২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অর্থমন্ত্রীর সমালোচনায় মতিয়া চৌধুরী

-

পারিবারিক সঞ্চয়পত্রে উৎসে কর বাড়ানোয় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কড়া সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, পারিবারিক সঞ্চয়পত্র তো প্রধানমন্ত্রীর স্কীম, ওখানে আপনি হাত দিলেন কেন? এটা আমি সমর্থন করতে পারছি না।

তিনি বলেন, বড় বড় ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিচ্ছেন, শিক্ষকদের বেতন দিচ্ছেন, সরকারি-কর্মচারীদের বেতন বাড়িয়ে দিচ্ছেন, সরকারি কর্মকর্তাদের গাড়ি কেনার সুযোগ দিচ্ছেন, অনেক সেক্টরে সুবিধা বাড়ালেন। অথচ গ্রামের বিধবা থেকে শুরু করে অসহায়, অস্বচ্ছল নারীরা যে স্কীমের ওপর নির্ভরশীল সেখানে হাত দিলেন। পারিবারিক সঞ্চপত্রের মালিকরাও তো বাজারের কাস্টমার; কেন সেখানে হাত দিতে গেলেন? এটা আমি বুঝতে অক্ষম।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করে ময়িা চৌধুরী বলেন, স্পর্শকাতর কথা বলব। এতগুলো ভালো কাজ করার পর আপনি (অর্থমন্ত্রী) এমন একটি ব্যবস্থা নিলেন, যেটা আমি অন্তত সমর্থন করতে পারছি না। ক্ষম হে মম দীনতা। গত ৫-৬ বছর বলে বলে পারিবারিক সঞ্চায়পত্র ৯ শতাংশ হয়েছে। ৯ শতাংশ রাখলেন ঠিক, কিন্তু উৎসে কর ৫ শতাংশের জায়গায় ১০ শতাংশ করলেন। এই জিনিসটা সমর্থন করতে পারি না। এই পারিবারিক সঞ্চয়পত্র তো প্রধানমন্ত্রীর স্ক্রীম। এর ওপর নির্ভরশীল গ্রামের বিধবা থেকে শুরু করে অসহায়, অস্বচ্ছল নারীরা।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, নানাভাবে ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিচ্ছেন। কালোটাকা সাদা করা, এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাস্তবতা হল কালো টাকা আছে, এটা কোন রকমে খোয়াড়ে ঢুকানোর জন্য কিছু ব্যবস্থা সরকার নিয়েছে। এটা অস্বীকার করব না। সঞ্চয়পত্রের লোকরা তো তার (অর্থমন্ত্রী) কাছে হাত পাততে পারে না। তারা কার কাছে হাত পাতবে? এই সংসদে বক্তব্য দেয়ার পর কেউ একজন আমাকে বলেছিলেন- ‘উনার তো সাইড ইনকাম নেই।’ ঝাড়ু মারি সাইড ইনকামের, অসৎ পথে উপার্জনের! আমার বৈধ টাকা; সেখানে গিয়ে আপনি উৎসে কর কাটবেন, এটা ঠিক না’।

তিনি বলেন, ২১ বছর ধরে তথাকথিত সামরিক-আধা সামরিক সরকার দেশকে উল্টোপথে ধাবিত করেছে। দিকশূন্য হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। দুর্নীতিতে ছেয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। অতীতের কালিমামুক্ত বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে আসার জন্য দৃঢ় মনোবল নিয়ে যাত্রা শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার কাজ তিনিই করেছেন। বিএনপির সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, বিদ্যুতের খাম্বা, হাম্বা বাছুরের খাম্বা বাংলাদেশের মানুষ ভুলে যায় নাই। খাম্বাই দেখছে, বিদ্যুৎ দেখেনি। এই ছিল দেশের অবস্থা।
সংসদকে অবৈধ বলে আবার ফ্ল্যাট-প্লট চায় বিএনপি

সংসদকে অবৈধ বলে আবার নিজেদের জন্য প্লট চাওয়ায় বিএনপির সদস্যদের তীব্র সমালোচনা করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এ সময় তিনি বিএনপি নেতাদের চোর বলেও সম্বোধন করেন। বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজ দুঃখ হয় যারা কৃষকদের সার, বীজ, তেল দিতে পারেনি, কৃষক হত্যা করেছে তারা বলে এই সরকার অবৈধ। বিএনপির সদস্যরা এই সংসদে এসেছেন, শপথ নিয়েছেন, বক্তব্য দিচ্ছেন, প্লট, ফ্ল্যাট চাচ্ছেন, নিজের এলাকার উন্নয়ন চান, আবার এই সংসদকে অবৈধ বলেন, সরকার অবৈধ বলেন, বাজে কথা বলেন। আসলে মানুষ বুঝে গেছে আপনারা চোর ছিলেন। যার জন্য দৌড়ে পালিয়ে গেছেন, আপনারা আন্দোলন করতে সাহস পাচ্ছেন না।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষ মনে করে সকাল থেকে ঘুমানো পর্যন্ত যা খায় সবই খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায়, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। আসলে তা নয়। আমরা শুধু রেশনিংয়ের জন্য বিশেষ করে, পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবিসহ বিভিন্ন সেক্টরে যে রেশন, ভিজিডি, ভিজিএফ বরাদ্দ দেওয়া হয় সেই পরিমাণ খাদ্য কিনতে পারি। এছাড়া আপদকালীন দুর্যোগের জন্য ১০ লাখ টন খাদ্য কেনার বিধান রয়েছে। 

 


আরো সংবাদ



premium cement