১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সুন্দরবনের গোলখালীতে আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র হবে : সংসদে মন্ত্রী

সুন্দরবনের গোলখালীতে আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে, সংসদে জানালেন মন্ত্রী - ছবি : ইউএনবি

খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার সুন্দরবনের কোলে বঙ্গোপসাগরের পাদদেশে গোলখালীতে আধুনিক মানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো: মাহবুব আলী।

তিনি জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে পর্যটন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার কাজ শুরু করেছে। দেশী-বিদেশী বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি মাস্টারপ্লান কাজ শুরু করেছে। মাস্টারপ্লান চূড়ান্ত হওয়ার পর বাস্তবায়ন কাজ শুরু হবে।

সংসদে বৃহস্পতিবার বেসরকারি সদস্যদের সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের আলোচনাকালে তিনি এ কথা বলেন। বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে সংক্রান্ত প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন সরকার দলের মো: আক্তারুজ্জামান বাবু (খুলনা-৬)।

প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, বিশে^র সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন এখন বিশ^ঐতিহ্যের অংশ, যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। বিশে^র বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকরা সুন্দরবনে আসেন। কিন্তু বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও দক্ষিণ খুলনার গোলখালীতে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়নি। ফলে সুন্দরবনের সৌন্দর্য্য উপভোগের পাশাপাশি ওই এলাকার ইতিহাস-ঐতিহ্য জানা থেকে পর্যটকরা বঞ্চিত হচ্ছেন।

বাবু বলেন, কয়রার গোলখালীতে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হলে সেখান থেকে সুন্দরবনের সৌন্দর্য্যকে উপভোগের পাশাপাশি পাইকগাছা-কয়রার ইতিহাস-ঐতিহ্য ও পুরাকীর্তিগুলো জানা ও দেখার সুযোগ হবে। পাইকগাছা উপজেলার প্রবেশ করেই মহাকবি মাইকেল মধুসুদনের স্মৃতিবিজড়িত কপোতাক্ষ নদের পাড়ে কপিলমুনিতে মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম যুদ্ধক্ষেত্র রয়েছে। সেখানে রয়েছে ব্রিটিশ আমলের রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু আধুনিক হাসপাতাল ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র। পাইকগাছা উপজেলার রাড়–লি গ্রামে রয়েছে জগৎ বিখ্যাত বিজ্ঞানী আচার্য্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় (পিসি রায়)-এর গ্রামের বাড়ি। কয়রা উপজেলার আমাদিতে শত শত বছরের পুরানো মসজিদকুড় মসজিদ। কয়রার বেদকাশীতে আছে রাজা প্রতাপাদিত্যের জমিদার বাড়িসহ নানা স্থাপনা। ফলে পুরো এলাকাজুড়ে পর্যটন জোন গড়ে তোলা হলে চিংড়ির পাশাপাশি পর্যটন খাত থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায়ের সম্ভবনা রয়েছে।

ওই প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়ে নিজ নিজ এলাকায় একই ধরণের প্রকল্প গ্রহণের প্রস্তাব করেন সরকার দলের সৈয়দা রুবিনা আক্তার, শহীদুজ্জামান সরকার, আ ক ম সরওয়ারজাহান ও পংকজ দেবনাথ এবং বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক ও রওশন আরা মান্নান।

জবাবে প্রতিমন্ত্রী মহাবুব আলী পর্যটন খাতে সরকারের নেয়া পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি সংসদ সদস্যদের ডিও লেটারের ভিত্তিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পর্যটন বিষয়ক নতুন প্রকল্প গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রস্তাবটি প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। মন্ত্রীর অনুরোধে পরে মূল প্রস্তাবটি প্রত্যাহার করেন সংসদ সদস্য মো: আক্তারুজ্জামান বাবু। বিধি অনুযায়ী কণ্ঠভোটে সেটি প্রত্যাহৃত হয়।


আরো সংবাদ



premium cement
মানবতার কল্যাণে জীবন বাজি রেখে আন্দোলনে ভূমিকা রাখতে হবে : জামায়াত আমির আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৭ ফিট তামিমকে যেকোনো ফরম্যাটের দলে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক বিকেবি ও রাকাব একীভূতকরণের প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন অপহৃত চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার রামেক আইসিইউতে, গ্রেফতার ২ বাংলাদেশের নতুন স্পিন কোচ পাকিস্তানের সাবেক তারকা ক্রিকেটার মান্দায় বিদ্যুৎপৃষ্টে দর্জি ব্যবসায়ীর মৃত্যু সমর্থকদের মাতামাতি করতে মানা করলেন শান্ত বান্দরবানের কেউক্রাডং পাহাড়ে যৌথ বাহিনীর অভিযান : আটক ৮, অস্ত্র উদ্ধার স্বাধীনতা সূচকে ১৬৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪১তম নাটোর পৌরসভা কার্যালয়ের ভিতরে দুপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত

সকল