১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সংসদে সামুদ্রিক মৎস্য বিল উত্থাপন

-

সংসদে বুধবার ‘সামুদ্রিক মৎস্য আইন-২০২০’ নামে একটি বিল উত্থাপন করা হয়েছে। এই সম্পর্কিত অধ্যাদেশকে হাল নাগাদ করে আইনে রুপ দিতে বিলটি আনা হয়েছে বলে বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ হিসেবে বলা হয়েছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ খান খসরু বিলটি উত্থাপন করেন। পরে সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংসদের রিপোর্ট দেয়ার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এসময় বৈঠকে সভাপতিত্ব করছিলেন।

বিলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে শাস্তি বৃদ্ধির প্রস্তাব রয়েছে। বিস্ফোরক ব্যবহার করে, অচেতন বা অক্ষম করে মাছ ধরলে তিন বছরের জেল বা এক কোটি টাকা দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। আগের আইনে এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান ছিল। বেআইনিভাবে মাছ ধরা, সংরক্ষণ, মজুত বা বিক্রি করলে ২ বছরের জেল এবং ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া নৌযান চিহ্নিতকরণে ব্যর্থতা, অর্থাৎ কেউ যদি বাংলাদেশের মৎস্য জলসীমায় মাছ ধরার নৌযান পরিচালনা এবং তা নির্ধারিত নিয়মে মার্কিং না করে তবে দুই বছরের জেল এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

বিলে নিষিদ্ধ জাল, সরঞ্জাম বা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করলে ২ বছরের জেল এবং ২৫ লাখ জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। বলা হয়েছে, কোন বিদেশি জাহাজ এ আইনের অধীনে অপরাধ করলে তার মালিক, স্কিপার এবং নৌযানে অবস্থানরত ব্যক্তিরা দায়ী হবেন। এর জন্য ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ কোটি টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইনি লড়াইয়ের ফলে অর্জিত বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের এক লাখ ১৮ হাজার ১১৩ বর্গকিলোমিটার একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চলে মৎস্যসম্পদ নিরূপণ, পরিকল্পনা গ্রহণ, দেশি-বিদেশি মৎস্য নৌযান কর্তৃক অবৈধভাবে ও অতিরিক্ত মৎস্যসম্পদ আহরণ নিয়ন্ত্রণ, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনে বিদ্যমান অধ্যাদেশ হালনাগাদ করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেওয়ায় বিলটি প্র¯Íত করা হয়েছে। আর সামরিক শাসনামলে জারি হওয়ায় উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে বিলটি তা বাংলায় রূপান্তর করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement