২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক, ঢাকা মহানগর হেফাজতের নতুন সভাপতি-সম্পাদক

কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক, ঢাকা মহানগর হেফাজতের নতুন সভাপতি-সম্পাদক। - ছবি : সংগৃহীত

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার রাজধানীর খিলগাঁও মাখজানুল উলুম মাদরাসায় আমিরে হেফাজত আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সভাপতিত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে মাওলানা আবদুল কাইয়ুম সুবহানীকে সভাপতি ও মুফতী কেফায়েতুল্লাহ আজহারীকে সাধারণ সম্পাদক করে হেফাজতের ঢাকা মহানগর কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির উপদেষ্টা করা হয়েছে মাওলানা মুহিউদ্দীন রব্বানী ও মাওলানা জহুরুল ইসলামকে।

ঢাকা মহানগর কমিটিতে আরো যারা আছেন-
যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আনিসুর রহমান, মাওলানা নুরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুনিরুজ্জামান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুস্তাকিম বিল্লাহ হামিদী, সদস্য মুফতী কামাল উদ্দীন, মাওলানা রাশেদ বিন নুর ও মাওলানা সানাহুল্লাহ হাফেজ্জী।

বৈঠকে কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্মসচিব মাওলানা আবদুল আওয়ালকে নায়েবে আমির করা হয়েছে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জামিয়া সিরাজিয়ার মুহতামিম মাওলানা তানভিরুল হক সিরাজীকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে।

এছাড়াও সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকারকে হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটির মিডিয়া বিভাগের সমন্বয়ক করা হয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, নায়েবে আমির আল্লামা মোহাম্মাদ ইয়াহিয়া, নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, নায়েবে আমির মাওলানা মোবারকউল্লাহ, নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল আওয়াল, মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান, সহকারী মহাসচিব মাওলানা জহুরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর ইদরীস নদভী, দাওয়া সম্পাদক মাওলানা আবদুল কাইয়ুম সুবহানী, মাওলানা শাব্বির আহমদ রশিদ, মাওলানা হারুন আজিজ নদভী, সহ প্রচার সম্পাদক মুফতী জামাল উদ্দীন, মিডিয়া বিষয়ক সমন্বয়ক সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকার প্রমুখ।

বৈঠকে হেফাজত নেতৃবৃন্দ বলেন, আজ এক বছরের বেশি সময় হয়ে গেছে হেফাজতের মামলায় অনেক ওলামায়ে কেরাম, হেফাজতের নেতা-কর্মী ও ইসলামপ্রিয় জনতা বন্দী রয়েছেন, আমরা তাদের সকলের দ্রুত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। আলেম-ওলামারা বন্দী থাকার কারণে তাদের দায়িত্বে থাকা মসজিদ-মাদরাসা অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। পরিবারগুলো অসহনীয় সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অনেক পরিবার একেবারে অসহায় হয়ে পড়েছে।

তারা বলেন, গত কিছুদিন আগে কথিত গণকমিশন নামে একটি ভুঁইফোড় সংগঠন দেশের ১১৬ আলেম ও ১০০০ হাজার মাদরাসার নামের লিস্ট তৈরি করেছে। তারা এটির নাম দিয়েছে ‘শ্বেতপত্র’। ইতোমধ্যে তারা এই শ্বেতপত্র দুর্নীতি দমন কমিশনেও জমা দিয়েছে। আমরা স্পষ্ট বলতে চাই এটি দেশের আলেম-ওলামা ও মসজিদ মাদরাসার বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রের অংশ। তারা কথিত শ্বেতপত্রে দেশের প্রায় সকল মাদরাসাকে সন্ত্রাসবাদের সাথে যুক্ত করেছে। দেশের কওমী মাদরাসাগুলো বরাবরের মতো দেশ ও জাতীয় স্বার্থে সবরকমের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান বারবার স্পষ্ট করেছে। তারপরেও তারা এসব অপবাদ দিয়ে যাচ্ছে। আমরা দাবি জানাচ্ছি, অনতিবিলম্বে কথিত এই শ্বেতপত্র বাজেয়াপ্ত করতে হবে এবং গণকমিশন নামের কথিত এই সংগঠনের লোকদের আইনের আওতায় আনতে হবে। তারা শান্ত পরিস্থিতিকে অশান্ত করার চক্রান্ত করছে।

হেফাজত নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সম্প্রতি ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির দুই নেতা মানবতার মুক্তির দূত হজরত মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও উম্মুল মুমিনীন হজরত আয়েশা রা: সম্পর্কে চরম অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছেন। এই ঘটনায় পুরো মুসলিম বিশ্ব প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে। বাংলাদেশের নবীপ্রেমীরাও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। হেফাজতে ইসলাম এই ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। এই ঘটনায় ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবাদ জানানোর জন্য আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

বৈঠক থেকে হেফাজত নেতৃবৃন্দ ২০১৩, ২০১৬ ও ২০২১ সালে দায়ের কৃত সকল মামলা প্রত্যাহারের জন্য এবং নতুন করে কোনো মামলায় চার্জশিট না দেয়ার জন্য জোর দাবি জানান। আগামী ১৭ জুন চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক জমিয়াতুল ফালাহ ময়দানে হেফাজতে ইসলাম আয়োজিত শানে রেসালাত সম্মেলন সফলের আহ্বান জানানো হয় বৈঠক।


আরো সংবাদ



premium cement