংলাদেশের হাতে। এটাকে বিবেচনা করে ভবিষ্যতে শঙ্কার কোনো কারণ নাই ‘

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র
বাংলাদেশে যেসব প্রকল্প নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে তারমধ্যে একটি রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র যার আনুষ্ঠানিক নাম ২x৬৬০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট (রামপাল), বাগেরহাট পরিবেশবাদীরা বলেছিলেন, সুন্দরবনের কাছে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হওয়ায় সেখানকার জীব-বৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে। কিন্তু পরিবেশবাদীদের এমন উদ্বেগ উপেক্ষা করে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেয়া হয়।

এই বিদ্যুৎ-কেন্দ্রের বিষয়ে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয় ২০১০ সালের জানুয়ারিতে। এর ভিত্তিতে ২০১২ সালে বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের, বাগেরহাট জেলার রামপালে কয়লা-ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)-এর সাথে ভারতের ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশন (এনটিপিসি) এই চুক্তি স্বাক্ষর করে। এরপর থেকেই শুরু হয় জমি অধিগ্রহণের কাজ। পাশাপাশি নির্মাণকাজও চলতে থাকে। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পড়ে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রা:) লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) ওপর। প্রকল্প বাবদ খরচ ধরা হয় ১৬ হাজার কোটি টাকা।

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement