২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এতো বড় বাজেটও বাংলাদেশে বাস্তবায়ন সম্ভব প্রমাণ হবে : অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ মুস্তফা কামাল - ছবি : সংগৃহীত

২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটটি বাস্তবায়নে দেশের সব মানুষ এগিয়ে আসবেন এবং প্রমাণ হবে এত বড় বাজেটও বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ মুস্তফা কামাল।

সোমবার সংসদে বাজেট বক্তব্যে তিনি বলেন, বিগত পাঁচ বছরের প্রত্যেকটি বাজেটে আমরা যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলাম তার চাইতে প্রকৃত অর্জন আরো অনেক বেশি ছিল। গত ১০ বছরে জিডিপিতে আমাদের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮৮ শতাংশ। যা বিশ্বের সবার ওপরে। আমাদের কাছাকাছি ছিল চীন। সেখানে জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭৭ শতাংশ। আর ভারত ছিল ১১৭ শতাংশে। গত ১১ বছরে আমাদের জিডিপির আকার বেড়েছে তিনগুণ।

সংসদে সোমবার বাজেট আলোচনার সমাপনী টেনে অর্থবিল পাশের আগে অর্থমন্ত্রী বক্তব্য রাখেন। স্পিকার ড. শিরীণ শারমিন চৌধুরী এসময় বৈঠকে সভাপতিত্ব করছিলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এই বাজেটটি বাস্তবায়নে আমাদের দেশের সব মানুষ এগিয়ে আসবেন, যারা আমাদের প্রাণশক্তি। আমরা প্রমাণ করবো, এত বড় বাজেটও বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। সত্য বড় কঠিন। আমরা জেনেশুনেই কঠিনেরে ভালোবেসেছি।

তিনি বলেন, আমরা গতবছর অটোমেশন শুরু করেছিলাম। কিন্তু শেষ করতে পারিনি। এই করোনার জন্য তা শেষ হয়নি। আমরা বিশ্বাস করি, যতদ্রুত সম্ভব এই বছর এটা আমরা বাস্তবায়ন করবে। বারবার একটিমাত্র কথা উঠে আসে, আমাদেও রেভিনিউ টু জিডিপির অনুপাত ১০ ভাগেরও নিচে। আমাদের মতো দেশ কারোরই ১৮ শতাংশের নিচে না। আমরা হিসাব কওে দেখেছি, এই ১০ ভাগ থেকে যদি আমরা ১৪ ভাগে উঠতে পারি, তাহলে আমাদের বছরে আমরা অর্জন করতে পারি আরও এক লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা। আরও বেশি করতে পারলে তো আরও বেশি সম্ভাবনা আছে। এজন্য আমাদের অটোমেশন দরকার।

মুস্তফা কামাল বলেন, বাজেট উপস্থাপনের সাত দিন পরেই এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি নিয়ে আরেকটি গবেষণা করে। সেখানে তারা দেখিয়েছেন, এ বছর বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। আমাদের প্রক্ষেপণ হলো ৮ দশমিক ২ শতাংশ। আমাদের কাছাকাছি তাদের প্রক্ষেপণ। সুতরাং, আমরা বিশ্বাস করি আমরা সক্ষম হবো আমাদের এই বাজেটটি বাস্দবায়ন করতে।

তিনি বলেন, নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে আমরা এ অঞ্চলের অনেকের খাদ্য জোগান দিতে পারবো।আমাদের কঠোর পরিশ্রমের আত্মপ্রত্যয়ী কৃষক ভাইদের কারণে অতিসম্প্রতি আমরা ইন্দোনেশিয়াকে পেছনে ফেলে চাল উৎপাদনে আমাদের অবস্থান করে নিয়েছি। গত ৫০ বছরে আমাদের খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে প্রায় সাড়ে চারগুণ। যা বিশ্বে একটি রেকর্ড।

তিনি বলেন, পান দোকান, মুদি দোকান থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র, কুটির এবং ছোটবড় সব ব্যবসায়ী সব শ্রেণির মানুষ যারা কষ্টে আছেন তাদের সবার জন্যই এবারের বাজেট। এদেশের কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে এ বাজেট থেকে বাদ দিতে পারিনি। কাউকে বাদ দিতে পারলে বাজেটের আকার ও ঘাটতি অবশ্যই ছোট রাখা যেত।

প্রসঙ্গত, গত ১১ জুন ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট সংসদে পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। আজ বাজেট পাস হবে। কাল ১ জুলাই থেকে সেটি কার্যকর হবে।


আরো সংবাদ



premium cement