ইইউ পার্লামেন্টে নিন্দা প্রস্তাবে বিচারকদের বিবৃতির নিন্দা জানালো আইনজীবী ফোরাম-ইউএলএফ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬:১৭
ইউরোপিয়ান পালামেন্টে নিন্দা প্রস্তাব বিষয়ে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েনের বিবৃতি দেয়ার নিন্দা জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ও ইউনাটেড ল'ইয়ারস ফ্রন্ট (ইউএলএফ)।
মঙ্গলবার জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ও ইউনাটেড ল'ইয়ারস ফ্রন্ট (ইউএলএফ) পৃথক পৃথক বিবৃতিতে ইউরোপিয়ান পালামেন্টে নিন্দা প্রস্তাব বিষয়ে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েনের বিবৃতির তীব্র নিন্দা জানায়।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা জানিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন ১৪ সেপ্টেম্বর ইউরোপীয় পার্লামেন্ট কর্তৃক গৃহীত রেজুলেশনের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছে। যা চাকরিরত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের কাছ থেকে নজিরবিহীন। এই বিবৃতি থেকে স্পষ্টতই বোঝা যায় বর্তমান শাসনব্যবস্থায় বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণরূপে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে। অধিকার সম্পাদক অ্যাডভোকেট আদিলুর রহমান খান ও নাসির উদ্দিন ইলানের বিচার, সাজা ও সাজা কার্যকরী কার্যনির্বাহীর নির্দেশে স্পষ্টতই সরকার প্রধান নিজেই। আমরা বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বাধীনতার জন্য এবং বিচার বিভাগকে নির্বাহী প্রভাব থেকে দূরে রাখার জন্য দীর্ঘকাল ধরে লড়াই করে আসছি। বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা পুনর্গঠনের জন্য আমরা সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সারাদেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছি। তাদের বিবৃতি বিচারব্যবস্থার ওপর অপবাদ। এই বিবৃতির কারণে তারা তাদের স্বাধীনতা হারিয়েছে। তাদের কাছ থেকে সঠিক বিচারের কোনো আশা করা যায় না।
ইউনাটেড ল'ইয়ারস ফ্রন্টের নিন্দা
ইউনাটেড ল'ইয়ারস ফ্রন্টের কনভেনর সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন এবং কো-কনভেনর সিনিয়র আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী মঙ্গলবার গণমাধ্যমে দেয়া এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, ইউরোপীয় পালামেন্টে গৃহীত নিন্দা প্রস্তাব বিষয় অধস্তন আদালতে চাকরিরত জুডিসিয়াল অফিসাররা তাদের এসোসিয়েশনের নামে যে বিবৃতি প্রদান করেছেন তার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। মানবধিকার কর্মী ও সুপ্রীম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী আদিলুর রহামন খান শুভ্র এবং তার সহকর্মী এস এম নাসির উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল যে ফরমায়েশী রায় ও সাজা দিয়েছে, তা মূলত একটি ফরমায়েশী এবং নাগরিদের কণ্ঠ রুদ্ধ করার জন্য আইনের অপব্যবহার করে একটি বিচারিক নির্যাতন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো উল্লেখ করেন, বিশ্ব সভ্যতা থেকে বাংলাদেশ কোনো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়। জাতিসঙ্ঘের সর্বজনীন মানবধিকার ঘোষণা এবং নাগরিকদের সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার বিষয়ে বিশ্বজনীন সনদগুলোতে বাংলাদেশ শুধু স্বাক্ষরই করেনি, পরবর্তীকালে তা রেটিফাইও করেছে। কাজেই অন্য দেশে আইনের শাসন না থাকলে বা নাগরিকদের নূন্যতম মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন হলে আমাদের যে রকম উদ্বেগের কারণ ঘটে, সেই রূপ আমাদের দেশেও নাগরিকদের মৌলিক অধিকার না থাকলে অন্য বন্ধু রাষ্ট্র বা পার্লামেন্ট তাদের উদ্বেগের বিষয়ে জানাতেই পারে। সমস্যার সমাধান না করে অস্বীকার করলে সমস্যার সমাধান হবে না।
ইউনাটেড ল'ইয়ারস ফ্রন্টের সমন্বয়ক আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব গণমাধ্যমে এ বিবৃতি প্রেরণ করেন।