১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

করোনা মোকাবিলায় নারী-শিশুর নিরাপত্তায় তহবিল গঠনের দাবি

- সংগৃহীত

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সমন্বিত প্রচেষ্টা চালানো এবং নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম।

ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে সোমবার উদ্বেগের সাথে বলেন, করোনাভাইরাস সারা বিশ্বে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে ইতোমধ্যে ৪৯ জন ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ৯ দফা দাবিতে তারা করোনাভাইরাসের ঝুঁকি মোকাবিলা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং কর্ম পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের জন্য বিশেষ তহবিল গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন।

তারা বলেন, আমরা মনে করি, এটি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়লে দেশে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। যার ফলশ্রুতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমাদের নারী ও শিশুরা। কারণ আমরা মনে করি, যেকোনো মহামারিই নারী ও শিশুদের পেছনে ফেলে দেয়। তাই সম্মিলিতভাবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করা এবং এই সময় নারী ও শিশুদের চিকিৎসা সেবা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের নিকট ৯ দফা দাবি জানিয়েছে ফোরামটি।

দাবিতে তারা বলেন, করোনাভাইরাস আতঙ্কের কারণে প্রচুর নারী গৃহকর্মী ও পোশাক শিল্পে কর্মরত কয়েক লাখ নারী সাময়িকভাবে তাদের চাকরি হারাচ্ছেন। তাই এই সময় নারী গৃহকর্মী, দিনমজুর ও হতদরিদ্র মানুষদের জন্য বিনামূল্যে কিংবা স্বল্পমূল্যে খাদ্য-দ্রব্য যোগানের ব্যবস্থা করতে হবে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। করোনাভাইরাস মোকাবিলা করতে গিয়ে যেন আমাদের পুরো স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে না পড়ে এবং আমাদের হাসপাতালগুলো যেন প্রসবকালীন জটিলতা-সহ অন্যান্য অসুস্থতা নিয়ে ভর্তি হওয়া নারীকেও সঠিক সেবা দিতে পারে তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

এছাড়া বিদেশ ফেরত ও সন্দেহভাজন রোগীদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করুন। যারা কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন তাদের খাদ্য-সহ প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করুন। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সামাজিক নেতৃবৃন্দদের নিয়ে বিশেষ কমিটি গঠন করুন এবং জনগণ যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে সেজন্য ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করুন।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল