২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

নির্বাচন অন্যের কাছ থেকে শিখতে হবে কেন, প্রশ্ন রুমিন ফারহানার

সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা - ছবি : সংগৃহীত

নির্বাচন অন্যের কাছ থেকে শিখতে হবে কেন স্পিকারের কাছে এমন প্রশ্ন রেখে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, মাননীয় স্পিকার অবস্থা এমন হয়েছে যে, সুষ্ঠ হয়েছে নির্বাচন, ভোট দিয়েছে প্রশাসন তাঁকিয়ে ছিলো জনগণ। মাননীয় স্পিকার ভোটটা যদি এরকম না করে তাহলেই হয়। আর ভোট নেয়া কারো কাছ থেকে শিখতে হবে কেন মাননীয় স্পিকার? ভোটার যদি তার পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোটটা দিতে পারেন শুধু এইটুকু সুযোগ দেয়া হয়, যদি আগে থেকে ব্যালট বাক্স ভরে রাখা না হয়, নৌকা মানে জয় লাভ করা এই পরিস্থিতি না হয়, তাহলেই হয়। ভোট কারো কাছ থেকে শিখতে হবে না। ভোট কিভাবে দিতে হয় সেটা সবাই জানে। আর স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও যদি কারো কাছ থেকে ভোট শিখতে হয় সেটাতো বড় দুঃখজনক।

বুধবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, মাননীয় স্পিকার আরেকটি বিষয় আমাদের আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা সাথে সেপারেশন অফ পাওয়ার যে বিষয়টি সেটা অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। তিনি বলেন, একটি রাষ্ট্রের আইন প্রণয়ন করার ক্ষমতা, আইন প্রয়োগ করার ক্ষমতা এবং বিচার করার ক্ষমতা রাষ্ট্রের ভিন্ন ভিন্ন সংস্থার কাছে থাকার কথা। এবং এই তিনটি সংস্থা একেবারে স্বাধীনভাবে কাজ করবে সেটাই হলো সেপারেশন অফ পাওয়ার এর মূলনীতি।

ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, মাননীয় স্পিকার আমরা যদি সংবিধানের ২২ অনুচ্ছেদের দিকে তাকাই, আমরা দেখব সেখানে স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার কথা বলা আছে, সেপারেশন অফ পাওয়ার এর কথা বলা আছে এবং বলা হয়েছে রাষ্ট্রের নির্বাহী অঙ্গ সমূহ হইতে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ রাষ্ট্র নিশ্চিত করুন। মাননীয় স্পিকার এই ২২ অনুচ্ছেদ কিন্তু সংবিধানের মূলনীতি। এই ২২ অনুচ্ছেদের সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক হচ্ছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে আদালত চালানো। আমরা দেখেছি এটা নিয়ে রিট হয়েছে, এই দিতে হাইকোর্ট পরিষ্কার ভাষায় বলে দিয়েছ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে কোন আদালত পরিচালনা করা যাবেনা। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা যাবেনা। সেই সুস্পষ্ট রায়ের বিরুদ্ধে সরকার আপিল করেছে সে আপিলের শুনানি এখনো হচ্ছে না মাননীয় স্পিকার এবং আপিলের স্থগিতাদেশ দেয়া হয়েছে। সেই স্থগিতাদেশ এর সুবিধা নিয়ে আমরা দেখছি এখনো মোবাইল কোড গুলো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এটা সংবিধানের সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। আমি আশা করবো আইনমন্ত্রী এখানে উপস্থিত আছেন তিনি ব্যবস্থা নেবেন যেন দ্রুত আপিলটি নিষ্পত্তি হয়।

এ সময় সংসদে বিএনপির আরেক সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ বলেন, আইন পড়ে কি করবো মাননীয় স্পিকার? আপনার মাধ্যমে মাননীয় আইনমন্ত্রীকে বলতে চাই সংবিধানের সংশোধনী নিয়ে আসুন।

সংবিধানের এগারতম অনুচ্ছেদে বলা হচ্ছে প্রশাসনের সর্বস্তরের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা দায়িত্ব পালন করবে কিন্তু আজকে নির্বাচনের নামে দেশে প্রহসন হচ্ছে। নির্বাচনের নামে দেশে একটা তামাশা হচ্ছে। আমার কাছে মনে হয় এই আইনটা সংশোধন করে আপনি আইন করে নিয়ে আসেন মাননীয় সংসদ নেতা প্রশাসনের যে জায়গায় থাকে বাছাই করে নিয়োগ দেবেন তারাই দায়িত্ব পালন করবেন। তাহলে তো এই ভোটের নামে প্রহসন আর ভোটের নামে তামাশা করার কোন প্রয়োজন নাই।


আরো সংবাদ



premium cement