মেঘনা বাঁচাতে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৬ জানুয়ারি ২০২২, ১৮:২১
বুড়িগঙ্গার মত করুণ পরিণতির হাত থেকে মেঘনাকে বাঁচাতে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে পরিবেশ ও নদী রক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন (ইআরপিডিএফ) আয়োজিত এক মুক্ত আলোচনায় এই আহ্বান জানান তারা।
‘মেঘনা নদীর দখলরোধ ও পাড় সংরক্ষণ’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে আয়োজক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এইচ এম সুমনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ৪৮ নদী সমীক্ষা প্রকল্পের ওয়াটার রিসোর্স এক্সপার্ট সাজিদুর রহমান সরদার, রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ, বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মনির হোসেন, বিআইডব্লিউটিএ মেঘনা পোর্ট পরিচালক মোবারক হোসেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা সহকারী পরিচালক হায়াত মাহমুদ রাকিব, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোটের্র আইনজীবি ও অত্র ফাউন্ডেশনের আইন উপদেষ্টা এডভোকেট লায়ন এম এ মজিদ, এডভোকেট শিব্বির আহমদ ও বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের সাধারন সম্পাদক এডভোকেট মো. আনোয়ার হোসেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, অবিলম্বে মেঘনা নদীর দখল ও দূষণ রোধ করতে না পারলে অল্প সময়ের মধ্যে মেঘনা নদীরও পরিণতি বুড়িগঙ্গার মতো হবে।
বক্তারা বলেন, ‘মেঘনা নদীকে বুড়িগঙ্গা নদীর রূপে দেখতে না চাইলে এখনি মেঘনা নদী দখল ও দূষণ রোধে সকলের এগিয়ে আসা উচিৎ। এছাড়াও মেঘনা নদী দখল, দূষণের তালিকায় সিটি গ্রুপ,ওরিয়েন গ্রুপ, আমান সিমেন্ট, টিকে গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপসহ অন্যান্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের ব্যবস্থা নিতে হবে।’
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, মেঘনা নদীর ৮৫ একর জমি দখল রয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে নদীর জমি ও সাধারন মানুষের জমি দখল করে ভোগদখল করে রেখেছে একটি মহল।
বক্তারা জানান, আনন্দ শিপইয়ার্ড নামের জাহাজ নির্মানকারী প্রতিষ্ঠানের ১৩ একর জমি জবরদখল করে সেই জমিতে থাকা সাত হাজার গাছ কেটে ফেলেছে। এখনি নদী দখল রোধ করতে না পারলে ভবিষ্যতে মেঘনার নদীর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে কষ্ট হবে বলে আলোচনা উঠে আসে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা