২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট পাস

২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট পাস - ছবি : সংগৃহীত

২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার জাতীয় বাজেট গতকাল সংসদে পাস হয়েছে। ১ জুলাই বুধবার থেকে এটি কার্যকর ও বাস্তবায়ন শুরু হচ্ছে।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকে নির্দিষ্টকরণ বিল-২০২০ পাসের মধ্য দিয়ে বাজেট পাস প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল বিলটি উত্থাপন ও পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
বিলটি পাসের আগে বিভিন্ন মন্ত্রনালয় বিভাগের ৫৯টি মঞ্জুরি দাবি কণ্ঠভোটে অনুমোদিত হয়। দাবিগুলোর ওপর বিরোধী দলের ৯ জন সদস্যেও আনিত ৪২২টি ছাটাই প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয় ও স্বাস্থ্য বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের ওপর আনিত দুটি ছাটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনার সুযোগ পান প্রস্তাবকারিরা। জাতীয় পাটির কাজী ফিরোজ রশীদ, মুজিবল হক চুন্নু, ফখরুল ইমাম, পীর ফজলুর রহমান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, লিয়াকত হোসেন খোকা, রওশন আরা মান্নান, বিএনপির হারুনুর রশীদ এবং রুমিন ফারহানা ছাঁটাই প্রস্তাবগুলো এনেছিলেন।

আগের দিন সোমবার বাজেট বাস্তবায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট আইন সমূহের পরিবর্তনের লক্ষ্যে অর্থবিল-২০২০ পাস হয়। এর আগে জাতীয় বাজেটের ওপর দুই কার্যদিবসে সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়। গত ১১ জুন সংসদে বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছিল।

গতকাল সকালে সংসদেও বৈঠক শুরু হলে বাজেটের মঞ্জুরি দাবি সমূহ অনুমোদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জন্য বরাদ্দ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এরপর অন্যান্য মন্ত্রীরা নিজ মন্ত্রনালয় ও অন্যান্য মন্ত্রনালয়ের পক্ষে মঞ্জুরি দাবি উত্থাপন করেন।

বাজেট ব্যয়ের বাইরে সরকারের বিভিন্ন ধরনের সংযুক্ত দায় মিলিয়ে মোট ৭ লাখ ৫৯ হাজার ৬৪২ কোটি ৪৪ লাখ ২১ হাজার টাকার নির্দিষ্টকরণ বিল পাস হয়। এর মধ্যে সংসদ সদস্যদেও ভোটে গৃহীত অর্থেও পরিমাণ ৫ লাখ ২৩ হাজার ৪৪৪ কোটি ২৪ লাখ ৭ হাজার টাকা এবং সংযুক্ত তহবিলের ওপর দায় ২ লাখ ৩৬ হাজার ১৯৮ কোটি ২০ লাখ ১৪ হাজার টাকা।

এবারের বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে। অন্যদিকে ব্যক্তি পর্যায়ে করমুক্ত আয়ের সীমা সীমা কিছুটা বাড়ানো হয়েছে।

বাজেটে জিডিপির আকার ধরা হয়েছে ৩১ লাখ ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। জিডিপি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮২ হাজার ১৬ কোটি টাকা। এই বাজেটে ঘাটতির (অনুদানসহ) পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা, এটি মোট জিডিপির ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ হচ্ছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৬ শতাংশ।

২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারের পরিচালনা ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ১৮০ কোটি টাকা। এরমধ্যে আবর্তক ব্যয় হচ্ছে ৩ লাখ ১১ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। এ আবর্তক ব্যয়ের মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধে খরচ হবে ৫৮ হাজার ২৫৩ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যয় হবে ৫ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা। এছাড়া সম্পদ সংগ্রহ, ভূমি অধিগ্রহণ, নির্মাণ ও পূর্তকাজ, শেয়ার ও ইক্যুইটিতে বিনিয়োগসহ মূলধনী ব্যয় হবে ৩৬ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। ৪ হাজার ২১০ কাটি টাকা ব্যয় হবে ঋণ ও অগ্রিম বাবদ।

রাজস্ব বোর্ডের রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। করবহির্ভূত রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা এবং কর বাদে প্রাপ্তির পরিমাণ হচ্ছে ৩৩ হাজার ৩ কোটি টাকা। বৈদেশিক অনুদান পাওয়ার লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৪ হাজার ১৩ কোটি টাকা।

অপ্রদর্শিত আয়ের টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ শিথিল করা হয়েছে। বাজেট প্রস্তাবে বিনিয়োগের টাকা তিন বছর বাজারে ধরে রাখার (লক-ইন) শর্ত দেওয়া হয়েছিল। দুই বছর কমিয়ে এখন শুধু এক বছর করা হয়েছে। কোনও জরিমানা ছাড়া শুধু ১০ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। সঞ্চয়পত্র, শেয়ার, বন্ড বা অন্যান্য সিকিউরিটিজের ক্ষেত্রেও একই সুযোগ রাখা হয়। এসব খাতে বিনিয়োগ করলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা সরকারের অন্য কোনও দফতর টাকার উৎস জানতে চাইবে না বলা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
ফিলিপাইনে ব্রহ্মস পাঠাল ভারত, ৩৭৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি চীনের মোকাবেলায় নতুন ডিভিশন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে! আবারো চেন্নাইয়ের হার, ম্লান মোস্তাফিজ 'কেএনএফ' সন্ত্রাস : সার্বভৌম নিরাপত্তা সতর্কতা অর্থনীতিতে চুরি : ব্যাংকে ডাকাতি পাকিস্তানে আফগান তালেবান আলেম নিহত যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য না করলে এ বছরই রাশিয়ার কাছে হারতে পারে ইউক্রেন : সিআইএ প্রধান রাশিয়ার সামরিক শিল্পক্ষেত্রে প্রধান যোগানদার চীন : ব্লিংকন ইরাকে সামরিক ঘাঁটিতে 'বিকট বিস্ফোরণ' শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার

সকল